যশোরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে এক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে গৃহবধূর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ আছে, রাতে পথিমধ্যে ১টি বাশবাগানের পাশে ওই গৃহবধূকে (৩৫) একা পেয়ে সুন্দলী ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রজিত বিশ্বাস বুলেট (৪৪) গৃহবধূর শ্লীলতাহানী ঘটায়।
এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী মামলা করতে থানায় রওয়ানা দিলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে মামলা করতে বাঁধা দিয়েছে। পরে ওই রাতেই সুন্দলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রকাশ বিশ্বাস বুলেটকে দিয়ে ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি রফা করে, বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের সাথে ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে , সোমবার রাত ৯ টার দিকে ওই গৃহবধূ বাড়ির পার্শ্ববর্তী দোকানে সদাই কিনতে যায়। সদাই কিনে ফেরার পথিমধ্যে একটি বাঁশ বাগানের কাছে পৌছালে ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রজিত বিশ্বাস বুলেট তাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালিয়েছে। এই সময় ওই গৃহবধূ তার কাছ থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় মারে লম্পট বুলেটকে। এই সময় ওই গৃহবধূ চিৎকার দিলে যুবলীগ নেতা বুলেট পালিয়ে যায়। এই ঘটনা জানার পর ওই গৃহবধূর স্বামী ওই রাতেই থানায় মামলা করতে রওয়ানা দিলে স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি তার গতিরোধ করে ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর প্রকাশ বিশ্বাসের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে লম্পট বুলেটকেও হাজির করা হয়েছিল।
তবে ওই গৃহবধূ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। পরে ইউপি মেম্বার উপস্থিত কতিপয় ব্যক্তির সাথে বুলেটকে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ক্ষমা চাইতে পাঠায়। তবে বুলেট ওই বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই গৃহবধূ তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। পরে বুলেট ওই গৃহবধূর কাছে ক্ষমা চাইলে স্থানীয়দের চাপে ওই গৃহবধূ তাকে ক্ষমা করেছে বলে জানায়।
এই ব্যপারে যুবলীগ নেতা প্রজিত বিশ্বাস বুলেটের ব্যবহৃত ০১৮৭৬-০৫৭২৪৪ নম্বরে একাধিক বার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রকাশ বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি ক্ষমা চাইয়ে শ্লীলতাহানীর ঘটনার রফা করেছে স্বীকার করে বলেছেন, “যুবলীগ নেতা প্রজিত দাবি করে রাতের অন্ধকারে ওই গৃহবধূর সাথে তার ধাক্কা লেগেছিলো। তাই ক্ষমা চাইতে বলেছি। তবে ওই গৃহবধূর সাথে ইউপি মেম্বর কোন কথা বলেন নি বলে জানিয়েছেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
আপনার মতামত লিখুন