খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীর পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশের হস্তক্ষেপ চাইলেন সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
নগরীর পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশের হস্তক্ষেপ চাইলেন সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম নগরীর পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে নগরীর পরিবেশ সংরক্ষণে জোরদার কার্যক্রম চালাতে পত্র প্রেরণ করেছেন।

পত্রে প্রশাসক নগরীতে ক্রমাগত পুকুর জলাশয় ভারট হওয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচল ও এর কালো ধোঁয়া নির্গতের মাধ্যমে বায়ু দূষণ আবাসিক এলাকায় ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প-কারখানা ও কন্টেইনার ইয়ার্ড গড়ে উঠা শিল্প কারখানাগুলোর ইটিপি না থাকা, থাকলেও তা ব্যবহার বন্ধ রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ৬০ লাখ অধিবাসীর অধ্যুষিত চট্টগ্রাম নগরী বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ শহর। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে এই নগরীর পরিবেশ এখন বিপর্যয়ের মুখে। নগরীতে এখন কেউ কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। ইচ্ছামত পুকুর জলাশয় ভরাটের পাশাপাশি, ফিটনেস বিহীন গাড়ীর কালো ধোঁয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি জনবীজন আজ হুমকির মুখে। অপরদিকে শিল্প-কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যরে কারণে নদী-খাল এখন দূষণের কবলে। ফলে জীব বৈচিত্র ধ্বংস ও ক্রমাগত মাছের উৎপাদন কমছে। এতে পাহাড়-নদী-সমুদ্রে ঘেরা এই চট্টগ্রাম নগরীর অধিবাসীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্ততে পরিণত হচ্ছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন মানবিক শহরে পরিণত করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরী ভিত্তিতে জোর দার কার্যক্রম চালানো উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

প্রশাসক এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে কর্পোরেশন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।

জলবায়ু পরিবর্তনজনীত ঝুঁকি মোকাবেলায়
যথাযথ গবেষণা চাই: সুজন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে চট্টগ্রম নগরীর উপকুলীয় এলাকার বসবাসকারীদের জীবনযাত্রায় ঝুঁকি বাড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন নগরীর নিম্নাঞ্চল জোয়ারের সময় প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি খালগুলোতে লবণাক্ত পানি ঢুকে যাচ্ছে। ফলে কৃষিখাতও হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই ঝুঁকি মোকাবেলায় যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন এর একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করতে এলে একথা বলেন।

এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, সেভ দ্যা চিলড্রেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী দলনেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়াজ আহাম্মেদ খান, ড. এমদাদুল ইসলাম, ড. আমীর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও ড. খারেজ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় শহর অঞ্চল হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর উপর পরিচালিত ঈঙজঠও একটি গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পটি জাপানি প্রতিষ্ঠান ওসান পলিসি রিচার্চ ইন্সটিটিউট ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার চট্টগ্রাম একটি গুরুপূর্ণ এলাকা। এ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। তিনি প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যেতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনর পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে জানিয়ে বলেন, উপকূলীয় শহরের জন্য জলবায়ু এবং সমুদ্রের ঝুঁকি একিভূত মূল্যায়ন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আর্থিক এবং রাজনৈতিক ঝুঁকি পরিমাপ করতে অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ জরিপের তথ্যকে একত্রিত করতে হবে। তবেই নীতিনির্ধারকরা তাদের শহরের জন্য টেকসই নগর পরিকল্পনা বিকাশে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে পারবে।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।