খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিত ঝড়ে বাংলাদেশের বড় পরাজয়

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:০০ অপরাহ্ণ
রোহিত ঝড়ে বাংলাদেশের বড় পরাজয়

‘মাহা’ সাইক্লোন এর কোনো প্রভাব না দেখা গেলেও, ব্যাট হাতে সাইক্লোন চালিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার ব্যাটে ভর করে আট উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের সূচনা করতে নামা মোহাম্মদ নাঈম এবং লিটন দাস দারুণ মোকাবেলা করছিলেন ভারতের বোলিং। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে খলিল আহমেদের বলে টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান নাঈম। অপর প্রান্ত থেকেও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন লিটন।

পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আনা হয় যুযবেন্দ্র চাহালকে। ওভারের তৃতীয় বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন লিটন। স্টাম্পিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রিশাভ পান্ট। বল স্টাম্প পার করার আগেই তিনি ধরে ফেললে দেওয়া হয় নো বল। ফ্রি হিট ও পরের বলে দুই বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। পাওয়ারপ্লে শেষে বিনা উইকেটে ৫৪ রান তুলে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের পথেই হাঁটছিল বাংলাদেশ।

ওয়াশিংটন সুন্দরের করা পরের ওভারে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জীবন পান লিটন। সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি রোহিত। তবে পরের ওভারেই বিদায় নেন লিটন। টানা দুই জীবন পাওয়ার পর রান আউট হন তিনি। চাহালের দারুণ ডেলিভারি আঘাত হাতে তার প্যাডে। পান্টের আবেদনের সময় রানের জন্য দৌড় দেন তিনই। অথচ বল ছিল উইকেটের খানিক সামনে। পান্ট এসে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে রান আউট করেন লিটনকে। দুইবার জীবন পেয়ে লিটন করেন ২১ বলে ২৯। ভাঙে ৬০ রানের ওপেনিং জুটি।

শুরুটা ভালো করেছিলেন সৌম্য সরকার। এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। একাদশতম ওভারে সুন্দরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন নাঈম। ৩১ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। সেখান থেকেই যেন পথ হারানোর শুরু।

ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সৌম্য সরকার আভাস দিয়েছিলেন বড় ইনিংসের। কিন্তু পরের ওভারে জোড়া আঘাত আনেন চাহাল। ওলটপালট করে দেন সবকিছু। গত ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিম ৪ রান করে বিদায় নেন ডিপ মিডউইকেটে থাকা পান্ডিয়ার হাতে। শেষ বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি সৌম্য। আগের ভুল অল্পের জন্য করেননি পান্ট। স্টাম্পিং করতে সফল হন তিনি। ১০৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে যায় বাংলাদেশের।

এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ২৫ রান যোগ করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বড় স্কোরের সম্ভাবনা মিলিয়ে যায়। ইনিংসের ১৭ তম ওভারে খলিল আহমেদের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। ৮ বলে করেন ৬ রান। ঐ ওভারে তিন চার মেরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলকে ১৭০ রানের আশেপাশে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান। কিন্তু পরের দুই ওভারে চাহাল আর চাহার দেন মাত্র ৪ রান করে। ১৯ তম ওভারে চাহারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিয়ায় নেন রিয়াদ। ২১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে একটি চার, রান হয় নয়। শেষ ৩ ওভারে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভারত, রান হয় মাত্র ১৭।

বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৫৩। রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেই লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না ভারতের জন্য।

শুরু থেকেই বিধ্বংসী ছিলেন রোহিত শর্মা। অন্য প্রান্তে শিখর ধাওয়ান খেলছিলেন ঠান্ডা মাথায়। বাউন্ডারির ফোয়ারা ছিল রোহিতের ব্যাটে। বোলিং আক্রমণের তিন পেসারকেই রোহিতের সামনে মনে হয়েছে নখদন্তহীন। পাওয়ারপ্লে তে ভারতের করা ৬৩ রানের ৪৬ রানই ছিল রোহিতের ব্যাটে।

এরপর আমিনুলের ওপর চড়াও হন ধাওয়ান। এ দুই ওপেনারকে কোনোভাবেই আটকাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। আফিফের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূরণ করেন রোহিত। সবচেয়ে বড় ঝড় যায় ইনিংসের দশম ওভার করতে আসা মোসাদ্দেক হোসেনের ওপর। তার প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন রোহিত। প্রথম ১০ ওভারেই রান হয়ে যায় বিনা উইকেটে ১১৩। রোহিত-ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে চতুর্থবারের মতো শতরানের জুটি।

১১৮ রানের মাথায় আমিনুলের বলে বোল্ড হন ধাওয়ান। ২৭ বলে ৩১ রান করেন তিনি। নিজের পরের ওভার এসে রোহিতের উইকেট নেন আমিনুল। ৮৫ রান করে বিদায় নেন রোহিত। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার আর ৬ ছক্কা। এরপর বাকি কাজ সারেন শ্রেয়াস আইয়ার (২৪*) এবং লোকেশ রাহুল (৮*)। ২৬ বলহাতে রেখেই জিতে যায় ভারত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১৫৩/৬, ২০ ওভার
নাঈম ৩৬, সৌম্য ৩০, রিয়াদ ৩০
চাহাল ২/২৮, চাহার ১/২৫, সুন্দর ১/২৫

ভারত ১৫৪/২, ১৫.৪ ওভার
রোহিত ৮৫, ধাওয়ান ৩১, আইয়ার ২৪*
আমিনুল ২/২৯

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।