খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ির জগতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ
আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ির জগতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

পাঁচ সিটের সেডান গাড়ির দাম পড়বে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা। এখানেও এককালীন টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা কিস্তিতে জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। কারখানায় শুধু চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িই নয়, একই সঙ্গে মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান ও মিনি ট্রাক উৎপাদনের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এই পরিকল্পনা কিন্তু বাহিরের কোন দেশের নয়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে জাগুয়ারসহ বিশ্বের বড় বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানির বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

আধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যাটারি তথা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বাজারে আনার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আসছে বছর দেশের রাস্তায় দেখা মিলবে বৈদ্যুতিক গাড়ি।

বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে কারখানাটি তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল। ৩০ হাজার একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুত করতে ১০০ একর জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে কারখানার কাজ। তবে করোনার ধাক্কায় মাঝখানে কিছু সময় গতি কমেছে কাজে। চীন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিকে অংশীদার করে আগামী বছরের শুরুতেই দেশের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে চায় বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ।

স্কুল-কলেজের শিক্ষক, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কথা মাথায় রেখেই চার চাকার গাড়ি উৎপাদন করা হবে। মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তকে টার্গেট করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। গাড়ির দাম থাকবে ৭ থেকে ১৪ লাখ টাকার মধ্যে। কিস্তিতে থাকবে টাকা পরিশোধের সুযোগ। মহাসড়কে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার জন্য দেশে বিদ্যমান সিএনজি ও পেট্রলপাম্পের পাশে বসানো হবে চার্জিং ইউনিট। বাসায়ও ব্যাটারি চার্জ দেওয়া যাবে।

দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের ব্যপারে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এ মান্নান খান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে গাড়ি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি কী আসছে, তা দেখার জন্য ২০১৬ সালে প্রথমে চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করি। ওই সব দেশ ভ্রমণে গিয়ে দেখেছি, পরিবহনে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বড় বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি। সেখান থেকেই দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা শুরু করেছিলাম।’

বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা আছে কি না, তা যাচাই করতে দেশজুড়ে একটি জরিপ করে অটো ইন্ডাস্ট্রিজ। তাতে দেখা গেছে, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে একজন শিক্ষকের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আয় মিলে মাসিক বেতন ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আবার গত এক দশকে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাও বেড়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসনে যাঁরা কর্মরত, তাঁদের আয়ও ভালো। এর পাশাপাশি রাজনীতিবিদদের হাতেও টাকা আছে। তাঁদের অনেকে এখন মোটরসাইকেল চালায়। এমন বেশ কয়েকটি পেশার ওপর জরিপটি চালিয়ে দেখা গেছে, দেশের বাজারে চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারজাত করে যেকোনো কোম্পানি সফল হতে পারবে। তা ছাড়া দেশে চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। তাতে বাজারের আকারও বড় হচ্ছে। বিদেশ থেকে গ্রামে প্রচুর টাকা ঢুকছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণি চাইলে চার চাকার ব্যাটারিচালিত গাড়ি ব্যবহার করতে পারে। এসব দিক বিবেচনা করে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ।

ব্যাটারিচালিত গাড়ি উৎপাদনে প্রথমেই দরকার জমি। বড় আকারে জমি পেতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রথমে বেজা থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কাঁচামাল আমদানি করতে হবে, সে জন্য বন্দরের পাশে জমির নিশ্চয়তা চেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় তাদের। বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ বলছে, কারখানায় গাড়ি সংযোজন নয়, সরাসরি উৎপাদন করা হবে। গাড়ির ৭০ শতাংশই কারখানায় উৎপাদিত হবে, বাকি ৩০ শতাংশ হবে সংযোজন।

বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের। গাড়িগুলোর নকশা এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে খুব সহজে এ দেশে ব্যবহার করা যায়। বিদ্যমান জাপানি ও কোরিয়ান গাড়ির নকশা যেভাবে করা, সেভাবেই এ দেশে গাড়ির নকশা করা হচ্ছে। নকশা তৈরির ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের কথাও মাথায় রাখা হয়। যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে গাড়ি ব্যবহার করা যায়। পাঁচ সিটের হ্যাচব্যাক কার মডেলের দাম পড়বে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। যে কেউ দেড় লাখ টাকা এককালীন জমা দিয়ে গাড়ি নিতে পারবেন। ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধ করার সুযোগ থাকবে।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ মোট তিনটি কারখানা করবে। একটি কারখানায় তৈরি হবে গাড়ির বডি, দ্বিতীয় কারখানায় তৈরি হবে ব্যাটারি এবং তৃতীয় কারখানায় তৈরি হবে মোটর কন্ট্রোলার চার্জার।

আরো জানা গেছে, কারখানায় মোট তিন ধাপে বিনিয়োগ করা হবে। প্রথম কারখানা নির্মাণ ও কাঁচামাল আমদানিতে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৫০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ধাপে বিনিয়োগ হবে ৩০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। মান্নান খান আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে আমরা বেশ আশাবাদী। আশা করছি, ভালো সাড়া পাব।’ আগামী বছরই বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে প্রবেশ করবে বলে জানান তিনি।

এন-কে

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।