খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাল দিঘীর পাড়ে জ্ঞানের দুয়ার ও বহুমাত্রিক সেবার দুয়ার খুলে গেল: চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
লাল দিঘীর পাড়ে জ্ঞানের দুয়ার ও বহুমাত্রিক সেবার দুয়ার খুলে গেল: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মানবতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনুশীলন ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পাঠাগারের কোন বিকল্প নেই। কলকাতাস্থ চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারটি ১৯০৪ সালে উন্নত মানস গঠন চর্চায় চট্টগ্রামে এই লাইব্রেরীটি স্থানান্তর করে। চট্টগ্রাম নগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত লালদিঘীর পাড়ের এই লাইব্রেরীটি বিট্রিশ কাউন্সিল সহ অনেক পাঠাগার প্রতিষ্ঠানের জন্মসূত্র। এই পাঠাগারে অনেক দুর্লভ গ্রন্থ, প্রামাণ্য দলিলসহ অনেক প্রকাশনাপত্র সংরক্ষিত আছে। তবে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ও আর্থিক অসক্ষমতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারেনি। আমার একাগ্রতা ও একান্ত ইচ্ছায় তা সম্ভব করতে পেরেছি। এজন্য এরসাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত লালদিঘী কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন দপ্তর, লাইব্রেরী কমিউনিটি সেন্টার কাম সাইক্লোন সেন্টারটি উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এই শহরেই আমার বেড়ে উঠা। একসময় দেখেছি এই প্রতিষ্ঠানটির জৌলুষ। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি অবহেলিত ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এক সময় জ্ঞান অনুসন্ধানী নাগরিকরা এখানে ভিড় করতেন। তবে এর অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এখানে সংরক্ষিত বই-পত্রসহ অনেক মূল্যবান দালিলিক পান্ডুলিপি ও লেখাপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। তারপরও এই অবকাঠামোটিকে জ্ঞান চর্চাসহ একটি বহুমাত্রিক সেবামূলক স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই পাঠাগারসহ বহুমাত্রিক সেবাপ্রতিষ্ঠানটি চালু হলে বই পড়ুয়াদের মনের খোরাক মিটবে। তবে এটাও সত্যি যে, একটি অবকাঠামোগত স্থাপনা হলেও লালন পালনের অভাব, বইপত্র সংগ্রহসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় আর্থিক সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

উল্লেখ্য ১৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতান্ন হাজার দুইশত স্কয়ারফুটের ৭ তলা বিশিষ্ঠ এই ভবনের নীচ তলায় থাকছে পার্কিং, সাবস্টেশন, জেনারেটর, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ট্যাংক ও টয়লেট ব্লক প্রথম তলায় রয়েছে ৩ হাজার বর্গফুটের কমিউনিটি সেন্টার,রান্নাঘর ও টয়লেট ব্লক, ২য় তলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ অফিস, মিটিং রুম, হিসাব শাখা, শহর তথ্য কেন্দ্র, রেকর্ড রুম, নিয়ামক কক্ষ, জিআইএস ইউনিট, টয়লটে ব্লক, তৃতীয় তলায় আছে শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,চতুর্থ তলায় আছে ১৬শ বর্গফুটের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার(ডিজিটাল ল্যাব)মিনি ক্যাফে, প্রশাসনিক কক্ষ, টয়লেট ব্লক, পঞ্চম তলায় রাখা হয়েছে,ফুটবল ক্লাব ও অন্যান্য ক্লাব,ওয়েটিং রুম,মিটিং রুম, ষষ্ঠ তলায় রয়েছে জিমনেশিয়াম(পুরুষ-মহিলা) ইনডোর গেইম, অফিসরুম, সপ্তম তলায় থাকছে ভিআইপি গেস্ট রুম, রুম সার্ভিস,চেঞ্জিং রুম।

এ সময় চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম চৌধুরী, মিজবাহ-উল আলম, লাইব্রেরিয়ান এ আর ফারুকী, সহকারী লাইব্রেরীয়ান সৈয়দা পারভীন, বেলাল আহমেদ, এস এম মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

৩টি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধন
নিজেকে সুরক্ষা ও সমাজকে সুরক্ষা করায় একটি মানবিক ও সামাজিক দায়

মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শিক্ষা সংস্কৃতি প্রসারের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতি এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় আজ যে তিনটি সেবামূলক স্থাপনাগত অবকাঠামো উদ্বোধন হলো তা একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এইসব স্থাপনার ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ ও সেবার মান অক্ষুন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব মানুষের কাছাকাছি থাকলে মানবিক সংকট কখনো ঘণীভূত হবে না। তাই তিনি এই উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন তাদের কর্মশক্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে চলমান রেখে করোনাকাল পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই স্থাপনাগত অবকাঠামো যাতে সত্যিকারভাবে স্থানীয়জনদের জীবন যাপনে সামাজিক নিরাপত্ত বেষ্টনী তৈরী করতে পারে, সেই লক্ষে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ সামর্থ্য ও অবদানকে উৎসর্গ করা সম্ভব হলে এখানে আমাদের কোন দু:খ, হতাশা, ক্লান্তি ও অবসাদ থাকবে না। আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং নিজেকে সুরক্ষা ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে একটি কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার ব্রত।

আজ রবীন্দ্র নজরুল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার , পশ্চিম মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ও পূর্ব মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এসব ভবন উদ্বোধনকালে শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, কাউন্সিলর হাজী ইসমাইল বালী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, নীলু নাগ, সাবেক কাউন্সিলর জহির আহমেদ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মিজবাহ-উল আলম, রিফাতুল করিম চৌধুরী, উপ সহাকারী প্রকৌশলী তানজিম ভূইয়া, মৃদুল কান্তি সিংহ, পশ্চিম মাদারবাড়ী সি/ক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপা চৌধুরী, রবীন্দ্র নজরুল চসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপর্না ধর, আওয়ামীলীগ নেতা আতাউল্লাহ চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, প্রকৌশলী আব্দুল রশিদ, উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ৯ কোটি ৫২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ঠ রবীন্দ্র নজরুল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পশ্চিম মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ও ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ব মাদারবাড়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার সমূহ নির্মাণ করা হয়। জাইকার অর্থায়নে প্রতিটি ৫ তলা ভবনগুলোতে রয়েছে আধুনিক পাঠদানের জন্য লিফট, ৩ফেইজ ডিজেল জেনারেটর,সোলার প্যানেল,অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা,শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, বজ্রনিরোধক, মেডিকেল বেড, ল্যাব টেবিল, ওভারহেড ট্যাংক, রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টিং সিস্টেম, টয়লেট ব্লক, ক্যান্টিন, টিচার্সরুম,মিটিং রুম.ফাষ্ট এইড মেডিকেল রুম, মাল্টিপারপাস হলরুম ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

পূর্বমাদার বাড়ীতে সেবক নিবাস উদ্বোধন করলেন মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার গুরু কাজটি যারা করছে তারা আমাদের সেবক। এতদিন নিতান্তই অবহেলায় কেটেছে তাদের জীবন-মান। অথচ তাদের কারণেই আমরা প্রতিদিন সকালে একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরীর মুখ দেখতে পাই। তাদের জীবন-মান ও বাসস্থান উন্নয়নে তাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসস্থান তৈরীর জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীতে ৪টি সেবক নিবাস নির্মাণকাজ শুরু করেছি। এতে করে তাদের অনেকদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আজ সকালে পূর্ব মাদারবাড়ী সেবক নিবাস নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় মেয়র আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী এক আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। করোনা মহামারীর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বিভিন্ন দেশে জরুরি অবস্থা জারী আবার কোথাও কোথাও শীতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষজনের আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এজন্য দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাময়িক দূর্ভোগে পড়েছে।

তিনি বলেন, এই সংকটকালীন সময়ে সেবকরা নিজেদের নিরাপদে রেখে নগরবাসীর সেবা দান করছেন সেজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ তলা বিশিষ্ঠ এই সেবক নিবাসে ৬শ স্কয়ার ফুটের ২শটি পরিবারের জন্য ফ্লাট বরাদ্দ থাকছে। এতে থাকছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিলু নাগ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, চসিক সিবিএ এর সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী নুর সোলেমান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিষ্ণু লাল, কার্তিক দাশ, রঘুবীর দাশ উপস্থিত ছিলেন।

দামপাড়া পুলিশ লাইনে এলইডি বাতি স্থাপন কাজের উদ্বোধন: দামপাড়া পুলিশ লাইনে আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় ১ শটি পুল ও ১শটি এলইডি লাইট স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ মহামারী করোনাকালীন সময়ে যে মানবিককতার হাত প্রসারিত করেছে তা প্রশংসনীয়।

মেয়র সিএমপি কমিশনার এর সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও স্বীয় সাহসিকতায় তা মোকাবেলা করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সফল হলে অত্র এলাকায় বাসিন্দারা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করার সুযোগ পাবেন।

সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান বিপিএম, পিপিএম চসিক কর্তৃক এই প্রকল্প বাস্তয়নের জন্য মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।

এসময় মেয়র করোনাকালীন সেবা দিতে গিয়ে যেসমস্ত পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবল মারা গিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপণ করেন।

এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বিপিএম, মোস্তাক আহমেদ বিপিএম,পিপিএম, শ্যামল কুমার নাথ বিপিএম, উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, আমির জাফর, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশসহ সিএমপি ও চসিকের সংশিল্লষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।