হোয়াইটওয়াশের লজ্জা শ্রীলঙ্কার

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবারও সেই ছন্নছাড়া শ্রীলঙ্কাকে দেখা গেল। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির সবক’টিতে জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবাল আফ্রিকানরা।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই শোধটাই এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নিল প্রোটিয়ারা।
টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া দাসুন শানাকারা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নেমেছিল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। কিন্তু এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটে বিশ্রীভাবে হারল শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শুরু থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ১৮ এবং ১৯ রানের মাথায় পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। ওপেনিংয়ে নেমে কুশল পেরেরার ৩৯ এবং নয়ে ব্যাট করতে নেমে চামিকা করুণারত্নের অপরাজিত ২৪ রানই সম্বল ছিল শ্রীলঙ্কার। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের কোটাই অতিক্রম করতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে শ্রীলঙ্কা।
দারুণ ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সাদামাটা লক্ষ্যই দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আর তাই সহজ এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশি কসরতও করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। ওপেনিং জুটিই হাসতে হাসতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। রেজা হেন্ড্রিক্স ব্যক্তিগত ৫৬ করে অপরাজিত থাকেন। কুইন্টন ডি’কক অপরাজিত ৫৯ রান করেন। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে এমন লজ্জার হারের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। এর আগেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভরাডুবির পরেও সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছিল লঙ্কানরা। একযোগে সব খেলোয়রকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আনফলো’ করে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগে ঘরের মাঠে ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় দাসুন শানাকারা। আর এতে করে নতুন করে আশাও দেখতে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু আবারও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি লঙ্কান ক্রিকেট। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যা নিঃসন্দেহে খারাপ বার্তা।
এদিকে, লঙ্কান ক্রিকেটের এমন লজ্জার দিনেই মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আরেকবার মন ভাঙল দেশটির ক্রিকেট ভক্তদের। এদিনই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মালিঙ্গা।
টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন আগেই। বিদায় জানিয়েছেন ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকেও। তবে টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার এই ফরমেট থেকেও বিদায় নিলেন এই ৩৮ বছর বয়সী এই স্টাইলিশ পেসার।
এন-কে
আপনার মতামত লিখুন