খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস জীবনকে সুশৃঙ্খংল ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়:সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
ডায়াবেটিস জীবনকে সুশৃঙ্খংল ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়:সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ডায়াবেটিস ভয়াবহ কোন মরণব্যাধি নয়, তবে যিনি আক্রান্ত হন পরীক্ষার আগে তিনি বুঝতে পারেন না আক্রান্ত হয়েছেন। তাই উপসর্গ বেড়ে ওঠার আগেই প্রত্যেকেরই প্রয়োজন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা।

তিনি আরো বলেন, এই রোগ নিরাময় যোগ্য না হলেও মানুষকে নিজ নিজ জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ সাধন ব্রতের শিক্ষা দেয়। কোন ভারী ডোজ ও দামী ঔষধপত্র নয়, নিয়ম মাফিক শৃংখলপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিধি এই ব্যাথির একমাত্র শাস্ত্রসম্মত চিকিৎসা। যারা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তারা বেশি দিন বাঁচেন এবং জীবনধারাও পরিশ্রম সাধ্য ও সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। কাজে ও সৃজনে এই ব্যধি বাধা হয়ে ওঠে না। পৃথিবীর অনেক নামী-দামী মানুষ, এমন কি ক্রীড়াবিদ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে রেখে নিজ নিজ কর্ম-কর্তব্য করে যাচ্ছেন।বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানী ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রাম ডায়াবেটিস রোগী হয়েও দোর্দন্ড প্রতাপে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।

তিনি আজ সকালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত জাকির হোসেন রোডস্থ হাসপাতাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আজকের সভ্য মানুষের পরিবারগুলো প্রায়ই কলহ কেন্দ্রিক। মা-বাবার অমিল ও ঝগড়া ঝাটিতে অনেক সন্তন গৃহবিমূখ। তাই মানসিক ও শারীরিক রোগ-বালাই মুসিবতে তারা ভুগছে। ডায়াবেটিসের আরেকটি কারণ মানসিক ও স্নায়ুবিক উত্তেজনা। তাই সন্তানদের ভালোর জন্য আজকে মা-বাবাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

তিনি চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতালকে একটি মহৎ মানবিক সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, একটা ছোট পরিসর ও অবস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানটি বড় মহীরুহে পরিণত হয়ে মানুষকে শীতল ছায়া দিচ্ছে। এখানে অনেকেই সূলভে ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পান, তাই প্রতিষ্ঠানটি আমাদে গর্ব।

তিনি এই প্রতিষ্ঠানের গৃহকর বাবদ নবমূল্যায়ন জরীপে ধার্যকৃত ১ কোটি ২২ লাখ টাকার পরিবর্তে পূর্বের হারে গৃহকর আদায়ে চসিকের রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশন দেন।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস সমিতির অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর চৌধুরীর চসিক প্রশাসককে ধন্যবাদ জানয়ে বলেন, তিনি প্রকৃত অর্থে আমাদেরই লোক। একজন রাজনীতিক হিসেবে তিনি জনকল্যাণমূখী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের যেমন জানেন ও বুঝেন তেমনি আমরাও তাঁকে জানি ও বুঝি।

তিনি আরো বলেন, ইনসুলিন ইনজেকশনের প্রবক্তা জন বেস্টিক ও বেনজিমের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৬ সাল থেকে জাতি সংঘ প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করে আসছে।

চট্টগ্রাম ডায়েবেটস সমিতির সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী জাবেদ আফছার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, পুস্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, ডাক্তার নওশের উল্লাহ চৌধুরী, জাফর আহমেদ প্রমুখ।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।