খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত‌্যা‌গের ম‌হিমা ও স‌চেতনতায় স্বাস্থ‌্যবি‌ধি মে‌নে পা‌লিত হোক প‌বিত্র ঈদ উল‌ আযহা: রেজাউল ক‌রিম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
ত‌্যা‌গের ম‌হিমা ও স‌চেতনতায় স্বাস্থ‌্যবি‌ধি মে‌নে পা‌লিত হোক প‌বিত্র ঈদ উল‌ আযহা: রেজাউল ক‌রিম

ত‌্যা‌গের ম‌হিমা নি‌য়ে আবা‌রো এ‌লো প‌বিত্র ঈদ উল আযহা। নবীজী হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইলের (আ.) অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতিবহ ঈদ উল আযহার দি‌নে আমরা মু‌মি‌নেরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতি বছর পশু কোরবানি দি‌য়ে থাকি।হজরত ইবরাহিম (আ.) ও প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) এবং মা হাজেরার আল্লাহর প্রতি পরম আনুগত‌্য ও ভালোবাসাকে হজের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়।

হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুরো পরিবারের অভূতপূর্ব ত্যাগের শিক্ষায় আল্লাহর মুমিন হি‌সে‌বে আমা‌দের‌কে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স‌র্বোচ্চ ত‌্যা‌গের জন‌্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা উ‌চিৎ। তাই মহান আল্লাহত আয়ালার সন্তু‌ষ্টি লা‌ভের আশায় পশু কোরবানীর মধ‌্য দি‌য়ে বিশ্ব মুস‌লিম উম্মা এক প‌বিত্র আনন্দানুভু‌তির আন‌ন্দে মে‌তে উঠ‌বে ঈদ উল আযহার প‌বিত্র দিব‌সে। মহান আল্লাহর উ‌দ্দে‌শ্যে পশু‌কে কোরবানী দেয়ার সা‌থে সা‌থে ম‌নের পশুত্ব‌কেও ব‌লি দি‌তে হ‌বে আমা‌দের।

প্রিয় ম‌নে ক‌রে আমরা অ‌নেক অকুশল চিন্তা ও ধারনা‌কে আমরা তি‌লে তি‌লে ম‌নে ধারন ক‌রে ফে‌লি নি‌জে‌দের অজা‌ন্তেই। সমস্ত অকুশল পুঞ্জীভূত হ‌য়ে পশুত্ব জে‌গে ও‌ঠে ম‌নে। ম‌নের পাশ‌বিকতা অ‌নেক সময় আমা‌দের দৈ‌হিক আচর‌নেও প‌রিষ্ফুট হ‌য়ে ও‌ঠে। এর সব‌কিছুর মূ‌লে অন‌্যতম প্রধান নিয়ামক হ‌য়ে থা‌কে স্বার্থপরতা, অহং‌বোধ। অহং‌বোধ ও স্বার্থপরতাসহ সকল প্রকার লোভ, হিংসা, বি‌দ্বেষপূর্ণ খারাপ দিক গু‌লো‌কে বিসর্জন দি‌য়ে প‌বিত্র ম‌নে আল্লাহর দরবা‌রে মোনাজাত কর‌তে পার‌লে আমরা নিশ্চয়ই তাঁর নৈকট‌্য লা‌ভে সক্ষম হব।

আমরা যারা পশু কোরবানী দেব, আমা‌দের‌কে প্রিয় আবাসভূ‌মির প‌রি‌বে‌শের কথা বি‌বেচনায় রাখ‌তে হ‌বে। ম‌নে রাখ‌তে হ‌বে আমা‌দের নগরীর সৌন্দর্য, প‌রিচ্ছন্নতা ও নির্মল প‌রি‌বেশ রক্ষার দা‌য়িত্ব আমা‌দের সক‌লের। পশু জবাই‌য়ের পর এর রক্ত ও অন‌্যান‌্য বর্জ‌্য প‌ড়ে না থা‌কে সে‌দি‌কে খেয়াল রাখ‌তে হ‌বে। যত্রতত্র পশু জবাই না ক‌রে নি‌র্দিষ্ট স্থা‌নে করাই বাঞ্চনীয়। না হয় আমা‌দের প‌রি‌বেশ‌কে দুর্গন্ধময় ও দু‌ষিত ক‌রে তোলার ক্ষে‌ত্রে আমরাই আমা‌দের শত্রু হ‌য়ে দাঁড়াব। কোরবানীর পশুর চামড়া নি‌য়ে যা‌তে কোন প্রকার অপ্রী‌তিকর প‌রি‌স্থি‌তির উদ্ভব না হয় তজন‌্য প্রশাসন সহ এলাকাবাসীরও এক‌টি দা‌য়িত্ব থে‌কে যায়। এ‌ক্ষে‌ত্রে সু‌নি‌র্দিষ্ট নিয়ম রক্ষায় সকল‌কে স‌চেতন থাক‌তে হ‌বে।

তাছাড়া এবা‌রের ঈদ উল আযহা আমরা পালন কর‌তে চ‌লে‌ছি এক ভিন্ন প‌রি‌স্থি‌তি‌তে। ক‌রোনার সংক্রম‌নে সমগ্র বিশ্ব এক বিভী‌ষিকাময় প‌রি‌স্থি‌তি অ‌তিক্রম কর‌ছে। প্রিয় মাতৃভূ‌মি বাংলা‌দেশ ও আমার চট্টগ্রামেও ক‌রোনার কুপ্রভাব র‌য়ে‌ছে।

সামা‌জিক দুরত্ব ও পারস্প‌রিক সংস্পর্শ এ‌ড়ি‌য়ে আমা‌দের‌কে দৈন‌ন্দিন কর্মকান্ড প‌রিচালনা কর‌তে হ‌চ্ছে। অর্থ‌নৈ‌তিক ব‌্যবস্থা যা‌তে ভে‌ঙ্গে না প‌ড়ে, সে লড়াইটাও কর‌তে হ‌চ্ছে ক‌রোনার সা‌থে যু‌দ্ধের পাশাপা‌শি। প্রয়োজনীয় সমস্ত স্বাস্থ‌্য বি‌ধি মে‌নেই ক‌রোনার সা‌থে লড়াই‌য়ের পাশপা‌শি আমা‌দের ধর্মীয়, সামা‌জিক, অর্থ‌নৈ‌তিক ও রাজ‌নৈ‌তিক কার্যক্রম প‌রিচালনা কর‌তে হ‌বে।

বিগত ঈদ উল ফিত‌রে আমরা যেভা‌বে স্বাস্থ‌্যবি‌ধি মে‌নে পারস্প‌রিক শু‌ভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে আমা‌দের স‌চেতনতা ও সক্ষমতা দে‌খি‌য়ে‌ছি। ঈদ উল আযহা’ তেও তদ্রুপ স‌চেতনতা রক্ষা করার জন‌্য আ‌মি সক‌লের প্রতি আহ্বান রাখ‌ছি। সহসাই ক‌রোনামুক্ত হ‌য়ে ঘু‌রে দাঁড়া‌বে প্রিয় স্ব‌দেশ, বিশ্ব জাহান এ প্রত‌্যাশা রে‌খে সকল‌কে জানাই ঈদ মোবারক।

সক‌লের কল‌্যান হোক।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু শেখ হা‌সিনা।
বাংলা‌দেশ চিরজী‌বি হোক!

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।