চট্টগ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ব্যাংক কলোনি এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রোকসানা আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ। রোববার রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
পুলিশ নিহতের স্বজনদের বরাতে জানায়, বিগত ১২ বছর আগে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে রোকসানা সংসার জীবনে আবদ্ধ হলেও সম্প্রতি বছরখানেক আগে দেলোয়ার আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে রোকসানা আর দেলোয়ারের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।
এ বিষয়ে স্বামী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে রোকসানা। তবে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের পর তারা দুজনে আবার সংসার শুরু করে।
জানা যায়, রোকসানা ও দেলোয়ার নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার ব্যাংক কলোনীতে একটি ভাড়া বাসায় থেকে সিইপিজেডে পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে তারা দুজনই চাকরি ছেড়ে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। কয়েকদিন আগে কারখানা থেকে বকেয়া টাকা নেওয়ার উদ্দ্যেশে দুজনই চট্টগ্রামে আসেন এবং ওই এলাকার দেলোয়ারের ভাইয়ার বাসায় উঠেন।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহম্মদ নুরুল হুদা জানান, রবিবার দেলোয়ারের ভাই তার গ্রামের বাড়ি এবং পোশাক শ্রমিক ভাবি কর্মস্থলে গেলে দিনের কোন এক সময়ে রোকসানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায় তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন।
সন্ধ্যার পর রোকসানার ভাবি কর্মস্থল থেকে ফিরে তার ননদকে খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও রোকসানার ঘুম না ভাঙ্গলে প্রতিবেশিদের সহযোগীতা নিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ইডিজেড থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে রোকসানার লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন।
ওসি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রথমিকভাবে ধারণা করছি। তার গলায় কালো দাগ দেখে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার স্বামী দেলোয়ার পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের তীর তার দিকেই বর্তায়।
তাছাড়া এ ঘটনায় নিহত রোকসানার বোন লাকি আক্তার বাদি হয়ে স্বামী দেলোয়ারকে আসামি করে ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। দেলোয়ারকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি নুরুল হুদা।
আপনার মতামত লিখুন