খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষীপুরের বিষাক্ত কাঁচা সুপারি যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বাজারে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
লক্ষীপুরের বিষাক্ত কাঁচা সুপারি যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বাজারে

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষীপুর জেলা সদরসহ রায়পুর রামগঞ্জ কমলনগর-রামগতি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল নীলফামারী, সৈয়দপুর, রংপুর দিনাজপুর সিলেট নওগাঁসহ ১৬ টি বিভিন্ন জেলা-উপজেলার আড়তে প্রতি মৌসুমে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার হাইড্রোজ মিশ্রিত বিষাক্ত কাঁচা সুপারি উত্তরের ১৬ জেলার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষ এ বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত সুপারি খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুপারি খেলে লিভার ও কিডনি বিকল বা ক্যানসারের মতো ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এ বিষাক্ত সুপারির সরবরাহ বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করে স্থানীয় সচেতন মহল।

লক্ষ্মীপুর সদরের চররুহিতা ইউনিয়নের স্থানীয় কয়েকজন সুপারি ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি সুপারির আড়ত হচ্ছে সৈয়দপুর। ওই আড়তের ব্যবসায়ীরা আমাদের লক্ষীপুর থেকে সিংহভাগ সুপারি ক্রয় করে থাকেন। এছাড়াও বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, পঞ্চগড়, চিলাহাটি থেকে পানিতে পঁচা সুপারি কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে এসব সুপারি আড়ত থেকে পাশের প্রায় ১৬টি জেলার ব্যবসায়ীরা এ পঁচা সুপারি কিনে নিজ নিজ এলাকায় সরবরাহ করেন।

কয়েকজন পাইকারি সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, এখানকার আড়তদারের কাঁচা সুপারিগুলো যায় উত্তরাঞ্চলের সব জেলার বাজারে। তুলনামূলক সস্তা দরের কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের এ সুপারির প্রতি আগ্রহ বেশি। শুকনা সুপারি তিন মাস পাওয়া যায়। এরপর পুরো বছরই কাঁচা সুপারির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে হাইড্রোস মিশ্রিত করে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা সুপারি পাঠালে পানি পঁচার বিকট গন্ধ থাকে না। রংটাও ভালো থাকে। পাশাপাশি এটি সহজে নষ্ট হয় না।

আরিফ নামের এক পাইকারি সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, এক বস্তা সুপারির দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার সুপারি পুরো মৌসুমে আমদানি-রপ্তানি হয়।

পানিতে পঁচা সুপারি নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের এলাকার পান দোকানদার তৈয়ব আলী ও আকবর বলেন, ‘শতকরা ৮০ জন পানসেবী এ কাঁচা সুপারিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কাঁচা সুপারি বিক্রয় করছি। তবে এতে ক্ষতির কথা না জানলেও হাইড্রোজ মিশানোর কথা স্বীকার করেন পান দোকানিরা।’

এমন বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকর রং ও হাইড্রোজ মিশিয়ে পঁচা সুপারীকে চকচকে লাল আকর্ষণীয় করে তোলার দৃশ্য লক্ষ্মীপুর জেলার আনাচে-কানাচে প্রতিদিনই দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে কয়েকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়।

বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকারক রং ও হাইড্রোজ মিশ্রনের সময় বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করানো হলে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের ছিটন বাড়ির পাশে পঁচা সুপারির গুদামে ‘বারেক বেপারী’ নামের এক বড় ব্যবসায়ী ও তার লোকজনকে সুপারি রং করা অবস্থায় দেখতে পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ওই ব্যবসায়ীকে সুপারিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জেলা সিভিল সার্জন বরাবর -‘এই রং, কেমিক্যাল ও হাইড্রোজ মানব দেহের কোন ক্ষতি করে কিনা’ এই মর্মে আবেদন করেছেন বলে একটি কাগজ দেখান। এখনো আবেদনের কোন রেজাল্ট হাতে না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।

তবে লক্ষ্মীপুরে দাদনে সুপারি পঁচানো বড় বড় ব্যাপারী হলো সদর পৌরসভা ১৫ নং ওয়ার্ডের ছিটন বাড়ির আব্দুল বারেক ও একই এলাকার করিম খাঁ ব্যাপারী, দালাল বাজার ইউনিয়নের চন্দন গাজী বাড়ীর সেলিম বেপারী, মিলগেট এলাকার হানিফ বেপারী, কাঞ্চনী বাজারের জহিরুল ইসলাম, দাসপাড়া এলাকার মানিক ব্যাপারী, জকসিন বাজারের শফিক ও সোহেল, মিয়ার রাস্তার মাথার মোমিন বেপারী, ভবানীগঞ্জের সেলিম বেপারী, সীতা ডাক্তার গোঁজার ছুট্টু বেপারী রামগঞ্জ উপজেলার মোরশেদ বেপারী, রফিক বেপারী ও রাশেদ বেপারী, রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজারের শাহ আলম মিজি, আলাউদ্দিন বেপারীসহ ছোটখাটো আরো সুপারি ব্যাপারীরা প্রতি মৌসুমে সুপারি পঁচিয়ে তা বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকর রং ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারীকার হাইড্রোজ মিশিয়ে সুপারিকে চকচকে আকর্ষণীয় লাল রঙ কর তুলছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাসুম বলেন, খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল গফফার বলেন-‘হাইড্রোজ হচ্ছে একটি বিষাক্ত কেমিক্যাল। এর প্রভাবে কিডনি, লিভারের ক্ষতিসহ শরীরের যেকোনো স্থানে ক্যানসার হতে পারে। এ সুপারি খাওয়া লোকদের ঠোঁটের দুই কোণে সাদা ঘা দেখা যায়। তাই এ সুপারি বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

তিনি আরো বলেন- ‘কোনো ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রং বা হাইড্রোজ মিশিয়ে সুপারি রং করা যাবে না। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী এ অবৈধ কাজ করে তাকে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।’

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।