খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আ’লীগের সভা: চমক দেখতে চান নেতাকর্মীরা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৪০ অপরাহ্ণ
কাল খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আ’লীগের সভা: চমক দেখতে চান নেতাকর্মীরা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সভা ডেকেছে আওয়ামীলীগ।

গঠনতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন দলের এই ফোরামটিই যাচাই-বাছাইয়ের পর দলের মনোনয়ন পাবার যোগ্য এমন প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠান। এবং সে তালিকার বাইরে থেকে টপকে ‘নৌকা’ পাবার নজির খুব একটা নেই।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম, এবারও নির্বাচন করতে চান। শুধু তাই নয়, তিনি এবার জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য হবার সুবাদে খোদ ‘নৌকা’র প্রার্থী হতেই বেশি আগ্রহী। যদিও আগেরবারের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীককে অগ্রাহ্য করেছিলেন। এবার বেশ আগেভাগেই তিনি দলের প্রার্থী হতে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র বাসায় বড়-ছোট দুই ভাইকে নিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন।

এই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য একজন যোগ্য প্রার্থী বাছাই এবং বিজয়ী করার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলটির বড়ো অংশ।

দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম সমর্থকদের হাতে দলের এমপি থেকে শুরু করে অনেক সিনিয়র নেতা অপমান-অপদস্ত হয়েছেন। হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। এসব কারণে এবার আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে অবশ্যই বিজয়ী করার ব্যাপারে সজাগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চমক আসার সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন তারা। সে হিশেবে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হতে পারেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী। দল ও দলের বাইরে একজন সজ্জন ও নম্র নেতা হিশেবে তাঁর দারুণ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অতটা মরিয়া না হলেও তাঁর প্রার্থীতার গুঞ্জনে পুরো জেলার নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রার্থী হতে না চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট আইনজীবি নাসির উদ্দিন আহমেদকে প্রার্থী করানোর ব্যাপারেও সক্রিয় দলের নীতিনির্ধারকরা। এডভোকেট নাসির মানুষ হিশেবে নিরহংকারী ও নাগরিক আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক হিশেবে পরিচিত। এই দুইজনের একজন প্রার্থী হলে বিজয়ী হওয়া সহজ হবে। এছাড়া মেয়র পদে সরকারি দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরার ছেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ এবং পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন।

অপরদিকে বর্তমানে স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম আবারও প্রার্থী হবার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই মেয়রকে জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য করায় হিসেব নিকেশ কিছুটা ব্যত্যয় ঘটতে পারে। তবে বিগত দুই পৌর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় তাঁকে নিয়ে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে বিরোধিতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী করা হবে কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে।

এই অবস্থায় প্রথম শ্রেণী (বিশেষ) মর্যাদার পৌর মেয়রের লোভনীয় পদটি ধরে রাখতে মরিয়া খাগড়াছড়ি’র প্রভাবশালী ‘আলম’ পরিবার। দলের নীতি-নির্ধারকদের কাছে যদি শেষতক মেয়র রফিক সায় না পান তাহলে কী হবে, সেটি এখনো পরিস্কার নয়। তবে তাঁকে ছাড়া অন্য যে কাউকেই মেয়র পদে দলের প্রার্থী হিশেবে দেখতে চান, দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল।

এ প্রতিবেদক সবস্তরের নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন, মেয়র রফিক তৃতীয়বারেরমাথায় যদি দলের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তাঁর লাগাম টানা যেমন কঠিন হবে তেমনি দলেও অতীতের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ মেয়র রফিকের চেয়ে তাঁর ছোটভাই মো: দিদারুল আলমকেই উপযুক্ত মনে করছেন। জেলা আওয়ামীলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক একসময় জেলা ছাত্রলীগের সা: সম্পাদক হিশেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের কাছে মেয়র রফিকের চেয়ে মো: দিদারুল আলম অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছেন বলেই মনে হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বলেন, যে বা যাঁদের নেতৃত্বে দলের এমপি থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মী পর্যন্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের কাছে দলের মেয়র পদ তুলে দিলে পরিণতি যা হবার তাই হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল; তাঁরা কেউই মুখ খুলে প্রার্থীতার জানান দেননি। তাঁরা বলছেন, নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ ইচ্ছের কারণে হয়তো মনোনয়ন চাইতে পারেন তবে দলের সিদ্ধান্তকইে স্বাগত জানাবেন। তবে পৌর এলাকার ছাত্র-যুবদের মাঝে কম সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠা পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল মনে করেন, এমন প্রার্থীই জয়ী হয়ে আসুক, যিনি অসাম্প্রদায়িক এবং দলীয় শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবেন না।

দলে আলোচিত-সমালোচিত ‘আলম’ পরিবারের সন্তান মো: দিদারুল আলম বলেন, বড়ো দলে নানা কারণে মতবিরোধ হতে পারে। দিনশেষে আমরা সবাই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দল মনোনয়ন দিলে অবশ্যই জননেতা ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো। আর মনোনয় না পেলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না।

টানা দুই মেয়াদের সমালোচিত-প্রশংসিত মেয়র মো: রফিকুল আলম ‘নৌকা’ প্রতীক পাবার আগ্রহের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সকলকে নিয়েই এগোতে চাই। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা গড়তে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।

জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগ অনেক বেশি সংঘঠিক-ঐক্যবদ্ধ। জননেতা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র দূরদর্শী-অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কারণে খাগড়াছড়ি পৌরসভাসহ পুরো জেলায় দৃশ্যমান বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কাল (শনিবার) খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী নির্ধারণে গঠনতান্ত্রিক সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।