খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ৪দিন পর আফ্রিকার মোজাম্বিকে মিলল বাঁশখালীর ইসলামের লাশ!

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:০৪ অপরাহ্ণ
নিখোঁজের ৪দিন পর আফ্রিকার মোজাম্বিকে মিলল বাঁশখালীর ইসলামের লাশ!

চট্টগ্রাম ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিকের প্রেম্বা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর সন্ধান মিলেছে প্রবাসি বাংলাদেশি নুরুল ইসলাম (৩০)র। তবে জীবিত নয়, তার গলাকাটা লাশের খোঁজ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কল্যাণে।

গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেখে লাশটি উদ্ধার করে সেদেশের পুলিশ। তারা জানিয়েছে প্রেম্বা এলাকা থেকে অন্তত ৬শ কিলোমিটার দুরে মাতামিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে ৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এ রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাম্বল পাতালা মার্কেট এলাকার মুহাম্মদ হোসাইনের ছেলে বলে জানা গেছে। সে মোজাম্বিকের পালমা ডিস্ট্রিকের পালমাতে এক বাঙ্গালীর অধীনে চাকরি করত।

নিহত নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য শনিবার আমার বড় ভাই তার গাড়ি নিয়ে নিকটস্থ সরকারি দফতরের উদ্দেশ্য যান। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই ব্যাপারে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজের ৪ দিন পর বাংলাদেশ সময় বিকাল আনুমানিক ৪টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাতামিয়া পাহাড়ি এলাকায় আমার ভাইয়ের গলাকাঁটা লাশের সন্ধান পাই।

আফ্রিকা প্রবাসী অনেকেই ধারণা করছেন, মোজাম্বিকের প্রেম্বা শহরকে জনশুন্য করতে মূলত একটি জঙ্গিগ্রুপের সক্রিয় বাহীনি সবসময় তৎপর থাকে। স্থানীয়সহ প্রবাসী বাঙ্গালীদেরকে তারা ধরে নিয়ে যায় প্রায় ৬শ কিলোমিটার দুরে তাদের আস্তানা পালমা এবং মাতামিয়া পাহাড়ি এলাকায়।

তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী গ্রুপের ওই জায়াগা স্থানীয় প্রশাসের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। তারা প্রতিনিয়ত লোকজনদের ধরে নিয়ে হত্যা করে এবং তারা নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতদের ছবি প্রচার করে।

এদিকে প্রবাসি ব্যবসায়ি নুরুল ইসলামের গলাকাঁটা লাশ উদ্ধারের খবরে তার নিজ বাড়ী বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল মাঝর পাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

২৪ ঘণ্টা/আর এস প্রিন্স

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।