খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১০ বছর বয়সী বৃদ্ধের আকুতি আমার ওষুধ কেনার টাকাটাও কেটে নিল ম্যানেজার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
১১০ বছর বয়সী বৃদ্ধের আকুতি আমার ওষুধ কেনার টাকাটাও কেটে নিল ম্যানেজার

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ ‘স্যার আমার টাকাটার খুব দরকার, সরকার দয়া করে আমাকে যে বয়স্ক ভাতা দেয়, সেই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে কোন রকমে বেঁচে আছি। তাই একবারে সব টাকা কেটে নিলে আমি ওষুধ কিনবো কি দিয়ে? আর ওষুধ না খেলে বাঁচবো কেমন করে? এর চেয়ে আমাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেন। তাও টাকা পেয়েও ওষুধ কিনতে না পারার কষ্ট দিয়ে মারেন না।’

এমন করেই করজোড়ে আকুতি করছিল এক বৃদ্ধ। কিন্তু তারপরও বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করলেন না ব্যাংক ম্যানেজার। বরং তিনি ১ হাজার টাকার ঋণ কর্তনের রিসিভ কেটে বৃদ্ধের হাতে ধরিয়ে দিয়ে এক প্রকার তাড়িয়ে দিলেন। ‘যান যান এখান থেকে বিরক্ত করবেন না, আমার অনেক কাজ আছে। আপনাদের আমি ভাল করেই চিনি। এভাবে টাকাটা কেটে না নিলে জীবনেও দিবেন না। ভাতা পাওয়ার আগে যেভাবে ওষুধ ছাড়াই বেঁচে ছিলেন সেভাবেই এখনও চলবেন। তা না হলে ঋণ শোধ না করেই কবরে যেতে হবে। তখন পরকালেও দূর্ভোগ পোহাতে হবে।’

উপরোক্ত দৃশ্যটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার। গত ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সামনেই একজন বৃদ্ধ গ্রাহকের সাথে এমন আচরণ করেন শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রাশেদুজ্জামান সরকার। তার এমন রূঢ় আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গেল বৃদ্ধ।

এসময় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমার নাম বদর উদ্দিন। আমার ছেলে ১৯৯১ সালে ১ হাজার ৮ শ’ টাকা কৃষি ঋণ নিয়েছিল। যা পরবর্তীতে মাপ করে দেওয়া হয়েছিল বলে আমি জানি। আমার বয়স ১১০ বছর। এলাকার মেম্বারের সহযোগিতায় গত ১ বছর যাবত সরকার দয়া করে আমাকে বয়স্কভাতা দিচ্ছেন। প্রতি ৩ মাস পর পর ১ হাজার ৫শ’ করে টাকা এই শাখা থেকে পাই।

এই বৃদ্ধ বয়সে নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছি। বিশেষ করে শ্বাষকষ্টে চরম ভোগান্তিতে আছি। বয়স্কভাতার টাকাটা দিয়ে ওষুধ কিনে কোন রকমে বেঁচে আছি। ছেলেরা দেখেও দেখেনা। তাই অনেক কষ্টে মানুষের কাছে চেয়ে চিমটে পেট চালাই। সরকার এই ভাতাটা দেওয়ায় অনেকটা স্বস্তি পেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে গত আগস্ট মাসে ভাতা তুলতে আসলে ম্যানেজার মাত্র ৫শ’ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, আমার নামে ঋণ আছে তাই ১ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আমিতো হতভম্ব! অনেক অনুরোধ করেও তার মন গলাতে পারিনি। বাধ্য হয়ে গত ৩ মাস ওষুধ কিনতে না পারায় অনেক কষ্ট করে কাটিয়েছি।

তাই এবার বললাম যে, ঋনের টাকাটা প্রতিবারে ৫শ’ টাকা করে কেটে নিতে। তাহলে ঋণও পরিশোধ হবে আমারও ওষুধ কিনতে না পেরে কষ্ট হবেনা।

কিন্তু না, তিনি কোন কথাই শুনতে রাজি নন। এবারও ১ হাজার টাকাই কেটে নিলেন। ম্যানেজারের বক্তব্য আমি যদি মরে যাই তাহলে বয়স্ক ভাতাও পাবনা এবং ঋণও পরিশোধ হবেনা। তাই বেঁচে থাকতেই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এখন আমি ওষুধ ছাড়া কিভাবে চলবো? ঋণ পরিশোধের আগেই তো ওষুধ না পেয়ে মরে যাবো! তখন তার ঋণ পরিশোধ করবে কে?

এমন দুঃখভরা আবেগ নিয়ে প্রশ্নগুলো করে হাতের লাঠিতে ভর করে বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সংবাদকর্মীরা বৃদ্ধের জন্য কিছু করা যায় কি না ভেবে শাখা ব্যবস্থাপককে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, কোন উপায় নেই।

টাকাটা আমাকে নিতেই হবে। তার ঋণ ছিল ১ হাজার ৮শ’ টাকা যা সুদ ও আসল মিলে হয়েছে ৩ হাজার ৬শ’ টাকা। দীর্ঘদিন থেকে তিনি ঋণ পরিশোধ করছেন না।

এতদিন কেন তাকে ধরেন নাই বা অল্প অল্প করে কেটে নিলেও তো পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ব্যবস্থাপক সংবাদকর্মীদের কটাক্ষ্য করে বলেন, কখন ধরবো আর কখন ধরবোনা তা কি আপনাদের কাছ থেকে শিখতে হবে। আমার ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী আমি কাজ করেছি। আপনাদের তার প্রতি বেশি দয়া হলে নিজেরাই তার ঋণ পরিশোধ করে দেন বা তাকে ওষুধ কেনার টাকা দেন।

এভাবে গ্রাহককে টাকা বুঝিয়ে না দিয়েই ঋণ পরিশোধের নামে কর্তন করার কোন বিধান কি আপনাদের আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, সব নিয়মই কি লিখিত আকারে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা ব্যাংকের স্বার্থে যা করা দরকার তাই করি। এতে কেউ কোন অভিযোগ করেও কোন লাভ নেই। বর্তমান ইউএনও’র কাছে অনেকেই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন তাতে আমার কিছুই হয়নি। আপনাদের ইচ্ছে হলেও করতে পারেন।

এসময় দেখা যায়, শাখা ব্যবস্থাপকের টেবিলে অনেক ভাতাগ্রহিতার পাশবই রক্ষিত। তিনি আরও অনেক ভাতাগ্রহিতা টাকা নিতে আসলে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে ৩শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা কেটে নিচ্ছিলেন ঋণ পরিশোধ বাবদ। অথচ বদর উদ্দীনের অনুরোধ কেন রাখলেন না। এমন অমানবিক না হলেও তো পারতেন। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রচন্ড রেগে যান এবং বলেন, আমি কি করবো আর কি না করবো সে বিষয়ে আপনারা বলার কে? এটা আমার অফিস, আমি আমার মত করেই কাজ করবো। কোন অনিয়ম হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসকে কোন জবাবদিহি করতে হলে তখন দেখা যাবে। আপনারা এখন যান।

এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক মুঠোফোনে সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোছাঃ হাওয়া খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বয়স্কভাতাসহ সরকার প্রদত্ব যে কোন ভাতা গ্রহিতাদের হাতে তাদের প্রাপ্য টাকা দিতে বাধ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর পর যদি তাদের কোন দেনা-পাওনা থাকে তা গ্রাহকের অনুমতি সাপেক্ষে পরামর্শক্রমে নিতে পারে। কিন্তু তাতে যেন যে উদ্দেশ্যে সুবিধাভোগীকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে তা ব্যাহত না হয় বা গ্রাহক ভোগান্তির শিকার না হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়াকে জানানো হলে তিনি বলেন, ব্যাংক ম্যানেজার এমনটা করতে পারেন না। তিনি যদি এধরণের আচরণ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এই শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করাসহ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন উপস্থিত অনেক ভাতাভোগীসহ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।