খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামগড়ের পৌর মেয়র রিপনের বিরুদ্ধে মসজিদের কোটি টাকা কুক্ষিগত করার অভিযোগ দুই সহোদরের

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
রামগড়ের পৌর মেয়র রিপনের বিরুদ্ধে মসজিদের কোটি টাকা কুক্ষিগত করার অভিযোগ দুই সহোদরের

নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : রামগড় পৌরসভার মেয়র কাজী মোহাম্মদ শাহজাহান রিপনের বিরুদ্ধে সোনাইপুল মসজিদের কমিটি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা কুক্ষিগত করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই আপন দুই সহোদর।

গত মঙ্গলবার মসজিদের সাধারণ সভায় এসব অভিযোগ করেন মসজিদের ভূমিদাতা (মেয়র ও অভিযোগকারীদের পিতা) সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রুহুল আমিনের ছেলে কাজী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইসলাম শাহেদ এবং কাজী সাইফুল ইসলাম শিমুল।

আছরের নামাজের পর এলাকার সকল মুসল্লী,গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী শাহাজান রিপন, সাধারণ সম্পাদক রবি মজুমদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাহার উল্লাহ মজুমদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, জসীম চৌধুরী এবং সোনাইপুল বাজার কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম সাহেদ।

সাধারণ সভায় দীর্ঘদিন ধরে কমিটি আটকিয়ে রেখে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন কমিটির সভাপতি পৌর মেয়র ও মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহাজাহান রিপন বলেন, তাঁর সময়েই মসজিদের জায়গা বৃদ্ধির জন্য দশ শতক জায়গা কেনা হয়েছে এবং মসজিদে আধুনিক শীততাপ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। রামগড় স্থল বন্দরের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।

মসজিদ কমিটির সভাপতির বক্তব্যের বিরোধীতা করে তাঁর ভাই কাজী শাহরিয়ার ইসলাম শাহেদ বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে কমিটি আটকিয়ে রেখে উন্নয়ন মূলক কাজের নামে নানা রকম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে কমিটির সভাপতি। এই ১৪ বছরে একবারের জন্যও মসজিদের আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব দেননি। স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে মসজিদের জায়গা ক্রয় এবং শীততাপ যন্ত্র লাগানোর নাম করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় মসজিদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গেছে বলে জানান।

তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, স্থল বন্দরের জন্য মসজিদের জায়গার ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই কোটি বাষট্টি লক্ষ টাকা বর্তমান সভাপতির অধীনে নিয়ে আসলে সেটি তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর (মেয়র) পৌর নির্বাচনের খরচের জন্য ব্যবহার করবেন বলে অভিযোগ করেন কাজী শাহরিয়ার।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক বরাবর এক লিখিত অভিযোগে কাজী শাহরিয়ার ইসলাম শাহেদ ও কাজী সাইফুল ইসলাম শিমুল উল্লেখ করেন, মসজিদের জন্য তাঁদের পিতার দানকৃত জায়গার পঁয়ত্রিশ শতক ভূমি রামগড় উপজেলা এক্সেস লোড স্টেশন কন্ট্রোলার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পড়েছে। জায়গা বাবদ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যে ক্ষতিপূরণ পাবেন তা বর্তমান সভাপতির হাতে তুলে না দিয়ে সমাজের গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে মসজিদ ফান্ডে দান করবেন।

লিখিত অভিযোগে শাহেদ তাঁর বড় ভাই পৌর মেয়র ও মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহাজাহান রিপন ও তাঁর অপর ভাই জিয়াউল হক শিপনের বিরুদ্ধে তাঁর পিতার জায়গা বাবদ ক্ষতিপূরণের ০.০৬ ন(ছয় শতক) ভূমির ৪২৬৭০০০(বেয়াল্লিশ লক্ষ সাতষট্টি হাজার) টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাহার উল্লাহ মজুমদার মসজিদ কমিটি নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদন ধরে এই কমিটির কোন মিটিং হয়না। মসজিদ কমিটির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করায় তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। প্রাণের ভয়ে তিনি রামগড় থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন।

রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস- চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক তার বক্তব্যে বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। কোন বিশৃঙ্খলা না করে সকলকে ধৈর্য্য ধরে সুন্দর সমাধানের আহবান জানান।
দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় এমন অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।

তিনি উপস্থিত সমাজের সকলকে অনুরোধ করে বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করতে। মসজিদ কমিটির অনেকেই বেঁচে নেয়। এই অবস্থায় নতুন করে মসজিদ কমিটি গঠন ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

এদিকে মসজিদ কমিটির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে মসজিদ সংলগ্ন এলাকা গুলোতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা জোরদারে মসজিদের বাইরে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে মুসল্লীদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মসজিদ কমিটির বিরোধকে কেন্দ্র করে যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি না হয় এজন্য বাড়তি নিরপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।