খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার সব জায়গায় ফেল করছে, তাই নাশকতা ছাড়া কিছুই দেখে নাঃ আমির খসরু

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
সরকার সব জায়গায় ফেল করছে, তাই নাশকতা ছাড়া কিছুই দেখে নাঃ আমির খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর কত নিচে নামবে। বাংলাদেশের মানুষ কি এতই বোকা। আর কত নিচে নামাবে রাজনীতি। দেশে কোন ঘটনা ঘটলেই তারা নাশকতা দেখে। যদি নাশকতা হয়েই থাকে, তাহলে দায়িত্বটা কার? সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নাশকতা কে করেছে তাদের খুঁজে বের করা। রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কোন লাভ নেই। সরকার প্রত্যেক জায়গায় যখন ফেল করছে তখন নাশকতা দেখা ছাড়া আর তারা আর কিছুই দেখছে না।

তিনি মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকালে সীতাকুন্ডের কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দেখতে যান। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন ও আহত ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন।

এরপর তিনি সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এঘটনায় নিঁখোজ বিএম কনটেইনার ডিপোর ড্রাইভার মনিরুল ইসলামের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে তাদের সমবেদনা জানান।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে আজকে চরম অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতি বিরাজ করছে। একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকারের প্রতিফলনের কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্টানে আজ এই ঘটনা ঘটছে। ফায়ার সার্ভিসের উন্নত মানের যন্ত্রপাতি দরকার। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সে যন্ত্রপাতি ও লোকবল নেই। সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে টাকা দূর্নীতি করে বিদেশে পাচার করছে।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, ড্যাব, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। ব্লাড ব্যাংক করা হয়েছে, নগদ অর্থ ও মেডিসিনসহ যাবতীয় সহযোগতিা করছি। আমি অনুরোধ করবো, যদি রক্ত লাগে আমাদের ব্লাড ব্যাংকে পর্যাপ্ত আছে, আপনারা এখান থেকে রক্ত নিবেন। আমরা বিরোধীদল হিসেবে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সরকার দুই লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, এই দুই লাখ টাকা দিয়ে কি প্রাণ ফিরে পাওয়া যাবে? নাকি ৫০ হাজার টাকায় আহত কারো চিকিৎসা করা যাবে। যেহেতু তারা জনগণের সরকার নয়, তাই তারা দুই লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পার পেতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে আইনকানুন যেগুলো আছে, তা প্রয়োগ হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে আইনও নেই। আইন প্রয়োগ না হওয়া কারণ হচ্ছে, এখানে অবস্থাপনা, অযোগ্য, অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজরা দেশ পরিচালনা করছে। ফলে তার প্রতিফলন প্রতিটি জায়গায় ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের এসব ব্যর্থতা ঢাকতে তারা নাশকতা দেখবে, এতে করেই সব দায়ভার বিএনপির উপর চাপাতে পারবে। তাদের আর কোনকিছু দেখার কারণ নেই, কারণ তাদেরকে নাশকতায় দেখতে হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, মামলার করার আগে সরকার দেখবে এই মামলার সঙ্গে দলীয় লোকজন কোন জড়িত আছে কিনা? এই যে সরকার বার বার নাশকতার কথা বলছে, এটার পিছনে কারণ আছে? মামলার আগে তারা দেখবে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কোন লোকজন জড়িত আছে কি না, আগে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখবে? তারপর আওয়ামী লীগ মামলা মোকদ্দমা সেইভাবে করবে। এটা শুধু এখানকার দৃশ্য নয়, সারাদেশেই এভাবেই সব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করলেই পার পাওয়া যায়। দেশে কারা আওয়ামী লীগ করে, কারা আওয়ামী লীগ করে না এর ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। আমাদের কাছে তা বিবেচ্য হতে পারে না। কথা হচ্ছে কনটেইনার ডিপোটি নিয়মের মধ্যে পরিচালনা হয়েছে কিনা? কার ব্যর্থতা রয়েছে? এটা কি মালিকের ব্যর্থতায় হয়েছে, না অন্য কারো ব্যর্থতায় হয়েছে। সরকার এই কথাগুলো না বলে নাশকতার কথা বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দীন, জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, ড্যাব কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য কাজী সালাউদ্দিন, নগর বিএনপির সদস্য আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ড্যাব নেতা ডা. ঈসা চৌধুরী, ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. শাকির উর রশিদ, ডা. মঈন উদ্দীন, ডা. মেহেদী হাসান প্রমুখ।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর