খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগর সেবায় ক্যারাভান একটি সামাজিক আন্দোলন: চসিক প্রশাসক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
নগর সেবায় ক্যারাভান একটি সামাজিক আন্দোলন: চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগর সেবায় ক্যারাভান একটি সামাজিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের সূত্র ধরে আমি সামাজিক মঙ্গল চাই। আমি যে এলাকাগুলোতে যাচ্ছি, সেখানে সমস্যার সূত্রগুলোকে নির্মূল করার চেষ্টা করছি। পরের দিনই সে সমস্যাগুলো আবার তৈরি হয়। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই আমার উদ্যোগে সতীর্থ হোন।

তিনি আজ বিকেলে চকবাজার ধুনীরপুল হতে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত চসিক এর প্রকৌশল বিভাগ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে নগর সেবায় ক্যারাভান কার্যক্রমে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা। এখানে জলাবদ্ধতার সংকট রয়েছে। পাশাপাশি ভূমি দস্যুদেরও উৎপাত রয়েছে। যারা পানি নিষ্কাশনের মূল প্রণালী খাল দখল করেছে, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে, অবৈধ দোকানপাট বসিয়েছে এমনকি কর্পোরেশনের লাইন থেকে বিদ্যুৎ চুরি করছে। তাদেরকে গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন করার আহ্বান জানাই।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ একটি জগণ্যতম অপরাধ। দলীয় পরিচয় নির্বিশেষে এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করেছেন। আমাদের সমাজে ধর্ষকরা লুকিয়ে আছে এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে আমার সামাজিক ভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। ধনীয়াপুল এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে প্রশাসক বলেন, এ ধনীয়াপুল বাজারে কোন গণশৌচাগার নাই। তাই তিনি এলাকাবাসীদের একটি গণশৌচাগার স্থাপনের আশ্বাস দেন। কে বি আমান আলী রোড সংস্কার কারায় এলাকাবাসী প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।

প্রশাসক রাহাত্তারপুল এলাকায় একটি স-মিলের কাঠ অবৈধ ভাবে নালা ও ফুটপাতের উপর রাখায় প্রশাসক তাৎক্ষণিক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানসহ মালামাল জব্দ করা হবে।

এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রশাসক নগরীর এফ আই ডি সি রোডস্থ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে গুনগত মান ঠিক রেখে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগাদা দেন।

চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাত।

চমেকে’র পরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রশাসক
চট্টগ্রামে জনসংখ্যা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা অপ্রতুল

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামে জনসংখ্যা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা অপ্রতুল। চট্টগ্রাম জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করলেও সে তুলনায় নাগরিক সেবা ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে অঞ্চল ভিত্তিক জেনারেল হাসপাতাল গড়ে তোলা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিটি রোগীর জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার আহ্বান জানান প্রশাসক।

তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজাল, ফলমূল, মাছ, শাকসবজীতে ফরমালিন প্রয়োগে ক্যান্সার ঝুঁ^কি বাড়াচ্ছে। আমরা প্রয়াস চালাচ্ছি, এ ব্যাপারে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে।

তিনি আজ সকালে চমেক হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, করোনা রোগীসহ বিভিন্ন রোগীদের দিন-রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অসহায় ও অসুস্থ মানুষের সেবা করা মানে আল্লাহর সেবা করা। সেবার ক্ষেত্রে কোন ধরনের দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলা করা যাবে না। করোনাকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অনেক অবদান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে এই হাসপাতালটি সাধারণ ও মূমুর্ষ রোগীদের যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা অতুলনীয়।

তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেবার মান আরো উন্নত করার আহ্বান জানান।

এ সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর, উপ পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আফতাবুল ইসলাম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ, ডা. নাজমুল হাসান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ ভাবে রাস্তায় পাকিং এ রাখা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানকে জরিমানা করলো চসিক ভ্রাম্যমান আদালত।

রাস্তার উপর অবৈধ গাড়ী পাকিং করলে জরিমানা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান এর নেতৃত্বে আজ সকালে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে নগরীর বন্দর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং রোডের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা ট্রাক, কাভার্টভ্যান ও ট্রেলার অপসারণ করা হয়। এসময় অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির দায়ে আটটি কাভার্টভ্যান/ট্রেলার মালিক/চালককে চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে।

অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহায়তা প্রদান করেন।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

 

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।