ফটিকছড়িতে মসজিদে সুন্নী-কওমী গন্ডগোল;এলাকায় উত্তেজনা

ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ ফটিকছড়িতে একটি মসজিদে জুমার নামাজের পর দুই পক্ষের মাঝে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে। নানুপুর ঢালকাটা মেহের আলী মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মিলাদ কিয়াম করার সময় সুন্নীপন্থী মুসল্লিদের উপর কওমীপন্থী মুসল্লীরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় মুসল্লীরা।
এ ঘটনার সময় ফটিকছড়ি থানা পুলিশের একটি টহল টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানান ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ।
জানা গেছে, ঢালকাটা গ্রামের মেহের আলী মসজিদ নিয়ে সুন্নীপন্থী ও কওমীপন্থী লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলছিল।
সস্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে এনিয়ে দুই পক্ষ পাল্টা পাল্টি পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। যা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কওমীপন্থী মুসল্লী মোহাম্মদ রফিক জানান, মসজিদে নিষেধ অমান্য করে মিলাদ কিয়াম করার সময় আমরা বাঁধা দিই। তখন সুন্নীরা আমাদের মোতোয়াল্লী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহকে লাঞ্ছিত করে।
সুন্নীপন্থী মুসল্লী মোহাম্মদ হাসান আলী অভিযোগ করে জানান, জুমার নামাজের পর মিলাদ কিয়াম করার সময় কওমীপন্থী মসজিদের ভিতর হামলা চালায়। তখন পুলিশ টহল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সফিউল আজম জানান, মেহের আলী জামে মসজিদের দুই পক্ষের দন্ধের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেখাশুনা করছেন। স্থানীয় সূত্রে জেনেছি আজ জুমার নামাজের সময় দুই পক্ষ গন্ডগোল হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বলেন, নানুপুর মেহের আলী জামে মসজিদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুই পক্ষ গন্ডগোলে জড়ায়। এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে। আগামী রবিবার দুই পক্ষকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছে। আশা করি সমাধান হবে।
আপনার মতামত লিখুন