খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:০১ পূর্বাহ্ণ
আজ থেকে দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রামের ব্যস্ততম দেওয়ানহাট-বারিক বিল্ডিং সড়কে রাস্তার উভয়পাশে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। রিকশা চলাচল বন্ধে সিন্ধান্ত নিয়েছে নগর ট্রাফিক পুলিশ। যানজট নিরসনে ঢাকার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এই রিকশা চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ ৬ নভেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) মো. তারেক আহমেদ।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যস্ততম বিমানবন্দর সড়ককে পুরোপুরি রিক্সামুক্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে দেওয়ান হাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। তবে চৌমুহনী মোড় এবং বাদামতলী মোড়ে পূর্ব পশ্চিমে রাস্তা ক্রস করতে পারবে রিক্সা। মোড়ের একশ’ গজের মধ্যে রিক্সাসহ কোন যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

সড়কে শৃঙ্খলার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া।

পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, নগরীর যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে রিক্সাকে দায়ী করা হয়। ধীরগতির এই বাহন রাস্তার যান্ত্রিক যানবাহনের গতি থমকে দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রিক্সার জটলার কারণে ভয়াবহ যানজট হয় নিত্যদিন।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে রাস্তার পরিমাণ খুবই কম। একটি মানসম্পন্ন বিশ্বমানের শহরে কমপক্ষে বিশ শতাংশ রাস্তা থাকলেও চট্টগ্রামে এর পরিমান দশ শতাংশেরও কম। বেহাল এই অবস্থার মাঝে প্রধানতম যন্ত্রনা রিক্সা। এক লাখের মতো রিক্সা চলাচল করে নগরীতে। এর বাইরে হাজার হাজার অবৈধ রিক্সাও চলাচল করে। রিক্সার কোন নিয়ন্ত্রণ মোটর যান আইনে না থাকায় এগুলো নিয়ে পুলিশেরও তেমন কিছু করার থাকে না। কোন কোন রাস্তায় দুই তিন সারি করেও রিক্সা চলাচল করে। পেছনে প্রাইভেট গাড়ি হর্ণ দিলেও রিক্সা বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। তবে এতকিছুর পরও বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকা এই বাহনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় পুলিশ রিক্সা পুরোপুরি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মানুষ যাতে বেকার হয়ে না পড়েন সেদিকেও পুলিশকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

ব্যাংক পাড়া ও বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের অবস্থান ওই এলাকায় হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

এছাড়া বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা ও চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (কেইপিজেড) অবস্থিত কারখানার গাড়িগুলো ওই সড়ক ব্যবহার করে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক যানজটের কারণে প্রায় সময়ই স্থবির থাকে। বিশেষ করে দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং অংশে সড়কে প্রচন্ড যানজট লেগে থাকে। রিকশার কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয় বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. তারেক আহমেদ বলেন, ব্যস্ততম অংশ দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৬ নভেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। “এ বিষয়ে রিকশা মালিক সমিতি নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা উদ্যোগের পক্ষে আছে বলে জানিয়েছেন। আশা করছি এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে কোনো বাঁধা থাকবে না। পাশাপাশি যাত্রীদের এ সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য প্রচারণা চালানো হবে। এ ছাড়া নগরের রিকশা চালকদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট পোশাক সংগ্রহের জন্য মালিক পরিষদকে বলা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পাইলট প্রকল্প হিসেবে ওই অংশে রিকশা চলাচল বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর যানজট কমলে নগরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করা হবে।”

রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া বলেন, “ট্রাফিক বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত জানানোর পর আমরা সেটি স্বাগত জানিয়েছি। তবে ওই এলাকায় সংযোগ সড়কগুলোতে রিকশা চলতে পারবে। শুধু মূল রাস্তায় রিকশা উঠতে পারবে না বলে ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশকে রিকশা মালিক পরিষদ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছি” তিনি আরও বলেন, “ট্রাফিক পুলিশকে চালকদের জন্য হলুদ রঙের পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে। ১৫ দিনের মধ্যে এটি করতে বলেছে।”

উল্লেখ্য, চলতি বছর জুলাই মাসে ঢাকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।