খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০, ৫:০৮ অপরাহ্ণ
লালদিঘীকে না চিনলে চট্টগ্রামকে চেনা যাবে না: সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, লালদিঘীকে না-চিনলে, না-জানলে চট্টগ্রামকে চেনা ও জানা যাবে না। লালদিঘীকে ঘিরেই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানান বর্ণিল অধ্যায় সুচিত হয় এবং অনেক বীরত্ব গাঁথার স্মৃতির হীরকখণ্ড এখনো ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসে চোখের মণিতে জ্বলজ্বল করে। তাই লালদিঘী শুধু এক টুকরো নৈ:সর্গিক ভূমি নয়, স্মৃতি, সত্তা ও অস্তিত্বের শিকড়।

তিনি আজ শুক্রবার সকালে লালদিঘীর চারপাশ ঘিরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা বাহারী ফুল ও বৃক্ষরাজির সজীব সবুজে শোভিত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি লালদিঘী ও তৎসংলগ্ন মাঠের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপস্থাপন করে বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ নেয়া তরুণ ও যুবকদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আজ থেকে শতবর্ষ আগে আবদুল জব্বার বলী খেলার সূচনা করেন। একে ঘিরেই প্রতি বাংলাবর্ষের ১২ বৈশাখ লালদিঘীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেশের সর্ববৃহৎ বৈশাখী লোকখেলা হয়ে আসছে। এই লালদিঘীর পূর্বে চট্টগ্রাম, জেল কারাগারে ব্রিটিশ রাজশক্তি অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিল। তারপরের ইতিহাস আরো গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রমনা ভাষা শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হবার পর দিন লালদিঘী ময়দানে একুশের প্রথম কবিতা মাহবুবু উল আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ পাঠ করেছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই লালদিঘীর মাঠে সর্বপ্রথম জনসভায় ৬ দফা ঘোষণা করেন। একাত্তরের অসহযোগের অগ্নিক্ষরা দিলে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদের ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নাটক এই লালদিঘী মাঠে অভিনীত হয় এবং মৌলভী ছৈয়দ আহমদ ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জয়বাংলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মার্চপাস্ট অনুষ্টিত হয়। এটাই ছিলো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মহড়া।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালদিঘী মাঠে জনসভা করতে আসার পথে তাঁকে হত্যার প্রচেষ্টায় সামরিক স্বৈরাশাসকের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে লালদিঘীর অনতিদূরে শহীদ ২৬ জন বাঙালি। এ ধরণের অনেক বীরত্বগাঁথার অনুঙ্কার আছে লালদিঘীকে ঘিরে। তাই চট্টগ্রামের ইতিহাস, রাজনীতি-ধর্ম-সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিনোদনের ক্ষেত্রে লালদিঘীর সম্পৃক্ততা চিরকালীন ও সর্বজনীন তাই চট্টগ্রামকে চেনা ও জানার নাভিমূল বই লালদিঘী।

তিনি আরো বলেন, ১৯৩৯ সালে তৎকালীন কুলীন জমিদার নন্দনকাননের রাজ কুমার ঘোষ তাঁর নিজস্ব জায়গায় লালদিঘীর গোড়াপত্তন করেন এবং লালদিঘীর চারপাশে বাগান করেন। পরবর্তীতে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজ কুমার ঘোষের পরিবার থেকে প্রতীকী মূল্যে লালদিঘী চসিকের মালিকানাধীন করেন এবং দিঘী ও পার্কের নানন্দিক রূপ দেন। তখন এটা হয়ে ওঠে নগরবাসীর প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণের একটি অতুলনীয় উপাদান। তবে পরে এটা ধীরে ধীরে নান্দনিকতা হারিয়ে ফেলে এবং অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য এর পরিবেশ দুষিত হয়ে ওঠে। মাহিউদ্দিন চৌধুরীর ইচ্ছা ছিলো এই লালদিঘীতে সাধারণ নাগরিকদের সন্তানদের নামমাত্র মূল্যে সাঁতার শেখার জন্য একটি স্যুইমিং পোল করা। তিনি কাজও শুরু করেছিলেন। তবে ভুল বোঝাবুঝির জন্য কাজটি শেষ করতে পারেন নি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধনী পরিবারের জন্য অভিজাত ক্লাবে স্যুইমিং পোল থাকলেও সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য সাঁতার শেখার কোন সুযোগ নেই। আউটার স্টেডিয়ামের একাংশে ক্রীড়া পরিষদ একটি স্যুইমিং স্টেডিয়াম তৈরী করলেও তা অপরিকল্পিত ও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত ব্যবহার অনুপযোগী। আমি সাধারণ পরিবারের কথা ভেবে তাদের সন্তানরা যাতে এখানে স্বল্প মূল্যে সাঁতার শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই।

তিনি জানান, লালদিঘী পারে সিটি কর্পোরেশন লাইব্রেরিটি একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এখানে মূল্যবান দুর্লভ গ্রন্থের সংগ্রহ রয়েছে। জাইকার অর্থায়নে এই লাইব্রেরি ৮ম তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এটাকে মানব সম্পদ গঠনের উপযোগী করে তুলে ডিসেম্বররের মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন করার চিন্তা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, লালদিঘীর পারে চারপাশ দিয়ে প্রাত: ও বৈকালিক ভ্রমণকারীদের ¯^চ্ছন্ধে হাঁটাহাটির জন্য ওয়াকওয়ে করে দেয়া হয়েছে। নানান উপাদানে পার্কটি নানন্দনিক করা হয়েছে। এখন সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। লালদিঘীর চারপাশে মিউজিক্যাল লাইটিংয়ের মাধ্যমে আলো ও সুরের মুর্চ্ছনা ইভেন্ট যুক্ত করা হবে। খাবার সামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যত্রতত্র ভাবেকোন বর্জ্য ফেলা যাবে না।

তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, লালদিঘী মানবিক নগরতৈরীর একটি আবশ্যিক উপাদান। লালদিঘী কংক্রিটের ঝঞ্জালে ¯^চ্ছ জল, বাহারী ফুল ও সুবুজের এক টুকরো ভূ-¯^র্গ ভূমি এর প্রতি সমতা ভরা সংবেদনশীলতা সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব নগরবাসীর আর চসিকের দায়িত্ব নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষনের। ঐ সময় পার্কে প্রাত: ভ্রমণে আসা লোকজনকে চসিকের চিকিৎসক ও ¯^াস্থ্যকর্মীরা ডায়বেটিক, রক্তের উচ্চচাপ পরীক্ষাসহ বিনামূল্যে ¯^াস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, বিপ্লব কুমার দাশ, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরমেদুল আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবুল মনসুর, মাহবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলা প্রার্থী নোমান লিটন, পুলক খাস্তগীর, আব্দুস সালাম মাসুম, মহিউদ্দিন শাহ, রুমকি সেনগুপ্ত, কামরুল হক, জানে আলম, সোলায়মান সুমন প্রমুখ।

এছাড়াও চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন লালদিঘী থেকে ফেরার পথে নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আবর্জনা দেখতে পান।

তিনি গাড়ি থেকে নেমে এই আবর্জনাগুলো দোকান মালিকদের দিয়ে অপসারণ করেন এবং এখন থেকে দোকানের সামনে কোন আবর্জনা ফেলা হলে তাদেরকেই সেই আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে বলে সর্তক করে দেন।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।