খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি থামছেই না; উপজেলায় মাসে অর্ধ-কোটি টাকা উত্তোলন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০, ৭:৪২ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি থামছেই না; উপজেলায় মাসে অর্ধ-কোটি টাকা উত্তোলন

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে-রায়পুরে পরিবহন খাতে প্রতি মাসে অর্ধ-কোটি টাকা চাঁদা (জিপি) উত্তোলন করা হচ্ছে। বাস, ট্রাক, টেম্পো, মাইক্রো বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা ও ট্রলির ৫টি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন এ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগসহ তাদের সংগঠনের একদল নেতার হাতে জিম্মি এসব স্ট্যান্ড। চাঁদার ভাগ যায় বড় নেতা, পাতিনেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হঠাৎ ধরপাকর হলেও আবারও শুরু হয় জিপির নামে চাঁদা উত্তোলন। পরিবহন মালিক ও চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নামে বিভিন্ন সংগঠন।

সিএনজি ও বাস মালিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি স্ট্যান্ডকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ নামধারীরা স্বঘোষিত মালিক ও শ্রমিক নেতা সেজে কমিটি গঠন করে রেখেছেন। প্রতিটি স্ট্যান্ডে রয়েছে তাদের লাইনম্যান। এরা নির্ধারিত হারে বাস,ট্রাক, মাইক্রো, ট্রলি, সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করে থাকেন। চাঁদা পরিশোধ না করে কারও পক্ষে স্ট্যান্ড ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। চাঁদা পরিশোধ করা না হলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ঈদের দুদিন পর মজুচৌধুরী ঘাট এলাকায় ৪টি মাইক্রো গাড়ি আটক করে মালিকের কাছ থেকে পুলিশের নামে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে বৈধ ইজারার মাধ্যমে তিন স্ট্যান্ড থেকে টাকা তোলা হচ্ছে বলে জানান। এ টাকা পৌরসভার উন্নয়নে খরচ করা হয়। চলতি জুন-২০ইং মাসে নতুন করে ইজারার আহব্বানের কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারনে বন্ধ রয়েছে।

রায়পুর পরিবহন সেক্টরের খোঁজ-খবর রাখেন এমন লোকজন জানান, বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। পরিবহন চাঁদাবাজির সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে দেখা দিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা। রায়পুর থেকে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও চৌমুহনী সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ৮২ টি আনন্দ পরিবহন প্রতিদিন জনপ্রতি গাড়ী রায়পুরে ১১৫ টাকাসহ ৬৩৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর থেকে চট্রগ্রাম সড়কে ৪৭টি ও ঢাকা সড়কে ৪০ জোনাকি পরিবহন এবং ৫০টি শাহী পরিবহন জনপ্রতি গাড়ী ২০ টাকা ও ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর থেকে ঢাকা সড়কে চলাচলকারি ৩০টি ঢাকা এক্সপ্রেস বাস থেকে ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। রায়পুর থেকে কুমিল্লা সড়কে ১০টি বোগদাদ পরিবহনকে জনপ্রতি ৯০ টাকা করে দিতে হয়। প্রায় ১২০টি মাইক্রো গাড়ীকে জনপ্রতি চাঁদপুরে ৮০০ ও লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক বিভাগকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর ট্রাক ষ্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি প্রায় ২ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাককে জনপ্রতি ৭০/১২০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। ছোট-বড় পন্যবাহী থেকে পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ১০/১৫ টাকা হারে নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ইজারাদার ওহীদ উল্লাহ তার ৬ জন লাইনম্যানের মাধ্যমে ৪০,৭০ ও ১২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন।

লক্ষ্মীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইন্জিন) অনুজ চন্দ বলেন, জেলায় সিএনজি আটোরিকশার লাইসেন্স আছে ৭ হাজার ২’শটি। হাজার-হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে স্ট্যান্ড কমিটিকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে। গত মে-২০ইং মাসে অভিযান হয়নি। তাছাড়া প্রতি মাসেই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা হয়ে থাকে। কোন চালক বা লোককে লাইসেন্স পেতে হয়রানি করা হয় না বলে দাবি।

রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের সিএনজি স্ট্যান্ডে কথা হয় সিএনজি চালক রহমত ও নূর ইসলামের সঙ্গে। তারা দুঃখের সঙ্গে বলেন, রুটে চলাচল করতে তাদের ভর্তি হিসেবে তিন-চার হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। গাড়ি চালাতে দিতে হয় প্রতিদিন ৩০ টাকা। চাঁদপুর রুটের তারেক হোসেন ও মনোয়ার জানান, তারা লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করে রেখেছেন। কিন্তু বিআরটিএ লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে। এখন প্রতি মাসে ৩০০ টাকা পরিশোধ করে স্ট্যান্ড থেকে টোকেন নিতে হয়। রাস্তায় পুলিশকে স্ট্যান্ডের টোকেন দেখিয়ে চলাচল করতে হয়। টোকেন দেখাতে না পারলে গাড়ি আটক হয়ে যায়। মামলা করা হয়।

রায়পুর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে, প্রতিদিন শহরের থানার কর্নারে, বাসটার্মিনাল, সাবেক শহীদ মিনারের সামনে,মধ্যবাজারের মোড়ে এসব বাস, সিএনজি,অটো, ট্রাক ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। তবে করোনায় কয়েকটি স্পটে ১০, ৭০, ১২০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়াও ১০টি ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে এসব ষ্টান্ড রয়েছে।

পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলার অন্যতম ব্যাস্ত রায়পুর-চাঁদপুর-কুমিল্লা, নোয়াখালি, রামগন্জ সড়কের রায়পুর বাসস্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, মেয়র ইসমাইল খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহব্বায়ক তানভির হায়দার চৌধুরী রিংকু, সাবেক যুবলীগ সম্পাদক শফিক খান, আ’লীগ কর্মী মোঃ ডালিম, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম লিটন, আবুল কাশেম দেওয়ান, মোঃ বাবুল প্রমুখ। প্রায় ৫ বছর আগে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকের নামে ৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হতো। গ্রুপিংয়ের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ দেশে করোনার আগে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে করোনায় সময়ে তা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা না হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। বরং পরবর্তী সরকারের আমলে আরও বৃদ্ধি পাবে।

সহকারি পুলিশ সুপার (রায়পুর ও রামগন্জ সার্কেল) স্পীনা রানী প্রামানিক জানান, গত ৮দিন আগে সড়কে পরিবহন থেকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে পুলিশ সুপার স্যার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে সতর্ক করেছিলেন। পরিবহন মালিকরা অভিযোগ করলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, স্ট্যান্ডে কোন চাঁদাবাজি হয় না। রায়পুর পৌরসভা থেকে গত জুন মাসে ২২ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ১০ ও ২০ টাকা করে জিপি উত্তোলন করছি। রায়পুর-হায়দরগন্জ ও আলোনিয়া সড়ক নিয়ন্ত্রনকারি সাবেক যুবলীগ নেতা শফিক খান বলেন, ৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ১০ টাকা করে উত্তোলন করছি। রায়পুর-চাঁদপুর- রামগন্জ-মীরগন্জ ও গাজিনগর সড়ক নিয়ন্ত্রকারি মোঃ ডালিম একই বক্তব্য দিয়েছেন।

রায়পুর আনন্দ পরিবহনের মালিকদের সমন্বয়কারী শিপন ভুঁইয়া মোবাইলে বলেন, ৮২টির মধ্যে ৭০ পরিবহন চাঁদপুর-রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ও চৌমহনী সড়কে চলাচল করছে। প্রায় ৮ মাস আগে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ অভিযানে কয়েকজন লাইনম্যানকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রীকভাবে দায়িত্ব নেয়া শ্রমিকলীগ নেতা ভুট্রু ও খোকন তাদের দ্বায়ীত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এ চাঁদার টাকা রায়পুর পৌরসভা, মসজিদের চাঁদা, শ্রমিকদের মেয়েদের বিয়ে ও সংগঠনের নামে মামলার খরচে ব্যায় করা হচ্ছে। তাছাড়া এ পরিবহনের সকল কিছুই লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের ও আ’লীগ নেতা শাহজাহান হাজী পরিচালনা করছেন।

লক্ষ্মীপুর পরিবহন শ্রমিক নেতা শাহজাহান হাজি মোবাইল ফোনে জানান,মহামারি করোনার সময় প্রায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আনন্দ পরিবহন থেকে যে জিপির টাকা তোলা হয়, তা বিভিন্ন খাতেই ব্যায় হয়। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নাই। সংগঠনের সভাপতি সদর পৌরসভার মেয়র পরিবহনের কোন টাকারই খোঁজ খবর নেন না।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।