খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে “মুজিববর্ষ কার্নিভাল” উদযাপিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২, ৮:০৭ অপরাহ্ণ
চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে “মুজিববর্ষ কার্নিভাল” উদযাপিত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং দি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেছেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রকৌশলী সমাজেরও অবদান রয়েছে।

চুয়েটও অহংকার করার মতো দুজন শহিদ ছাত্রকে পেয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতার মুক্তি এনে দেওয়ার পরে পরবর্তীতে দেশ শাসন করতে গিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছিলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে আজকে আমরা বিশ্বের ৩২তম পারমাণবিক শক্তির সদস্য হয়েছি। বর্তমানে দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্ত সেটা সফল হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি।” ​

তিনি আরও বলেন, “দেশের উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৌশলী সমাজ অবদান রাখছেন। আমরা এই উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার। আগামি দিনেও সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আমরা প্রস্তুত।

দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।”

তিনি ৩১শে মার্চ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চুয়েট-এর যৌথ আয়োজনে হাজার বছররের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত “মুজিববর্ষ কার্নিভাল-২০২২” এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

প্রধান বক্তা বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বাঙালি বীরের জাতি। তাই একাত্তরে আমাদের দমিয়ে রাখা যায়নি। বাংলা নামক এই জনপদের ইতিহাস অনেক প্রাচীন।

এ জনপদে যারাই দেশ শাসন করেছে, তারাই আমাদের শোষণ করে গেছেন। কেবল আমাদের তিন হাজার বছরের ইতিহাসে মহাকালের মহানায়ক হয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির দিশা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই মানবকল্যাণ ও জনকল্যাণমুখী কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যেই প্রকৌশলীসমাজ বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।”

গেস্ট অব অনার চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবন জনগণের স্বার্থে সংগ্রাম ও ত্যাগে ভাস্মর। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে জাগ্রত করতে হবে।

যাতে সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে উন্নত-সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ​ মুজিববর্ষ কার্নিভালের মাধ্যমে আমরা সেই প্রত্যাশাই রাখছি।”

চুয়েটের মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, চুয়েট মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি এবং তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইমার হোসেন নিবর ও সাজিলা সুলতানা।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটে মুজিববর্ষ উদযাপনের সচিত্র প্রতিবেদন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চুয়েট-এর কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি (২) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফীন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ড. স্বপন কুমার রায় এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার সম্পাদক নাহিদা সুলতানা।

এর আগে সকাল ১০ ঘটিকায় মুজিববর্ষ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়েট পরিবার ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ। দিনব্যাপী মুজিববর্ষ কার্নিভাল উপলক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”-এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা, “মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশ” শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, আইডিয়া শো-কেসিং প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থী বনাম শিক্ষক ও কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতশবাজি প্রভৃতি।​

২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।