খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোনভাবেই কোন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না -তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
কোনভাবেই কোন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না -তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুজিববর্ষ আমরা যেভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম করোনার কারণে সেভাবে পালন করতে পারছি না। মুজিববর্ষের শেষের দিকে এসে আজকে নানাভাবে নানা প্রসঙ্গ টেনে এনে বিতর্ক তৈরি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আজকে নানা প্রসঙ্গ টেনে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হচ্ছে, আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনভাবেই কোন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বিএফইউজে’র যুগ্ন মহাসচিব এমএ মজিদ, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

নানা ইস্যু তৈরি করে যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও সমাজে হানাহানি তৈরি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হবার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা দেশের মানুষকে পথ দেখায়, আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেমন সাংবাদিকদের অন্যন্য ভূমিকা ছিল, ঠিক একইসাথে স্বাধীনতা সংগ্রামেও সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকদের লেখনি, পত্রিকার সংবাদ মানুষের মনন তৈরী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
যারা সমাজকে পিছিয়ে দিতে চায়, যারা মধ্যযুগের সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিরুদ্ধেও আজ কলম নিয়ে সোচ্চার হবার সময় এসেছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি জাতিসত্ত্বা সৃষ্টি হবার পর বাঙালি কখনো স্বাধীন ছিল না। বাঙালি সার্বিকভাবে কখনো নিজেদের শাসন করতে পারেনি। বাংলা ভাষাবাসী অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কিছু স্বাধীন রাজা ছিলেন, কিন্তু পুরো বাংলা ভাষাভাষি অঞ্চল নিয়ে পুরো স্বাধীন রাজ্য কখনো ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার কথা বলি। তিনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন, তবে তিনি চলনে বলনে কথনে বাঙালি ছিলেন না, তার ও রাজ ভাষা ছিল ফার্সি, সৈন্যদের মধ্যে কিছু উর্দু চালু ছিল। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে বাঙালিদের জন্য স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে অতীতে বহুজন উদ্বীপ্ত করেছেন, স্বাধীনতার জন্য আহবান জানিয়েছেন, কিন্তু সফল হননি। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যেখানে মানুষ নিজের প্রাণটাকে সবচে’ বেশি ভালোবাসে, সেই প্রাণ বিসর্জন দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি শুধু বাঙালির ক্ষেত্রে নয়, পুরো বিশে^র প্রেক্ষাপটে এমন খুব কম নেতা আছে যারা মানুষকে এভাবে উদ্বীপ্ত করতে পেরেছেন নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে দেয়ার জন্য। এজন্য বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধু বিশ^ ইতিহাসে সেরা নেতাদের মধ্যে একজন। তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাঙালিদের নেতা নন, বঙ্গবন্ধু পুরো বিশে^র সমস্ত বাঙালিদের নেতা। সমস্ত বাঙালিদের জন্য তিনি বাংলাদেশ নামের জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের সাথে পাঠকের কোন বিরোধ সৃষ্টি হয়, সেটি নিরসন করার লক্ষ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ ক্ষেত্রে বিচারিক পর্ষদ হিসেবে প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু ’৭৪ সালের পর ৪৫ বছরের বেশি কেটে গেছে, আজকে প্রেস কাউন্সিলের যেইটুকু ক্ষমতা আছে সেইটুকু ক্ষমতা আজকের প্রেক্ষাপটে খুব বেশি কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আগামী সংসদ অধিবেশনে সেটি উপস্থাপনের জন্য। এ আইন পাশ হলে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা অনেক বাড়বে, এতে জনগণ এবং একই সাথে সাংবাদিকরাও প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হলে প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারবেন। সুতরাং প্রেস কাউন্সিল জনগণ, সাংবাদিক এবং সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ আসলে ধীরে ধীরৈ বই থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। বই এখন খুব কম মানুষ পড়ে। আগে কিশোর, শিশু যুবক ও বৃদ্ধদের বই পড়ার অভ্যাস ছিল সেই অভ্যাস এখনকার তরুনদের মাঝে আগের মত আর নেই। সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতে বুঁদ হয়ে থাকে, স্মার্ট ফোন নিয়ে বসে থাকে। বই থেকে অনেক দুরে চলে গেছে। বই পড়ার অভ্যাসটা আবারো ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, কারণ নতুন প্রজন্মকে যদি তাদের জীবন সংগ্রামে জয়ী হবার জন্য আমাদের প্রস্তুত করতে হয় তাহলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।