খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্যোগে যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ : চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
দুর্যোগে যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদের পরিশ্রমের টাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রবাসীরাই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন করে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান অপরিসীম। এই দুর্যোগকালীন সময়ে জুন মাসে রেমিটেন্স আদায়ের হার ছিল সর্বোচ্চ। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সারাবিশ্বে মেধা ও মানবিকতার স্বাক্ষর রাখছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি প্রবাসী রয়েছে, তারা তাদের শ্রম আর মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারছে বলেই সেখানে তারা সাফল্যের সাথে থাকতে পারছে। আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনেকেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। সেখানকার অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ। সে অবস্থায়ও দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসার টানে যারা ত্রাণ উপহার দেয়ার জন্য হাত বাড়িয়েছেন সত্যিকার অর্থে তারা অনেক মহৎ। দুর্যোগ মহামারীতে যারা মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন তারাই শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

তিনি আজ শনিবার সকালে নগরীর চান্দগাঁওস্থ খাজা রোডে নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম সমিতি উত্তর আমেরিকার উদ্যোগে গৃহহীন হতদরিদ্র ও এতিমদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিতকল্পে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে করোনা মোকাবেলায় আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। বিভিন্ন নিয়মনীতি অনুসরণ ও ছুটি থাকার দরুন অনেক দরিদ্র লোকের পক্ষে খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। সরকার তাঁদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ যথাসম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে আমেরিকা-চট্টগ্রাম সমিতি এগিয়ে আসায় তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম সমিতি উত্তর আমেরিকার উপদেষ্টা কমরুদ্দিন আহমদ, মুজিবুদ্দৌলা চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, সভাপতি আবদুল হাই, সহ সভাপতি খোকন কে চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, এনাম চৌধুরী, সামসুল আলম চৌধুরী, মাসুদ হোসেন সিরাজী, মতিউর রহমান, আশরাফ আলী খান লিটন, মহিউদ্দিন লাবু, জাফর শফি, শফিউল আজম সিকদার, পরিমল কান্তি চৌধুরী, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী লিটন, তারেক ইকবাল চৌধুরী, ফয়সাল বাপ্পী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ করোনা যোদ্ধাদের দোয়া মাহফিল ও স্মরণ অনুষ্ঠানে মেয়র
যারা জীবন বিলিয়ে করোনাকাল
মোকাবেলা করেছেন তাঁরা জাতীয় বীর

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, যারা মরণঘাতি করোনাকালে প্রতিরোধ যুদ্ধে হারিয়ে গেছেন তাঁরা একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তবে এই দুর্যোগের মাঝেও সমাজ ও সভ্যতা বিরোধী নষ্ট মানুষের কালো কারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি জনযুদ্ধ শুরু হওয়া সময়ের দাবী। কারণ এরা সমাজ-সভ্যতার অশুভবোধের বিপরীত কলংকের চিহ্ন। এ চিহ্নকে নির্মূল করতেই হবে। যারা ভয়কে জয় করে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি জাতির সহস্র সালাম।

তিনি আজ বিকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কামান্ডের উদ্যোগে করোনায় (কোভিড- ১৯) আক্রান্ত এ সময়ের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও প্রসাশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভায় মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে করোনা যুদ্ধে আমরা অভিন্ন যৌথ বাহিনী। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুধু দখলদারিত্বের জন্য হলেও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলো মানব, প্রাণি-প্রকৃতি, জগৎ রক্ষায়। সম্মিলিত সহযোগে এই যুদ্ধে সকল প্রাণি-প্রকৃতি একাকার। এই যুদ্ধ ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির জন্য নয়, প্রাণি-প্রকৃতি জগতে সাম্য প্রতিষ্ঠার। তাই আমরা কেউ-ই নিরাপদ নয় জেনে শুধু প্রাণ রক্ষার জন্য নয়, বিশ্ব সামাজিক সাম্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লড়ায়ের মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি করোনা আগ্রাসনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের রুহের শান্তি কামনা করে বলেন, আল্লাহ’র রহমত আছে বলেই যতক্ষণ প্রাণশক্তি আছে জীবন বাঁচিয়ে জীবিকার জন্য লড়াই করবো। ভিক্ষা ও ত্রাণ কখনো জীবনের জন্য অপরিহার্য ও দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং তা সাময়িক। এই বোধ আমাদের ভেঙে না পড়ার উজ্জীবন শক্তি। যারা জীবন বিলিয়ে করোনাকাল মোকাবেলা করেছেন তাঁরা জাতীয় বীর এবং তাঁদের পথ অনুসরণ করি।

মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সৌরেন্দ নাথ সেন, চান্দগাও থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, বন্দর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম, আকবরশাহ থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, হালিশহর থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হোসেন, পাহাড়তলী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, খুলশী থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, বাকলিয়া থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী কাজী নুরুল আবছার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক ও শাহেদ মুরাদ সাকু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ করোনাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সাহসের সাথে যে ভূমিকা পালন করেছেন এজন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে বাড়ী নির্মাণ করে তাদের স্থায়ী বাসস্থানের যে ব্যবস্থা করেছেন এ জন্যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাকী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য বাড়ীগুলো নির্মাণ কাজ শিঘ্রই উদ্বোধন করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।