খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজন ও পরিমাপকে ঠকছে ক্রেতারা; প্রতিকারহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৩০ অপরাহ্ণ
ওজন ও পরিমাপকে ঠকছে ক্রেতারা; প্রতিকারহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার

২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : ভোক্তাদেরকে নিরাপদ মানসম্মত খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য সঠিক মান ও সঠিক পরিমাপে ক্রয় নিশ্চিতে দেশব্যাপী বিএসটিআই এর নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিম ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ উৎপাদনারী, সরবরাহকারী, ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।

তারই অংশ হিসাবে রবিবার (০৪ অক্টোবর) বিএসটিআই চট্টগ্রাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম কর্তৃক যৌথ বাজার সার্ভিল্যান্স অভিযানের মাধ্যমে নগরীর রেয়াজউদ্দীন বাজারে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ফলের দোকান, মাংশের দোকান, ও মুরগির দোকান যাচাই করা হয়।

যাচাই কালে মের্সাস আলমগীর স্টোর, ৬০৪ স্টেশন রোড়, রেয়াজ উদ্দীন বাজার কর্তৃক বিএসটিআই মান সনদ বিহীন মুধু বিক্রয়, বিতরণ ও ও সংরক্ষন করার অপরাধে বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন ২০১৮ অনুযায়ী ১টি, হাজী জালাল স্টোর, ১০৬ সোলতান মার্কেট, রেয়াজউদ্দীন বাজার, চট্টগ্রাম কর্তৃক মোড়কজাত নিবন্ধন সনদ বিহীন অবৈধ ঘি বিক্রয়, বিতরণ ও সংরক্ষনের অপরাধে এবং মোর্সাস নাছিরের মুরগির দোকান(নাছির চিকেন হাউজ), জলিল টাউয়ার, আবদুল্লাহ সিদ্দিকী রোড়, রেয়াজ উদ্দীন বাজার, চট্টগ্রামকে ওজনে কারচুপি করায় প্রতিষ্ঠান দু’ টির বিরুদ্ধে “ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন ২০১৮” অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা কালে বিএসটিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক নুর মোহাম্মদ মোস্তফা, পরিদর্শক মুকুল মৃদা, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস ও ক্যাব পাঁচলাইশ থানার সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

নগরীর প্রশাসনের নাগের ডগায় নগরীর অন্যতম পাইকারী ও খুচরা বাজার বেয়াজউদ্দীন বাজারের মতো জায়গায় এখনও বাটখারা দিয়ে ওজন পরিমাপ করা হচ্ছে। যাতে দেখা যাচ্ছে মুরগিতে ১ কেজিতে দেয়া হচ্ছে ৭৭৬ গ্রাম আর ২ কেজিতে ১.৫৩৯ গ্রাম। বাজার তদারিকেতে উপস্থিত ক্যাব নেতৃবৃন্দ হতবাক হয়ে যান কিভাবে প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজনের নজরদারি সত্বেও একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা কিভাবে এ ধরনের প্রতারণা করে যাচ্ছেন।

বিএসটিআই এর “ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন ২০১৮” অনুযায়ী বাজারে বাটখারার পরিবর্তে ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার করার কথা এবং ওজন পরিমাপ যন্ত্রটির মান বছরে একবার বিএসটিআই কর্তৃক ক্যালিব্রেশন/পরিক্ষীত হবার কথা থাকলেও কোনটিই করা হয়নি। অধিকন্তু পরিমাপ যন্ত্রটির ক্যালিব্রেশন/পরীক্ষার স্টিকার/সনদটি দৃশ্যমান স্থানে লটকানোর কথা থাকলেও সাধারনত তা মানা হয় না। ব্যবসায়ীরা এমন ভাবে স্টিকারটি রাখেন যাতে শুধুমাত্র বিএসটিআইএর কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় দেখতে পান। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা ওজনে কারচুরি শিকার হচ্ছেন।

বিএসটিআই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী সেলিম রেজার সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিএসটিআই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ল্যাব) সর্দার শামীম সওদাগর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর ও চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্পাদক ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাব যুব গ্রুপের শেখ জাবের আল মিজান প্রমুখ।

সভায় বলা হয় ভোক্তারা খাদ্য-পণ্য ছাড়াও ক্রেতারা ওজন ও পরিমাপে কারচুপির শিকার হলেও প্রতিকার পাওয়া দুস্কর। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রগুলিতে ডিজিটাল উপায়ে কারচুপি করা হচ্ছে। আর ওজন যন্ত্রটি বিএসটিআই থেকে ক্যালিব্রেশন করার পর স্টিকারটি যথাযথভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ফলে ভোক্তারা বৈধ ক্যালিব্রেশণ যন্ত্র দিয়ে পণ্য ক্রয় করার বিষয়ে জানতে পারছে না। ভোক্তাদেরকে ওজন ও পরিমাপকে কারচুপি বন্ধে বাজারভিক্তিক ব্যবসায়ীদের সাথে সচেতনতা সভা আয়োজন করা ও যৌথভাবে ওজন ও পরিমাপক মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও অনেকগুলি খাদ্য-পন্য ব্যবসায়ীরা একটি পণ্যের লাইসেন্স নিয়ে ৮/১০ পন্য বাজারজাত করছে। আবার ব্যবসায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আউট র্সোসিং করে খাদ্য-পণ্য বাজারজাত করছেন। কিন্তু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলি যে উৎস থেকে খাদ্য-পণ্য সংগ্রহ করছেন তার মান বিএসটিআই কর্তৃক সনদ প্রাপ্ত নয়। এ ধরনের বিষয়গুলি রোধে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করা এবং খাতঅনুযায়ী প্রাপ্ত অনিয়মগুলি সভায় উপস্থাপন করা এবং বাজার মনিটরিং বিষয়গুলি অগ্রাধিকার ভাবে সমাধান করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

ক্যাব নেতৃবৃন্দ নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য পণ্য নিশ্চিতে অত্যধুনিক মান পরীক্ষাগার সুবিধার বিষয়টি উত্থাপন করেন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিংহভাগ খাদ্য-পণ্য আমদানি হলেও অধিকাংশ পণ্যের মান পরীক্ষা করা হয় ঢাকায়। সেকারনে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এবং ব্যায় বাড়ছে। বিএসটিআই আঞ্চলিক পরিচালক জানান ভবন সংকটের কারনে চট্টগ্রামে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরেও পণ্যের মান পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। ভবন সংকট দূরীভুত হলে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। পরে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বিএসটিআইএর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন মান পরীক্ষায় ল্যাব এর সম্প্রসারিত সুবিধাগুলি পর্যবেক্ষন করেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।