খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কে বিএনপিকে ভোট দেবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১, ৮:৫০ অপরাহ্ণ
কে বিএনপিকে ভোট দেবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

বিএনপিকে কে ভোট দেবে, এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এত সুবিধা পেয়ে গালিটা আমার উপর দিয়ে বা আওয়ামী লীগের উপর দিয়ে যাবে- এই তো? এটা আমাদের বাঙালির চরিত্রেই আছে। তাদেরকে ভোট দেবে কে আগে সেটা জিজ্ঞাসা করেন। আমি সব সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করি যে কারা কেন? কী কারণে? কোন স্বপ্নে? কী সুখে? কোন আশার আলো দেখে বিএনপিকে বা অন্যদেরকে ভোট দেবে? সেটা আমাকে একটু বলেন, শুনি একটু। জেনে রাখি। আর আমরা কিছু করলাম কি না দেশের জন্য সেটাও একটু তুলনা করেন।

তিনি বলেন, অনেকগুলো নির্বাচন আপনারা নিজেরা দেখেছেন, সেখানে কিন্তু ভোটারদের এই করোনার মধ্যেও যখন নির্বাচনগুলো বন্ধ হলো এবং যখন শুরু হলো তখন কিন্তু কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। গত কয়েকদিন আগে যে ইলেকশনটা হয়ে গেল, আপনারা দেখেছেন যে ভোটাররা কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, আপনারা একটা বিষয় কী চিন্তা করে দেখেছেন যে, অনেক চেষ্টা করা হয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই না নির্বাচন যাতে ঠিকমতো না হয় বা মানুষ যাতে না যায়, অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে এহেনও কাজ নেই যেটা না করা হয়েছে। তারপরও ইলেকশন হয়েছে এবং ইলেকশন হওয়ার পরে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ছিল বলেই কিন্তু আজকে যত উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছেন বা যা করতে পেরেছি সেটা কিন্তু করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন যে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপিসহ যারা কথা বলে আসলে তারা নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন তোলে এই দলের জন্মটা কীভাবে? এই দলটি কি কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত? বা এমন কোনো নেতৃত্ব যে নেতৃত্ব বাংলাদেশে কোনো দিনও জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে বা কিছু করেছে? তা তো না। অত্যন্ত সুবিধাবাদী এবং বলতে গেলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি করা সংগঠন।

সরকার প্রধান বলেন, যারা এই দলটাকে তৈরি করেছিল তাদের হাতে লালিত-পালিত ছিল। যতদিন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে ততদিন পর্যন্ত তারা নির্বাচিত হতে পেরেছে। আমি শুধু বিএনপিকে একটা কথাই বলব যে, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তাদের তো কোনো অভিযোগ নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা জিততে পারেনি কেন? তখন প্রশ্ন তোলেনি কেন? এরপরে যতটা নির্বাচন হয়েছে সেখানে মানুষ তো ভোট দিয়েছে। মানুষ ভোট দেয়নি তা তো না।

তিনি বলেন, মানুষের ভোট নিয়ে যত কথা, আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে গেলাম, ইভিএমে ভোট হচ্ছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এখন এরা যেহেতু সবসময় পরভাতে পালিত, এখন সেই জায়গাটা বোধ হয় তাদের আর নেই। এজেন্সিগুলোর যে সুযোগ নিয়ে তাদেরকে তৈরি করা হয়েছিল সেই এজেন্সিগুলো এখন যেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় নেই আর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা তাদের সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা তো সেভাবে তাদেরকে ব্যবহার করি না। আমরা দেশের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করি। তারা জানে যে জিততে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা দল কীভাবে জিতবে? তার নেতৃত্ব কেথায়? একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ অগ্নিসন্ত্রাসের বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদেরকে নেতৃত্বে রেখেছে, তাহলে জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে আমাকে সেটা বুঝিয়ে বলেন। সাধারণত জনগণ কখন ভোট দেয়? তারা তো দেখে যে ক্ষমতায় যাবে কে। যদি এখন এ রকম হয় যে একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী আরেকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারা তো ইলেকশনও করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ফলাফলটা হচ্ছে যে তাদের ভেতরে যে একটা বিশ্বাস যে ইলেকশনে তারা জিতবে বা ক্ষমতায় যেতে পারবে সেই বিশ্বাসটা তাদের নেই। হারিয়ে গেছে। তারা জানে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা যখন নেই তখন এটাকে যেভাবেই হোক একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল করা। মানুষের ভেতরে একটা বিভেদ সৃষ্টি করা। যেভাবেই হোক মানুষের ক্ষতি করা এটাই তো চেষ্টা। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা যেটা অব্যাহত আছে। ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এলো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সারা বাংলাদেশে গ্রেনেড হামলা- এই সব নানা কারণে দেখা গেল সেখানে কী অবস্থা ছিল তখন।

এ সময় কিছু ছবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখেন তখন কী অবস্থা মানুষের, আতঙ্কে মানুষ। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। বলতে গেলে ১ অক্টোবর থেকে যে অত্যাচার শুরু হলো। যেভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী মানুষকে অত্যাচার করেছে সেভাবে ধর্ষণ করা, মানুষকে হত্যা করা। সেখানে কেউ সাহস করে মামলা করবে? একমাত্র পূর্ণিমা সাহস করে মামলা করেছিল বলে এলাকা থেকে চলে যেতে হলো। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করে মানুষ মারা হলো। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কেউ তো বাদ যায়নি বিএনপির অত্যাচারের হাত থেকে। তাদের এই সব অপকর্মের ফলে কী অবস্থা দাঁড়ালো? তারপরে দুর্নীতি। বাংলাদেশ পাঁচ, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। যার ফলে ইমার্জেন্সি এলো।

তিনি বলেন, অত্যাচারিত আমি হলাম বেশি। প্রথমবার তো আমাকেই গ্রেফতার করা হলো। তারপর ২০০৮ এ নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিল। কেন ভোট দিল? ৯৬ থেকে ২০০১ সালে অন্ততপক্ষে জনগণ এটুকু পেয়েছিল যে, সরকার মানে জনগণের সেবক। কিছু হলেও উন্নতি হয় দেশের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

সরকার প্রধান বলেন, ২০০৮-এ আমরা ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ। তখনো কত ব্যঙ্গ করা হলো এই কথা নিয়ে। আজকে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়নি? বরং আমাদের এখানে তো আরও চমৎকার সিস্টেম। আমি তো আমেরিকাতেও এ রকম ভিডিও কনফারেন্সিং করলাম। আমি তো দেখি সেখানে থেকে আমাদের এখানে অনেক সুন্দর ব্যবস্থা। আমি তো একসঙ্গে সারা বাংলাদেশে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে পারি। করোনা যখন হয়েছে তখন আমি সেটা করেছি প্রত্যেকটা জেলায় জেলায়।

তিনি বলেন, তাদেরকে (বিএনপি) ভোট দেবে কেন এই প্রশ্নটা করেন না। জনগণ ভোট দিচ্ছে না বা ভোট দিতে পারছে না এই প্রশ্নগুলো যখন আপনারা করেন। আপনার কে আছে এর বাইরে? কাকে দেবে? কার কাছ থেকে মানুষ এ পর্যন্ত কী পেয়েছে? পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। পঁচাত্তর থেকে ৯৬, আর ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ধরেন মানুষ কী পেয়েছে? সেই তুলনাটা করেন আপনারা। তারপরও বিবেচনা করেন। আমার কাছে তো আর ক্ষমতাটা ভোগের বস্তুও না, শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ক্ষমতা না।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।