খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি আবেগ তাড়িত হই না কাজে বিশ্বাসী: চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:১৬ অপরাহ্ণ
আমি আবেগ তাড়িত হই না কাজে বিশ্বাসী: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী রাজধানীতে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা ও মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বলেছেন ‘ইট পাথরের শহর ও কথার ফুলঝুড়ি নয় নগরবাসীর পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পরিকল্পিত পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য ও ঐতিহ্যবাহী পর্যটন নগরী করতে চাই।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবর্ধনা ও মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম-ঢাকা সিজেএফডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র রেজাউল করিম একথা বলেন।

মেয়রকে প্রাধান্য ও কর্তৃত্বের সুযোগ দিয়ে স্থানীয় ওয়াসা, টিএন্ডটি, গণপূর্তসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জবাবদিহিতার ব্যবস্থার মাধ্যমে সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা গেলে নগরীর অনেক সমস্য দ্রুত সমাধান করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ৫ বছরের মধ্যে শতভাগ না হলেও ৮০ ভাগ কাজের সুফল পাবে নগরবাসি। তিনি এজন্য নগরীর উন্নয়ন ও কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

সিজেএফডির সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিজেএফডির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সাংবাদিক মামুন আবদুল্লাহ, তৌহিদুর রহমান, চসিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল হক, নগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আসহাব রসুল চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম. আর আজিম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী। সংবর্ধনা সভায় সিজেএফডির পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিমকে অভিনন্দন জানানো হয়।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, আমি আবেগ তাড়িত হই না কাজে বিশ্বাসী। শহরে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। একই সাথে জলাবদ্ধতা নিরসন ও রাস্তা ঘাটগুলো মেরামত করা জরুরী। প্রভাবশালীরা খাল ও নালাগুলো দখল করে রেখেছে। যতই প্রভাবশালী হউক দখলমুক্ত করে পানি চলাচলে ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, জতির পিতা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্তঃপ্রান আদর্শ কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও অবিচল রাজনৈতিক চর্চার জন্য আমাকে নেত্রী মূল্যায়ন করেছেন। ৫২ বছরের রাজনীতিতে অন্যায় ও কালিমা, লোভ লালসা ছিল না। আগামীতে এ আস্থা ও বিশ্বাসকে সমুন্নত রেখে নগরীকে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, ‘সরকারী অনেক জায়গা আছে ব্যবহৃত হয়নি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে খেলার মাঠ ও কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে সাংস্কৃতিক মঞ্চ করার ইচ্ছা আছে। এতে কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা কমতে পারে। এছাড়া ৬ দফা ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালুসহ সংগ্রাম ও বিভিন্ন ঐতিহ্যের সূতিগার চট্টগ্রাম নগরীর উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করা হবে। মেয়র ব্যক্তি চিন্তাকে ভুল হয় সমষ্টি চিন্তা ও পরামর্শে সূচারুভাবে কাজের সম্ভাবনা থাকে উল্লেখ করে এবং সকল পেশার ও বিজ্ঞজনদের পরামর্শ এবং সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে বলেন, এ শহরে শুধু মেয়রের নয় সমগ্র নগরবাসীর। তাই উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

কোভিড-১৯ করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর গত ২৭ জানুয়ারি’ ২০২১ চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র মো. রাজাউল করিম শপথ গ্রহণ করেন এবং আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।