খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লামায় মাদ্রাসা শিক্ষকের পিটুনীতে অজ্ঞান ছাত্রী : অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:০৯ অপরাহ্ণ
লামায় মাদ্রাসা শিক্ষকের পিটুনীতে অজ্ঞান ছাত্রী : অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি

লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যের হাতে এক গরীব অসহায় মাদ্রাসা ছাত্রী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ছাত্রীসহ তার মা একদিনের মধ্যে লামা ছেড়ে না গেলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেন ওই শিক্ষক।

আক্রান্ত ছাত্রী সুমাইয়া জাহান তুষা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের মেয়ে ও লামা ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী।

এ ঘটনায় ছাত্রীর মা সুমী আক্তার বাদী হয়ে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকির বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মো. তমিজ উদ্দিন।

শিক্ষকের এমন জ্ঞানহীন কর্মকান্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে শিক্ষক মো. তমিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। শুধুমাত্র আমি তুষাকে তার আচরণগত কারণে দু একটি চড় তাপ্পড় মেরেছি। জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাফর উল্ল্যাহ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযোগে প্রকাশ, বেশ কয়েক বছর আগে সুমী আক্তারের স্বামী নুর মোহাম্মদ মারা যান। দিন মজুরের কাজ করে ছেলে মেয়েদের ভরণ পোষন ও লেখা পড়ার খরচ চালানো তার পক্ষে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে।বিধায় তিন বছর আগে মেয়ে সুমাইয়া জাহান তুষাকে লামা ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষক তমিজ উদ্দিনের বমুবিলছড়িস্থ বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দেন।

শর্ত ছিল কাজের বিনিময়ে তুষাকে পড়ালেখা করাবেন, কোন টাকা পয়সা দিতে হবেনা। তিন বছর যাবত শিক্ষকের বাসায় কাজ করার পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে আসছিল তুষা। গত মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে শিক্ষক তমিজ উদ্দিন ছাত্রীর মা সুমী আক্তারকে ফোন করে বলেন, তুষাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাকে আর রাখবেন না।

গরীব বিধায়, কোন কথা না বলে তুষাকে শিক্ষকের বাসা থেকে নিয়ে যান এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জাফর উল্লাহর বাড়ীতে অবস্থান করে অন্তত বার্ষিক পরীক্ষাটি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মা সুমী আক্তার।

কিন্তু আত্মীয়তার সুবাধে তমিজ উদ্দিন, তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়ে একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে অধ্যক্ষের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে তুষাকে দেখা মাত্র কোন ধরণের কথা ছাড়াই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়ে মিলে তুষাকে বেধম মারধর শুরু করেন। এরপর শিক্ষক তমিজ উদ্দিনও মারধর করলে তুষা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে অধ্যক্ষ জাফর উল্লাহর স্ত্রী ও মেয়েরা তুষাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করায়।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়ে এভাবে ছাত্রীকে মারধর করা খুবই অমানবিক হয়েছে। ওই শিক্ষকের কাছে কোন শিক্ষার্থীই নিরাপদ নয়।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।