খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোহাগাড়ায় চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় ডাকাতি : গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর মামলা, আটক ১

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০, ১০:১৫ অপরাহ্ণ
লোহাগাড়ায় চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় ডাকাতি : গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর মামলা, আটক ১

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার হোসাইন আহমদের বাড়িতে সস্বস্ত্র ডাকাতির পর তাঁর ভাতিজা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ডাকাতির চেষ্টাকালে ডাকাতদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

১৭ জুলাই (শনিবার) রাতে গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) বাদী হয়ে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা সস্বস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যদের আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন।

আজ শনিবার বিকেলে ডাকাতির শিকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২৭, তারিখ :১৭/০৭/২০২০।

এদিকে, এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মাদ ইলিয়াছ নামের এক ব্যাক্তিকে শনিবার ভোরে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার পশ্চিম চুনতি মিরিখীল এলাকার মৃত আজম উল্লাহর ছেলে।

এর আগে গত ১৬ জুলাই বৃহষ্পতিবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মিরিখিল এলাকায় সস্বস্ত্র ডাকাতির এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও তাঁর ভাই জাহেদুল আলম(৪৮) আহত হয়। জাহাঙ্গীর আলম ও জাহেদুল আলম ওই এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা সদর বটতলী শহরের রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপজেলা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ।

মামলার বাদী ব্যবসায়ী মো : জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনারদিন রাত দেড়টার দিকে আমার ভাগিনা ইঞ্জিনিয়ার নেওয়াজ তানভীর, খালাতো ভাই নাঈম উদ্দিন, মো : ইমরান, মো : জুয়েল ও চাচাতো ভাই সালমানসহ ৫জন মিলে আমাদের পারিবারিক পুকুরে বড়শী দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এমন সময় দিনগত রাত ৩টার দিকে ১০/১২ জনের মুখোশধারী সংঘবদ্ধ একটি সশস্ত্র ডাকাত দল তাদেরকে পুকুর সংলগ্ন আমার চাচা মনির আহমদের পরিত্যক্ত বাড়ীর একটি কক্ষে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমার আরেক চাচা চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সাবেক মেম্বার হোসাইন আহমদের বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরা থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, একটি আয়রণ ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার বাড়ির গ্রিলের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করলে আমি ও ছোট ভাই জাহেদুল আলমের সাথে ডাকাতদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আমার ডান হাতের কব্জিতে গুলি করে এবং কপালে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে আমি গুলিবিদ্ধ ও গুরতর আঘাতপ্রাপ্ত হই। এসময় আমার ভাই জাহেদুল আলমও (৪৭) আহত হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে আমি বাদী হয়ে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।

অন্যদিকে, চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সন্নিকটে অনেকটা নাকের ডগায় ডাকাতি ও ডাকাতের গুলিতে গৃহকর্তা ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধের ঘটনায় চরম আতংকে দিনাতিপাত করছে চুনতিবাসী।

জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা রেকর্ড হওয়ার পর পরই মো : ইলিয়াছ নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছি। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর/আজাদ

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।