খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা-ডঃ হাছান মাহমুদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা-ডঃ হাছান মাহমুদ

২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, “যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা”- এমন সমালোচনা যেন না হয় । গণমাধ্যমে অনেক বিশেষজ্ঞের শংকাকে মিথ্যে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ।

অনেক বিশেষজ্ঞ বিবৃতি দিয়ে, টেলিভিশন টকশো এবং ফেসবুক লাইভে অনেক নেতিবাচক শঙ্কার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জনবান্ধব নেতৃত্বের কারণেই করোনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একজনও না খেয়ে মরেননি।

তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা ও করোনাকালিন বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ডিইউজে-ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ , সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল,
নির্বাহী সদস্য মহররম হোসেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক , যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

তথ্য মন্ত্রী বলেন , সাংবাদিকদের করোনা সময়ের বিশেষ সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত চার কোটি ৩১ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির কথাও জানান মন্ত্রী। সাংবাদিকদের করোনা চিকিৎসার অগ্রাধিকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকসহ দেশের সব মানুষের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, করোনাকালীন মৃত্যু ঠেকাতে সরকার সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে । বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তান ও ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও কম ।

করোনা অভিন্ন শত্রু। এখানে কারো মিসাইল বা এন্টি মিসাইল কাজ করেনি । আমরা এখন সমন্বিতভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপে মানব স্বার্থে কাজ করবো, নাকি যুদ্ধ সংঘাতের পথে থাকবো -এটা বিবেচনার জন্য এখন সর্বোচ্চ সময়।

তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিত এবং সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার এ পর্যন্ত সাত কোটি মানুষের কাছে সরাসরি করোনাকালীন সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে ।

ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সময় কালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে সহায়তা দিয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজের সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী কল্যাণ ট্রাস্টে ঢাকার বাইরের প্রতিনিধিত্ব, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা, যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নানা বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর মনিটরিং দাবি করেন।

তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বৈষম্য কাটাতে হবে। কল্যাণ ট্রাস্ট ও মনিটরিং সেলের ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আরো প্রায় চার বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সাংবাদিকদের সহায়তার ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের গণমাধ্যম বান্ধব চরিত্রের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রধান দাবি-দাওয়া থাকবে মালিকপক্ষের কাছে। সে দাবি-দাওয়া আদায়ে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে ।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জন্য মন্ত্রীর বিশেষ তহবিল প্রত্যাশা করেন।
তিনি সাংবাদিক সমাজের পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিনিধিত্ব সহ ঢাকার সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী তথ্যমন্ত্রীসহ আগতদের কৃতজ্ঞতা জানান এবং চট্টগ্রামের সংবাদপত্রগুলোতে পরিবহন সুবিধা ছাড়া রাত তিনটায়ও কাজ করতে বাধ্য করাসহ চট্টগ্রামের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

Feb2

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।