খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি; রাঙ্গুনিয়ায় বিতর্কিত শরণাঙ্কর ভিক্ষুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি; রাঙ্গুনিয়ায় বিতর্কিত শরণাঙ্কর ভিক্ষুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

রাঙ্গুনিয়ায় শরণাঙ্কর ভিক্ষুকে গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন করেন সম্মিলিত আলেম ওলামা পরিষদ ও স্থানীয় জনতা।

ইসলাম ধর্ম, হযরত মুহাম্মদ (স.) ও আল্লাহকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর কটুক্তি করার পর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা বৌদ্ধ রাজ্য বানানোর ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণঙ্কর থের’কে রাঙ্গুনিয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বিতর্কিত এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে রাঙ্গুনিয়ার যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলার সম্মিলিত আলেম ওলামা পরিষদ ও স্থানীয় জনতা।

হযরত মুহাম্মদ (স.) ও আল্লাহকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর কটুক্তি করায় সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর ইছাখালীতে শরণঙ্কর থের নামের এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গ্রেফতারের দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক আলেম-ওলামা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়ার রাহাতিয়া দরবারের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ওবাইদুল মোস্তফা নঈমী, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল মাবুদ, মাওলানা মোহাম্মদ হাছান, আ.ন.ম. নাজমুল হোসাইন নঈমী, মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নূরী, মাওলানা নুরুল আজিম, মাওলানা দিলদার বিন কাশেম, নাজমুল হক চৌধুরী, গাউছিয়া কমিটির নেতা জসিম উদ্দিন শাহ, মাওলানা সৈয়দ মোকাম্মেল হক শাহ, মাওলানা ওমর ফারুক, মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, মাওলানা সিরাজ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাঙ্কর থের ও তার অনুসারীরা ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সঃ) নিয়ে আপত্তিকর ও স্পর্শকাতর কটুক্তি করেছেন ফেসবুকে৷ এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে বিভিন্ন বিবৃতিতেও উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেন। তিনি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা বৌদ্ধ রাজ্য বানানোর ঘোষণা দিয়ে দেশদ্রোহী দৃষ্টতা দেখিয়েছেন। তার এসব অপরাধে তাকে দ্রুত গেফতার করা না হলে সারা বাংলাদেশে ব্যাপী আরও বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ফলহারিয়া গ্রামে বনবিভাগের শতাধিক একর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্টাতা ধুতাঙ্গ সাধক দাবীদার শরণাঙ্কর থের বনের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করলে বাঁধা দেন বনবিভাগ ও পুলিশ। এরআগেও বনবিভাগ এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে প্রায় শতাধিক একর সংরক্ষিত বনের জায়গা দখল করার অভিযোগে ৪টি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কোনভাবেই তাকে বনের জায়গা দখল থেকে বিরত করা যাচ্ছিলনা। পুলিশ ও বনবিভাগের বাঁধার মুখে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকার পর ফেসবুক লাইভে গিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাঙ্কর থের রাঙ্গুনিয়ার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং তাদের বাড়িঘর দখল করে নিচ্ছে এধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমুলক বক্তব্য পোস্ট দেন। অথচ এধরণের কোন ঘটনা রাঙ্গুনিয়ায় ঘটেনি। বৌদ্ধ ভিক্ষুর এধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমুলক বক্তব্যে স্থানীয় মুসলমান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এরমধ্যে শরণঙ্কর ভিক্ষুর ছবি সম্বলিত ‘রুমন হিমু’ ও ‘রানা সাধু’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে নানা আপত্তিকর কটুক্তি করা হয়। এতে রাঙ্গুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরবর্তীতে এই দুই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল রাসু।

প্রতিবাদের মুখে জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহার ছেড়ে পালিয়ে যান বিতর্কিত ও দেশদ্রোহী ভিক্ষু শরণঙ্কর থের।

মানববন্ধনে জানানো হয়, বিহার ছেড়ে ফেসবুক লাইভে থেকে যাবার পথে তিনি নানা আপত্তিকর কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষ তাকে খোদার মতো করে পূজা করেন।’ একপর্যায়ে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা বৌদ্ধ রাজ্য বানানোর ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি, আপনারা কি করবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনারা নিন।’

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বনের জায়গা দখলে বাঁধা দেয়ায় বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণঙ্কর নানা ধরণের বিতর্ক সৃষ্টি করে ফেলেছেন। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী আাইডি দুটির ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য মাঠ পর্যায়েও পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।