খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসুন- ডা: শাহাদাত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসুন- ডা: শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার শেষ দিনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ও জনপ্রিয় দল হিসেবে জনগণের প্রতি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা থেকে চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। চট্টগ্রামের জনগণের প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিএনপিরও প্রত্যাশা সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতা, মন্ত্রী-এমপিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। তিনি নগরবাসীকে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসার আহবান জানান।

আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারী) দিনব্যাপী জামালখান, এনায়েত বাজার ও আলকরণ ওর্য়াডে গণসংযোগ চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে পুরাতন বিমান অফিস রোড, আসকার দিঘীর পাড়, হেমসেন লেইন, মোমিন রোড, বৌদ্ধমন্দির, এনায়েত বাজার, তিন পুলের মাথা, আমতল, নিউ মার্কেট মোড়, ষ্টেশন রোড, বিআরটিসি মোড়, বাটালী রোড়, লাভলেইন, কাজীর দেউড়ি হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

তিনি বলেন- নির্বাচনের প্রচারণায় আমি যে এলাকায় গিয়েছি, বিএনপির প্রতি, ধানের শীষের প্রতি সাধারণ মানুষের জোয়ার দেখেছি। সেই জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দলবাজ, অতি উৎসাহী কর্মকর্তা এবং নিজেদের দলের গুন্ডা-মাস্তানদের লেলিয়ে দিয়েছে। এপর্যন্ত আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বাসায় বাসায় গিয়ে হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। গুম-খুনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার প্রচারণায় একাধিকবার হামলা হয়েছে। আইনের পোশাক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা বেআইনি কাজ করছে।

ড: শাহাদাত বলেন, বর্তমানে ভোটের পরিবেশ অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তারা আদৌ ভোট দিতে পারবে কি না। নির্বাচনকে বানচালের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা পরিস্কার বলে দিতে চাই, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনরায় মানতে বিএনপি প্রস্তুত। ভোটের মাধ্যমে যে রায়ই আসুক বিএনপি স্বাগত জানাবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষে গণসমর্থন-গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে ভোট কেড়ে চেষ্টা করলে, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জনরায় পাল্টানোর চেষ্টা করলে চট্টগ্রামের জনগণ মেনে নেবে না। চট্টগ্রামবাসী আওয়ামী লীগের এ অগণতান্ত্রিক আচরণের কঠোর জবাব দেবে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের হারাবার কিছু নেই। মামলা-হামলা, গুম-খুন গত ১৪ বছর ধরে আমরা মোকাবেলা করে আসছি। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আমাদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে হবে। মানুষের রায় যাতে কেউ ছিনতাই করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াতে হবে। ভোটারদের অনুরোধ করব, আপনারা সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসুন। দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় নিয়ে যেতে চাইলে আপনাদের ভয় উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের রক্ষায় নেতাকর্মীরা বুক পেতে দেবে।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রিয় সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, বিএনপিনেতা সিহাব উদ্দীন মোবিন, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাঃ সম্পাদক জাকির হোসেন, আলকরন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী দিদারুর রহমান লাভু, জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মহসিন চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, মহিলাদলের সাঃ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাঃ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু. বিএনপিনেতা মুজিবর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুল বাতেন, সালাউদ্দীন লাতু, আবু আবু আহমেদ চৌধুরী, কাজী শাহজান, আলী আব্বাস খান, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, জসিম মিয়া, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, মোঃ সেলিম, জমির উদ্দীন নাহিদ, মোঃ সেলিম, দেলোয়ার হোসেন, দিদারুল আলম, আবদুল জলিল, মোঃ পেয়ারু, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দীন, ইদ্রিস বাবুল, আবদুল্লাহ আল মামুন, আকবর হোসেন, এ এফ রুমি, খলিলুর রহমান, সৈয়দ সাফোয়ান আলী, মোঃ জাহেদ, মোঃ জহির।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।