খুঁজুন
রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না: চসিক প্রশাসক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না: চসিক প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সকলে নগরীর কদমতলী মোড় থেকে ডিটি লেইন হয়ে আগ্রাবাদ রশিদ বিল্ডিং পর্যন্ত ফুটপাতের উপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সকল অননুমোদিত স্থাপনা, কাঠের স্ল্যাব, লোহার স্ক্র্যাপসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল নিজ উদ্যোগে সোমবারের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যথায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে মালামাল জব্দ জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, বড় বড় নালাগুলোর অননুমোদিত স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটায় এলাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বড় পরিণতি হলো ময়লা-আবর্জনায় অবরুদ্ধ নালা-নর্দমাগুলো মশা প্রজননের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ায়।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বাস করতে হলে আইন মানতে হবে। অননুমোদিত কোন স্থাপনা থাকবে না। অবৈধ দখলদারিত্ব থাকবে না। এক জনের বে-আইনী সুযোগ-সুবিধার জন্য দশজনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। এই নগরীতে এ ধরণের অনৈতিক ও জনস্বার্থ বিরোধী কোন অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটি কয়েক লোভী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক এই নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসীকে জিম্মি করতে চায়। এরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তারা সমাজের বিষফোঁরা। এদের অস্ত্রোপচার করে উপড়ে না ফেললে সমাজদেহে ব্যাধি আক্রান্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে উন্নীত করতে যে বাঁধা, ক্ষত ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে দিচ্ছি, যাতে আগামীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা চট্টগ্রামের কাংখিত উন্নয়ণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে পারেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য এমন কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যেগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর আশে-পাশে কয়েকটি উপশহর ও শিল্পজোন গড়ে উঠবে। তাই যে ভাবেই হোক চট্টগ্রামের সড়ক অবকাঠামোসহ প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। প্রশাসক করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসাধারনকে মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মাস্ক ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার আহবান জানান।

তিনি যাত্রাপথে উপস্থিত নগরবাসীর মাঝে মাস্ক এবং সাবানও বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন-সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আলী বক্স, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতি. প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এষ্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, মো. মনির উদ্দিন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, আলী আকবর প্রমুখ।

আজ উচ্ছেদ অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত ৮টি মামলা রুজু করেন এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।