খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা একাদশে নেই মেসি-রোনালদো

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা একাদশে নেই মেসি-রোনালদো

বিগত ১৫ বছরে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল হয়েছে সময়ের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া। এবার প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা একাদশেও নেই দুই মহাতারকার একজনও।

দুই তারকার ক্লাবই আগেভাগে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। স্বাভাবিকভাবেই দুই তারকাও তাই চলে গেছেন সেরা একাদশের বাইরে।

নিজেদের ইতিহাসের ৬ষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে একক আধিপত্য দেখিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে জিতে নিয়েছে এক আসরের সবগুলো ম্যাচই। সেরা একাদশেও দাপট হ্যান্সি ফ্লিক বাহিনীর।

ফুটবল ভিত্তিক জনপ্রিয় গণমাধ্যম গোলডটকমের বিচারে সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন ক্লাবটির ৮ জন ফুটবলার। টুর্নামেন্টে রানার আপ হলেও পিএসজি থেকে সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন কেবল নেইমার। এছাড়া বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও লিপজিগের ১ জন করে জায়গা পেয়েছেন সেরা একাদশে।

দেখে আসা যাক গোল ডটকমের সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া ফুটবলারদের আসরের পারফরম্যান্স।

গোলডটকমের সেরা গোলকিপার বায়ার্ন মিউনিখ অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যার।

২০১৮ বিশ্বকাপে বাজে পারফর‌ম্যান্সের পর অনেকেই বলেছিলেন, ফুরিয়ে গেছেন ম্যানুয়েল নয়্যার। তবে সমালোচকদেরকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত এই গোলকিপার।

ফাইনালে দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখিয়েছেন নয়্যার। অনেকেই বলছেন, একা হাতেই তিনি হারিয়ে দিয়েছেন পিএসজিকে। কেবল ফাইনালেই নয়, পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন নয়্যার। আসরে ৬বার ক্লিনশিট পাইয়ে দিয়েছেন জার্মান ক্লাবটিকে। স্বাভাবিকভাবেই সেরা একাদশে গোলকিপার হিসেবে সেরা পছন্দও এই জার্মান গোলকিপার।

রাইটব্যাকে গোলডটকমের পছন্দ বায়ার্ন ডিফেন্ডার জসুয়া কিমিচ। কেবল ডিফেন্সেই নয়, মিডফিল্ডেও দুর্দান্ত ছিলেন ২৫ বছর বয়সী তারকা। আসরে সবচেয়ে বেশি ২৮টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন কিমিচ। শিরোপানির্ধারণী ফাইনালে কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলটিরও যোগানদাতা কিমিচ। বলা হচ্ছে, বায়ার্নের আগামীর অধিনায়কও তিনি।

গোলডটকম সেন্ট্রাল ব্যাকে রেখেছে আরেক জার্মান ক্লাব লিপজিগের ডিফেন্ডার ডায়ট উপামেকানোকে। মাত্র ২১ বছর বয়সী এই তরুণ দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। দলকে সেমিফাইনালে টেনে তোলার ক্ষেত্রে তার অবদান ব্যাপক। বিশেষ করে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স তাকে ফুটবল বিশ্বে আলাদা পরিচিতি পাইয়ে দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, আগামী মৌসুমেই ইউরোপের শীর্ষ কোন ক্লাবে দেখা যাবে এই ডিফেন্ডারকে।

এছাড়া সেন্ট্রাল ব্যাকে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের আরেক তারকা ডেভিড আলাবা। লেফটব্যাক হিসেবে মৌসুম শুরু করলেও, সেন্ট্রালব্যাকেও নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন আলাবা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা একাদশের লেফটব্যাকে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের সাড়া জাগানো উইঙ্গার আলফোন্সো ডেভিস। কানাডার উদ্বাস্তু শিবির থেকে উঠে আসা এই উঠতি তারকার প্রতি এরইমধ্যে নজর পড়েছে বিশ্ব ফুটবলের। মাত্র একবছরেই বায়ার্ন মিউনিখের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে আলফোন্সো। এছাড়া গোলের যোগান দিতে বেশ দক্ষ তিনি। বিশেষ করে বার্সেলোনার বিপক্ষে কিমিচকে তৈরি করে দেয়া বলটি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা গোল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেরা একাদশের রাইট উইংয়ে আছেন বায়ার্ন তারকা সার্জি গ্যানাব্রি। আর্সেনাল হয়তো আফসোসে পুড়ছে। কারণ দারুণ প্রতিভাবান এই উইঙ্গারকে ধরে রাখতে পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি। তাদের ক্ষতিতে লাভবান বায়ার্ন। দুর্দান্ত একটা আসর কাটিয়েছেন গ্যানাব্রি। আসরে করেছেন ৯টি গোল।

সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে আছেন বায়ার্নেরই আরেকজন। তিনি থিয়াগো আলকান্তারা। খুব বেশি গোলের যোগান দিতে পারেননি তিনি। তবে পুরো আসরে বায়ার্নের মাঝমাঠের কান্ডারি হয়ে ছিলেন। আসরে ৮৩২টি পাস দিয়েছেন এই স্প্যানিশ। তারচেয়ে বেশি নেই আর কারো।

মিডফিল্ডের অন্যজনও বায়ার্ন মিউনিখের। তিনি থমাস মুলার। সেরা একাদশে তারা থাকাটা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। আসরে ৪ গোলের পাশাপাশি ২ গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন।

গোলডটকম তাদের সেরা একাদশের লেফট উইংয়ে রেখেছে পিএসজি তারকা নেইমারকে। ফাইনালে হেরে অশ্রুসিক্ত বিদায় নিলেও, বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলারের হাত ধরেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল ফরাসী ক্লাবটি। আসরে খুব বেশি গোল নেই তার। করেছেন মাত্র ৩টি গোল, যোগান দিয়েছেন ৪টিতে। তবে পিএসজির আক্রমণভাগের মূল দায়িত্বটা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

স্ট্রাইকিং পজিশনে অবধারিতভাবেই আছেন বায়ার্ন তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি। অসাধারণ একটা আসর কাটিয়েছেন পোলিশ তারকা। ১১ ম্যাচে করেছেন ১৫ গোল। অল্পের জন্য আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি, তবে দলকে ট্রফিটা জিতিয়েছেন ঠিকই। গোল তো করেছেনই, ৫টি গোলের যোগানও দিয়েছেন লেওয়ানডস্কি।

সেরা একাদশের অন্য স্ট্রাইকার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তারকা এর্লিং হ্যালান্ড। ক্লাব আগেভাগে বিদায় নিলেও, নিজের গোলক্ষুধার প্রমাণ দিয়েছেন এই তরুণ। মাত্র ৮ ম্যাচে ১০ গোল করে তাই আসরের সেরা একাদশে আছেন হাল্যান্ডও।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।