খুঁজুন
শনিবার, ৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াসায় বৈঠক:সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে সমন্বিত উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই-সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
ওয়াসায় বৈঠক:সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে সমন্বিত উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই-সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীতে ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নে রোড কাটিংয়ের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন না হওয়ায় নাগরিক দূর্ভোগ বাড়ছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনের সাথে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি আজ দামপাড়াস্থ ওয়াসা ভবনে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম ফজলুল্লাহ’র সাথে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, যেখানে সড়ক উন্নয়নকাজ চলমান সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের রোড কাটিং কাজ করে সড়কগুলোকে যান চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে। যেসকল সড়কে চসিকের উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হয়েছে সেখানে রাস্তা কর্তন বিষয়ে আগেভাগে দুই কর্র্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সমন্বিত কর্মপন্থা প্রণয়ন করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে এ ধরনের উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই।

এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক(প্রশাসন) তাহেরা ফেরদৌস, সচিব শারমিন আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, উপ সচিব নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

চসিক প্রশাসকের বিবৃতি
শুন্য কাউন্সিলর পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে শুন্য কাউন্সিলর পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া না হলেও এ-নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানোয় প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমে প্রদত্ত বক্তব্যে বলেছেন, কোন ওয়ার্ডে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার এ্যাক্ট (সিটি কর্পোরেশন-২০০৯) অনুযায়ী কাউন্সিলর পদটি এখন শুন্য। এই পদে থেকে মেয়াদকালীন সময়ে কাউন্সিলর যে কাজগুলো বিশেষ করে ওয়ারিশান, জাতীয়তা সনদপত্র,জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করতেন তা প্রাপ্তিতে ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কাজে তাঁদেরকে স্থানীয় অভিজ্ঞ ও মুরুব্বীদের সহায়তা গ্রহণেরও পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

সর্বোপরি চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমকে ১ থেকে ১৪ নং ওয়ার্ড, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াকে ১৫ থেকে ২৮ নং ওয়ার্ড ও সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে ২৯ থেকে ৪১ নং ওয়ার্ডের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে ওয়ারিশ সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক ওয়ারিশ চিহ্নিতকরণে কয়েকজন মুরব্বী, শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য ওয়ার্ড সচিবগণকে বলা হয়েছে। তাদের কোনভাবেই ওয়ার্ড অফিসে এসে কোন ধরণের কার্যক্রমে সংযুক্ত হতে বলা হয়নি। এ ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে তা সম্পুর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত।

যারা এসব করছেন তাদের এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে প্রশাসক বলেন, নগরবাসী যাতে এধরনের কোন গুজবে কান দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ওয়ার্ড অফিসের কোন কার্যক্রমে সরাসরি ওয়ার্ড সচিবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এতে কোন প্রকার জনভোগান্তি কিংবা অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমার ফেইজবুক পেজ কিংবা দাপ্তরিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইল। স্ব-প্রণোদিত হয়ে যারা এসব গুজব রটাচ্ছেন তারা যেন এহেন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকেন নচেৎ তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

নগরবাসীর গণসাক্ষাতকার গ্রহণকালে প্রশাসক সুজন
জবাবদিহিতা প্রদানের বাধ্যবাধকতা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে এবং যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয় তার প্রতিটি কানাকড়ির হিসাব জনগণের কাছে জবাবদিহিতা প্রদানে শতভাগ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই জবাবদিহিতা প্রদানের দায়বদ্ধতা থেকে নাগরিকদের অভাবÑঅভিযোগ ও সমস্যার কথা সরাসরি শুনতে আজ (সোমবার) থেকে গণ সাক্ষাতকার গ্রহণের ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু হলো। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হলো নগরবাসীর অভিযোগ ও সমস্যাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি,স্বচ্ছতা আনায়ন এবং নগরবাসীর মাঝে আস্থা ও নির্ভরতার ভিত্তিতে প্রোথিত করা।

তিনি আজ সকালে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগর ভবনে অনুষ্ঠিত গণসাক্ষাতকার গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথাগুলো বলেছেন।

তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন এবং বলেন, চট্টল দরদী এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পথ ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। নির্দ্দিষ্ট বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব নগরবসীর দূর্ভোগ লাঘবে আমি প্রতিদিন সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথাগুলো শুনে তার দ্রুত সমাধানের জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। আমার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি নগরবাসীর হৃদয়মনের কাছাকাছি পৌঁছে তাদের চাওয়া পাওয়া এবং অপূর্ণ আকাঙ্খাগুলো জানা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোন কোন ক্ষেত্রে অনিয়ম অস্বচ্ছতা গাফিলতি ও ব্যবস্থাপনাগত শৃংখলার অভাব রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে সেবাখাতগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

তাই আমি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে, নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকা আমাদের বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং সকল ব্যয় নির্বাহের প্রধান উৎস। তাই প্রতিটি কানাকড়ি হিসেব-নিকেশের জবাবদিহিতা নগরবাসীর কাছে প্রদানের নৈতিকতাকে অবশ্যই অন্তরে ধারন করতে হবে। কোন ক্ষেত্রেই যেন তিল পরিমাণ নয়-ছয় না হয়। স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও তিল পরিমান বিভ্রম ও বিচ্যুতিকে ছাড় দেয়া যাবে না।

তিনি আজকের গণস্বাক্ষাতকারে যারা বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ ও সমস্যার কথাগুলো জানিয়েছেন সেগুলোকে আমলে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করে বলেন, আপনাদের অভাব-অভিযোগুলো যাচাই-বাছাই করে এবং এগুলোর সত্যতা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ-কেউ এও বলেছেন যে, চাকুরী দেয়ার নাম করে নিকট অতীতে কোন কোন ব্যক্তি টাকা-পয়সা নিয়েছেন। এতে তারা প্রতারিত হয়েছেন। এ অভিযোগটি দু:খজনক। আমি এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।

তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল আর্থিক লেনদেন, মোট জনবলের বেতন-ভাতা প্রদানসহ আর্থিক আদান প্রদানের অনলাইন ওয়ান ব্যাংকের সাথে অনলাইন ব্যবস্থাপনার যে চুক্তিটি হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় যেসকল সমস্যা আছে তা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরো জানান যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যেসকল ঠিকাদার এবং অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের পাওনার অংক এখনে অদেয় আছে সেগুলো পরিশোধে সরকারের সাথে দেন-দরবার করে পরিশোধ করা হবে বলে প্রশাসক আশ্বস্থ করেন। আজকের গণস্বাক্ষাতকারে প্রায় ২০টি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়।

এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম সহ সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

 

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর