খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাঁচিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে: চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাঁচিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যক্রম নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ইউএনডিপি ও ইউকে এইডের সহায়তাপুষ্ট নগরীর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প সব সময়েই নগরের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের পাশে থেকে কাজ করছে এবং করবে।

তিনি ধৈর্যশীলতার সহিত কোভিড-১৯ দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য এবং প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান করে ও সঠিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন যে, এই প্রকল্পের আওতায় খুব শীঘ্রই আরো দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ন মানুষকে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

মেয়র বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিপর্যস্থ করে চলেছে। বাধ্যতামূলক ছুটির কারণে অর্থনীতির গতি নিম্নমুখী। স্বল্প আয়ের এবং শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সঙ্গে যুক্তরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগস্থ। এসব চাকরির বড় অংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে যুক্ত। বলা যায়, এ সব খাতের কর্মজীবী ও উদ্যোক্তা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে তাদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্ধিত বেকারত্ব ও মৌলিক প্রয়োজন যথাযথ মেটাতে না পারার কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীতে নতুন একটি ধারা যুক্ত করবে, যাদের ‘নব্য দরিদ্র’ হিসেবে অভিহিত করা যায়। কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণে উপার্জন হারিয়ে তারা দারিদ্র সীমার নিচে চলে এসেছে। তাই সরকারের নীতিনির্ধারকরা আর্থিক প্রণোদনা ও খাদ্য সহায়তার সমন্বয়ে একটি প্যাকেজ ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে। কর্মসংস্থানবিহীন পুনরুদ্ধার গত এক দশকে অর্জিত আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে চরম ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মহারানো পরিবারের ছেলে-মেয়েদের লেখ-পড়ার খরচ চালানো বড়ই কষ্টকর। এমনকি ঝরে পড়তে পারে অনেক শিক্ষার্থী। তাই কোভিড-১৯ দূর্যোগকালীন সময়ে ইউএনডিপি ইউকে-এইড এর সহায়তায় প্রান্তিক জনগোষ্টি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাঁচিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আজ বুধবার দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে ইউএনডিপি ইউকে-এইড এর সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রান্তিক জনগোষ্টি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

আজ প্রদত্ত প্রতিজনকে ৩ হাজার ৩ শত ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ২০২০ সালের দ্বিতীয় দফা অনুদান হিসেবে ৮২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩০০ টাকা ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত যাদের মধ্যে ৮৬৮ জন ছেলে এবং ২৫৩৬ জন মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ অনুদান বিতরণ করা হয়। এই অর্থ সহায়তা উপকারভোগীদের মোবাইল একাউন্টে পৌঁছে যাবে।

অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন খান, সোসিও ইকোনমিক ও নিউট্রিশন এক্সপার্ট মোহাম্মদ হানিফ, টাউন ফেডারেশন এর চেয়ারপার্সন কোহিনুর আক্তারসহ এলআইইউপিসি প্রকল্পের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রান্তিকজনগোষ্টির জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ৮৪ হাজার পরিবারের মাঝে ৫ টি করে প্রায় ৪ লক্ষ ২৩ হাজার সাবান, ৩৬৪ সিডিসিতে ৩৮৪টি হাত ধোয়ার পয়েন্ট স্থাপন, কয়েকটি এতিমখানায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে দেয়া হয়েছে ৪৫ হাজার সাবান। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের জরুরী পুষ্টি খাদ্য সহায়তায় ১ হাজার ৬শ ৭৪ জন গর্ভবর্তী মাকে মাসিক জরুরী খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
লকডাউন চলাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবীরা হলেন অবরুদ্ধ মানুষের কাছের স্বজ্জন-মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীরা হলেন অবরুদ্ধ মানুষের কাছের স্বজ্জন ও ভালো বন্ধু। এ জন্য তাদের জানতে হবে, শিখতে হবে কীভাবে মানুষের মন জয় করে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করে করোনা সংক্রমণ মুক্ত থাকা যায়। মনে রাখতে হবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আচরণ ও অভ্যাসগত নেতিবাচক প্রবণতা পরিহার এবং প্রচলিত বেপরোয়া জীবনাচারের পরিবর্তন না হলে কাঙ্খিত মুক্তি সুদূর পরাহত এই বার্তাটি স্বেচ্ছাসেবকদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তবে লকডাউন কোথায় কিভাবে-কখন হবে এবং সংক্রমেণের হার প্রবণ এলাকা সু-নির্দ্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে শুধু সেখানে তা প্রয়োগ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।

তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাই পজেটিভ ক্যাম্পেইন পাওয়ার হিসেবে অবিহিত করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। আমাদেরও ছিল না। তাই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সে সম্পর্কে ধারানাও ছিল না। শুরুতেই কোন কোন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতা ছিল। এসব নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে, তবে পরামর্শও থাকতে হবে। তাই কখন-কোথায়-কী ভুল হয়েছে, কেন হয়েছে সে কথা বার বার না লিখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, কী করা যায় সেই পরামর্শ ও পথ বাতলে দিলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।

আজ বুধবার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত রেডজোন ৪,৮,২০,২১ ও ২২ নং ওয়ার্ড এলাকার ২৫০জন স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, রেডজোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন কার্যকর করণে প্রশিক্ষিত ও সুশৃংখল স্বেচ্ছাসেবকরাই অবদান রাখতে পারে। এ পরিস্থিতি প্রত্যেকের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজের সুরক্ষা নিজেরই হাতে। এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাকে অনেকেই আমলে আনছেন না। এই উদাসিনতাও একটি মারাত্মক ব্যাধি। তিনি একাজটি করতে গিয়ে স্ব্চ্ছোসেবকদের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদেরকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের কাছে শারীরিকভাবে সরাসরি যেতে হবে না। এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে।

কর্মশালায় কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, কর্মশালার আইইডিসিআর এর প্রশিক্ষক ডা. মোহাম্মদ ওমর কাইয়ুম, ডা: তৌহিদুল আনোয়ার খান, ডা. তাহমিনা করীম, ডা, হায়দার, ডা.নাবিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিটি মেয়রের নিকট করোনা সুরক্ষা সামগ্রী দিল
চট্টগ্রাম আইন কলেজের ২০১৮-১৯ এলএলবি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তবে চসিকের পাশাশি বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস,ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এসব কার্যক্রমে অবদান রেখে চলেছেন। যা একটি আশাজাগানীয়া উদ্যোগ। এথেকে অন্যরাও উদ্ভুদ্ধ হয়ে সামাজিক ও মানবিক কাজে এগিয়ে আসছে। আজ বিকেলে চসিক নগরভবনের কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম আইন কলেজের ২০১৮-১৯ এলএলবি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আইন কলেজের ভিপি আবদুল খালেক সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, আবদুর শুক্কুর চৌধুরী, সাবিহা সুলতানা রক্সি উপস্থিত ছিলেন।

সিটি মেয়রকে স্মারকলিপি দিল গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনকে চট্টগ্রাম নগরীতে কোভিড-১৯ সনাক্তদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এই সময় মেয়র বলেন, করোনাকালে যারা মানবিকতার মাহর্ত্ম নিয়ে সেবাব্রতে নিবেদিত তারা অবশ্যই সমাজ-বান্ধব ইতিবাচক দূত। তাদের সকল শুভ উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সহযাত্রী হবে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আবু তালেব বেলাল, এরশাদ খতিবী, মোহাম্মদ আহসান হাবীব চৌধুরী, এড.মোছাহেব উদ্দিন বখেতেয়ার উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।