খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে ২ জনের মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ মে, ২০২২, ৭:২২ অপরাহ্ণ
কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে ২ জনের মৃত্যু

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সীতাঘাট মন্দির সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে ৬ পর্যটক নদীর পানিতে তলিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন সাতঁরিয়ে উঠতে পারলে ২ জন নদীর পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর পরিদর্শক নুরুল করিম।

বুধবার (১১ মে) দুপুর ২.৪৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩ টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেই সুস্থ আছেন বলে জানান উপজেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এদিকে ঘটনার সংবাদ পাবার সাথে সাথে বিকেল ৪ টা ৩৯ মিনিটে লেফট্যানেন্ট কমান্ডার ফয়জুল ইসলাম মন্ডল নেতৃত্বে এবং লেঃ কমাঃ সেলিম রেজা সহ ৮ সদস্যের একটি নৌ বাহিনী ডুবুরি দল সীতার ঘাট এলাকায় কর্নফুলি নদীতে নিখোঁজ পর্যটককের সন্ধ্যানে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন এবং বিকেল ৫ টায় একজনকে মৃত উদ্ধার করেন।

মৃত উদ্ধারকৃত ১৯ বছর বয়সী যুবক লোকেস বৈদ্য, বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামের অপু বৈদ্যের ছেলে। সে চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। বর্তমানে সে তার পরিবার সহ সদরঘাটে বসবাস করছেন। তার বাবা মৎস্য অধিদপ্তরে চাকরি করেন।

এদিকে এই ঘটনায় চট্টগ্রাম সদরঘাট এলাকার অপূর্ব সাহা(১৮)) নামে একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তার বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম।

এদিকে ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পরই কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান ও কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার কার্যক্রম তদারক করেন। এইসময় চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাই থানার পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত( সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট) কাপ্তাই নৌ বাহিনী ডুবুরি দল নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থল এবং এর আশেপাশে এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম হতে ৬ জন পর্যটক সকালে কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা মিশনঘাট এলাকায় আসে। সেখান থেকে তারা নৌকা ভাড়া করে চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার ঘাটে আসে। নাস্তা করার পর তারা আবার ভাড়া করা নৌকা যোগে ঘটনাস্থলে এসের গোসল করতে নামে। আগত পর্যটকরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজে অধ্যয়নরত বলে জানা যায়।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুনতাসির জাহান, শহীদ মোয়াজ্জম নৌঘাঁটির লেঃ কমান্ডার মোঃ ফয়জুর রহমান এর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি নৌ ডুবুরী দল ও কাপ্তাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং নৌ ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় বর্ণিত লোকেশ বৈদ্যকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। নৌ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল যৌথ ভাবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।