খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোয়ালখালীতে মৃত প্রবাসীর ভূয়া ওয়ারিশ, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের টাকা হাতানোর চেষ্টা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
বোয়ালখালীতে মৃত প্রবাসীর ভূয়া ওয়ারিশ, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের টাকা হাতানোর চেষ্টা

২৪ ঘণ্টা বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মৃতের ভূয়া ওয়ারিশ সেজে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন কধুরখীলের ইউনিয়নের মোক্তার হোসেন টিপু নামের এক ব্যক্তি।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর কধুরখীল ইউনিয়নের আবদুল নবী মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী মো.ইউছুপ মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে যান।

ইউছুপের মৃত্যুর পরদিন পার্শ্ববর্তী বাড়ি আবদুল লতিফ মিস্ত্রির বাড়ির হাফিজুর রহমানের ছেলে টিপু (৩০) মৃত প্রবাসীর স্ত্রী জাহেদা বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ইউছুপের পাসপোর্টটি কিনতে চান। এতে ইউছুপের পরিবার প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরবর্তীতে তা ইউছুপ লোভ দেখিয়ে তা হাতিয়ে নেন।

এরপর টিপু আবেদন করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডে মৃত্যু পরবর্তী সরকার ঘোষিত ৩ লাখ টাকার মৃত্যু দাবি। তাতে তিনি নিজেকে মৃত প্রবাসী মো. ইউছুপ মিয়ার একমাত্র ওয়ারিশ দাবি করেন এবং এতদ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করেন।

চলতি বছরের গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ৩শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সর্বশেষ টাকা প্রাপ্তির ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর নিতে আসেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে।

তাতে চেয়ারম্যান সব কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে সন্দেহ হলে স্বাক্ষর না করায় টিপু চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল সই দিয়ে তার ব্যাংক স্টেটম্যান্টসহ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জমা দেন।

তিন লাখ টাকা প্রাপ্তির চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে ঘটে বিপত্তি। মৃতের বাড়ির ঠিকানা আবদুল ‘নবী’ মিস্ত্রি ও মৃতের একমাত্র ওয়ারিশ টিপুর বাড়ির ঠিকানা আবদুল ‘লতিফ’ মিস্ত্রি বাড়ি উল্লেখের কারণে।

বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তদন্তে বেরিয়ে আসে ‘থলের বিড়াল’। স্থানীয়রা জানান, টিপু প্রবাসী মৃত ইউছুপের পুত্র কিংবা আত্মীয় স্বজন কেউ নন।

এ বিষয়ে মৃত প্রবাসীর একমাত্র ভূয়া ওয়ারিশ দাবি করায় টিপুর বিরুদ্ধে গত ১৭সেপ্টেম্বর বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবাসীর ছেলে মো. আসিফ।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, মৃতের ওয়ারিশ সেজে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত প্রবাসীর টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলো ইউছুপ। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম শেফু বলেন, টিপু আমার স্বাক্ষর জাল করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র জমা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, টিপুর বিরুদ্ধে এরকম জালিয়াতির আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। টিপু মৃত প্রবাসী ইউছুপ মিয়ার পুত্র নয় এবং একই বাড়িতেও তার বাড়ি নয়। তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।

২৪ ঘণ্টা/পুজন/রাজীব

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।