খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন শনিবার সকালে ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর সড়কে বাঙালির স্বাধীন জাতিসত্তা নির্মাণের স্মৃতিময় স্বাক্ষী ৩২ নং ধানমন্ডীর বঙ্গবন্ধু ভবনে যান। সেখানে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্ট ট্রাজেডিতে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদেও উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রধানতম বন্দর নগরীতে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান দিতে আমি আমার সকল সামর্থ শতভাগ উজাড় করে দেব। রাজনীতির সহায়ক প্রতিপাদ্য পরিপূরক ব্রত হলো জনসেবা। এই ব্রত পালনে স্বচ্ছতা,সততা ও নিষ্ঠাই আমার চালিকা শক্তি এবং চট্টগ্রামকে একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা কার্যক্রমগুলোর পরিধি বাড়াবে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার আইনানুযায়ী প্রশাসক হিসেবে বেঁধে দেওয়া ১৮০ দিনের প্রতিদিনই নগরীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক সমাধানে চসিকের মোট জনবলকে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রাখবো। সর্বোপরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত শৃংখলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সামগ্রগ্রিক কর্মকান্ডের গতি বাড়িয়ে কাজের সুফল নগরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হবো।

তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইড লাইন আমার শক্তি ও প্রেরণা সূত্র। আমার পূর্বসূরী সাবেক মেয়রদের সকল ভালোকাজগুলোকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধারণ করে আরো ভালো কাজে উদ্যোগেী হতে সচেষ্ট থাকবো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, রাজনীতিক সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, মেমন হাসপাতালের পরিচালক ডা. আশীষ মুখার্জী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বস্তি ও বন কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আলী চৌধুরী (জয়), নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবু সাদাত মো. তৈয়ব, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর যুবলীগ যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, ফরহান আহমেদ, মাঈনুল হক লিমন, মহিউদ্দিন শাহ, তারেক হায়দার বাবু, আব্দুস সালাম মাসুম, নুরুল কবির, বদিউল আলম রাসেল, মোরশেদ আলম, এএসএম জাহিদ হোসেন, সমীর মহাজন লিটন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, মোঃ সাইফুল্লাহ আনছারী, সরওয়ার্দী এলিন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা রিপোটার্স ইউনিট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সাথে খোরশেদ আলম সুজন : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নিযুক্ত প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবসীর ভোগান্তি লাঘবে যখন যা-কিছু প্রয়োজন আমি তা-ই করবো। আমি একজন রাজনীতিক হিসেবে প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে মানুষের সুখ-দুু:খের সাথী হিসেবে আছি। পথ-পদবী-ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক কোন সমস্যার কথা জানতে পেরেছি তখনই তা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আমলে আনতে আবেদন-নিবেদন ও প্রয়োজনে চাপ সৃষ্টি করেছি। নাগরিক সমাজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সম্পর্কে আমি সম্যক ধারনা রাখি। তাই চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক হিসেবে নিজস্ব লোকবল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদেরকে সাথে নিয়ে আমি রাস্তায় থাকবো, মানুষের পাশাপাশি থাকবো। আমি আগেও রাস্তায় ছিলাম এখনো আছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত থাকবো। কেননা এই রাস্তাই শিক্ষা-দীক্ষা-চেতনা ও সকল অজনের অভিজ্ঞণের ভিত্তি সোপান।

তিনি আজ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) নসঢাকা রিপোটার্স ইউনিট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি চসিকের যাদেরকে নিয়ে মাঠে থাকবো তাদের তিল পরিমান বিচ্যুতি,অনিয়ম বা নয়-ছয় করার প্রবণতাকে বরাদস্ত করবো না। যারা যোগ্য,দক্ষ্য ও আন্তরিক তাদেরকে বুকে টেনে নেব। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন আমি তাঁর প্রতিদান দিতে চাই। তাই গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতায় সরকার সিটি কর্পোরেশন সহ সকল সেবা সংস্থার ভাবমূর্তীকে উজ্জ্বল করতে প্রত্যয়ী। যেসমস্ত চট্টগ্রামের সন্তান ঢাকায় সাংবাদিকতা করছেন তাঁরা আমাদের দূত। তাদের ইতিবাচক সমালোচনা পরামর্শ আমি অবশ্যই আমলে নেব।

মতবিনিময় সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনদৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরামের সভাপতি সাহেদ ছিদ্দীকি, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ নোমান, সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফরাত, দীপ্ত টেলিভিশনের হেড অব দ্য নিউজ ইব্রাহীম আজাদ প্রমূখ।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।