খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনোয়ারায় স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নববধূর বাচ্চা নষ্ট

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
আনোয়ারায় স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নববধূর বাচ্চা নষ্ট

আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ স্বামী ফোরকানের ফতোয়া ছিল, তাঁর সঙ্গে সংসার করতে হলে ব্যাবসা করতে বাপের বাড়ির থেকে নগদে ২ লাখ টাকা এনে দিতে হবে এবং সন্তান নেওয়া যাবে না। কিন্তু স্বামী সহবাস বন্ধ না করায় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

স্বামী ফোরকান নিদান দিয়েছিলেন, বিয়ে আরেকটি করবে আর ভাড়া বাসায় ২য় বউ রাখবে তাই জান্নাতুল এর সন্তান নেওয়া যাবে না। জান্নাতুল ফেরদৌস তার বাড়িতে বুয়ার কাজ করবে। আর তাকে মাদক সেবনের খরচ জোগাড় করে দিতে হবে। সে নিদান মানেননি স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। তাই তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি আনোয়ারার ২নং বারশত ইউনিয়ন এর চালিতাতলী এলাকায়। এমন ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত মেয়ের পরিজন থেকে প্রতিবেশীরাও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই গত ২২জুন বুধবার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অভিযোগ করলেন স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০২১সালের নভেম্বর এর ২৬তারিখ মাত্র ৬মাস আগে আনোয়ারা ২নং বারশত ইউনিয়নের চালিতাতলী গ্রামের বাসিন্দা গফুরের ছেলে ফোরকানের সঙ্গে বিয়ে হয় জান্নাতুলের।বিয়ের সময় ফার্নিচার বাবদ জনসম্মুখে নগদ এক লক্ষ টাকাসহ পাচশত মানুষ বরযাত্রী খাইয়ে ও কানে, হাতে, নাকে, আংগুলে সব মিলিয়ে ১ভরি স্বর্ন বুঝিয়ে দিয়ে ধুমধামে সামাজিকভাবে বিবাহ দেন মেয়ের পরিবার। কিন্তু বিগত ৬ মাসে ছেলের পরিবার প্রায় ৬০০ বারের বেশি মারধর করেছে। এই বিষয় নিয়ে বহুবার সামাজিকভাবে বৈঠক হয়েছে। উভয় পক্ষের দুই ওয়ার্ডের মেম্বারগন বসে ছেলে ও ছেলের বাবার থেকে একটি মুচলেকা নেয়া হলেও তারা আজোব্দি ঠিক হয়নি। মুছলেখাতে ২ মাসের মধ্যে মেয়েকে সব কিছু কিনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় আর নির্যাতন বন্ধ করবে বলে স্বীকারোক্তি দেয় গফুর ও ছেলে ফোরকান।

জান্নাতুল ফেরদৌসের অভিযোগ, বিয়ের পরেই তাঁর স্বামী ফোরকান ও তার পরিবার গায়ের সকল স্বর্ন খুলে নিয়ে বেচে দেয়। স্বর্ন বেচা টাকা দিয়ে বাবা ও ছেলে চোলাই মদ, গাজা ইয়াবা সেবন করেন বাবা ও ছেলে। মাদকাসক্ত হয়ে বাবা গফুর ও ছেলে ফোরকান গভীর রাতে বাসায় ফিরেন।বাবা গফুর দিবালোকেও মদ খেয়ে পাগলামি করেন। আর আমার স্বামী ফোরকান বাসায় না থাকলে আমার শশুর গফুর বিভিন্ন ভাবে আমাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন।বহুবার গায়ে হাত দেন,কাপড় ধরে টানাটানি করেছেন।আমি শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে বা প্রতিবাদ জানালে স্বামী ফোরকান প্রচন্ড লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন।এসময়ে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আজেবাজে গালিগালাজ করেন। লাঠি এনে দেন ফোরকান কে। ফোরকানের বোন শাহিদা চুল ধরে টানতে থাকেন। আর আমাকে বেশির ভাগ সময়ে তারা খাবার দেন না। আমাকে ক্ষেতে দেয় পচা-বাশি, নষ্ট খাবার গুলি যেগুলি কুকুর কে দেয়া হয় সেইগুলি তারা আমাকে খেতে দেন। তাছাড়া ফোরকান একাধিক মেয়ের সাথে ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ রেখেই চলেছে। একটি মেয়ের সাথে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন সেই মেয়েটির সাথে ফোনে কথা বলার জন্য আমাকে পরামর্শ দেন।আমি তার দেয়া মেয়ের সাথে কথা বলতে অসম্মতি জানালে আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিতে থাকেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে ফোরকান বিভিন্ন ‘ফতোয়া’র কথা জানান। জান্নাতুল ফেরদৌসের কথায়, ‘‘স্বামীর ফতোয়া ছিল, তাঁর সঙ্গে সংসার করলেও সন্তান নেওয়া যাবে না।’’ অন্য দিকে, স্বামী সহবাস বন্ধ না করায় বিয়ের চার মাসের মধ্যে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আর তাতেই চটে যান স্বামী ফোরকান ও তার শশুর বাড়ির মানুষজন। গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে দিতে হবে বলে নিদান দেন। এই নিদান না মানায় স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির আরও চার সদস্য তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। তবে দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেও গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চাননি তিনি। তাতেই নাকি রাগ চড়ে যায় ফোরকানের।

গত ১০ জুন মধ্যরাতে প্রচন্ড বাক-বিতণ্ড করে স্ত্রীর পেটে সজোরে লাথি মেরে তার গর্ভে থাকা ৩ মাসের সন্তানকে তিনি ‘হত্যা’ করেন বলে অভিযোগ। পেটে অসহ্য যন্ত্রণার পাশাপাশি একটু একটু রক্তক্ষরণও শুরু হয় জান্নাতুলের।কাকতালীয় ভাবে জান্নাতুলের বাবা পরদিন ১২তারিখ সকালে মেয়েকে দেখতে যান।গিয়ে দেখেন মেয়ের অবস্থা খারাপ।তিনি গিয়ে সবার থেকে ভালো ব্যাবহারের পরিবর্তে কুকুরের মত খারাপ ব্যাবহার পান ফোরকানের পরিবারের থেকে। মেয়েকে কি হয়েছে বাবা আবদুর রাজ্জাক জিজ্ঞাসা করতেই তারা জান্নাতুল কে চুলের মুটি ধরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পরনের এক কাপড়ে বের করে দেয়।মেয়ের বাবা আবদুর রাজ্জাক মেয়ে অসুস্থ জান্নাতুল কে এনে পল্লী চিকিৎসক দেখান।পল্লী চিকিৎসা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। চমেক হাসপাতালের প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্টের মতে বাচ্চার ব্রুন নষ্ট হয়ে যায় বলে জানা যায়।

জান্নাতুল ফেরদৌসের মা সেলিনা বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা মেয়ে বিয়ে দেই।মেয়ের সুখ আর দেখা হলোনা।‘‘হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও আমার মেয়ের গর্ভে থাকা মৃত তিন মাসের সন্তানকে বার করে কোনও রকম তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন।’’ আমি তাদের উচিত বিচার চাই। শারীরিকভাবে আমার মেয়ে খুব অসুস্থ।

জান্নাতুল ফেরদৌসের উকিল জানিয়েছে, জান্নাতুল ফেরদৌসের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছে।বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমুলে নিয়েছেন।খুব দ্রুত জান্নাতুল ফেরদৌস তার সকল অপুরনীয় প্রাপ্য ক্ষতিপূরণসহ দাবি করা আসামীর শাস্তি পাবেন বলে আশাবাদী।

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।