খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর উত্তরায় গার্ডারে চাপা : হাসপাতাল থেকে আহত নবদম্পতি ছাড়া পেয়েছেন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
রাজধানীর উত্তরায় গার্ডারে চাপা : হাসপাতাল থেকে আহত নবদম্পতি ছাড়া পেয়েছেন

উত্তরায় বিআরটি’র নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের গার্ডারে চাপায় নিহতদের মরদেহ এখনও ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রয়েছে। একই গাড়িতে গার্ডার পড়ায় আহত নববধূ রিয়া মনি ও হৃদয়কে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার আসামি পলাতক ক্রেন চালককে ধরতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তবে রিয়া মনি ও হৃদয় দুজনেই ডান পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। তাদের কোনো ধরনের কোনো কাটাছেঁড়া বা জখম নেই বলে জানান চিকিৎসক।

এদিকে, হৃদয়ের বাবার মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নেয়া হবে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। যাদের উদাসীনতায় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, তাদের শাস্তি প্রার্থনা করেছেন স্বজনরা।

গতকাল ১৫ আগস্ট (সোমবার) বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে প্রাইভেট কারের ওপর গার্ডার পড়ায় তাদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় বের করা হয় নিহতদের মরদেহ। আহত নবদম্পতিকে নেয়া হয় হাসপাতালে। অবশ্য রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তারা।

ফায়ার সার্ভিস জানান, ত্রুটিপূর্ণ ক্রেন দিয়ে লিফটিং করা হচ্ছিল গার্ডারটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, উত্তরা রোডে বিআরটি প্রকল্পের উদাসীনতায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, দুর্ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে বিআরটি থেকে করা তদন্ত দল। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন তারা।

যেভাবে উদ্ধার হলো দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ও পাঁচ মরদেহ :
উত্তরার জসীম উদ্দীন সড়কে বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন শিশু ও একজন নারী।

এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও দুজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারটির ওপর থেকে সরানো হয় গার্ডারটি।

গতকাল ১৫ আগস্ট (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টার পর গার্ডার সরিয়ে লাশগুলো বের করে দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিআরটি (বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্পের নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে প্রাইভেট কারের ৫ যাত্রী নিহত হন।

তাদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু ও দুই নারী। এ সময় আহত হন নবদম্পতি রেজাউল করিম হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল হাসান (৫০), রিয়ার মা ফাহিমা (৪০), রিয়ার খালা ঝর্না (২৮), ঝর্নার মেয়ে জান্নাত (৬) ও ছেলে জাকারিয়া (৩)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্মিত ওই গার্ডার একটি ক্রেন দিয়ে সরানো হচ্ছিল। এ সময় গার্ডারটি হঠাৎ করেই রাস্তায় চলমান ওই প্রাইভেট কারটির ওপর পড়ে যায়।

গার্ডারটি ক্রেন থেকে ছুটে যায়নি, বরং ক্রেনের একপাশ উল্টে যায়। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চাপাপড়া গাড়িটির ওপর থেকে সরানো হয় গার্ডারটি। এরপর গাড়ির ভেতরে থাকা লাশগুলো একে একে বের করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দুর্ঘটনার পর গার্ডারের নিচে প্রাইভেটকারটি চাপা পড়ে থাকায় কিছুতেই মরদেহগুলো বের করতে পারছিলেন না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে এক্সক্যাভেটর দিয়ে গার্ডার সরিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের (ঢাকা জোন-৩) উপ-সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান জানান, ১৫০ টন ওজনের গার্ডার হওয়ায় প্রথমে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি।

পরে এক্সক্যাভেটর আনা হয়। এক্সক্যাভেটর আনতে দেরি হওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্বে শুরু হয়। তিন ঘণ্টা পর এক্সক্যাভেটর দিয়ে গার্ডারটি একটু উঁচু করে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ দুর্ঘটনায় আহত হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব (১৯) জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। কিন্তু এতো সময় পরও গাড়ি থেকে মরদেহগুলো বের করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ভেতরে যদি কেউ বেঁচে থেকেও থাকেন তাহলে এতোক্ষণে মারা গেছেন।

রাকিব ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সরকার কীভাবে এভাবে এতো অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দিবো! আমাদের অন্তত লাশগুলো বের করে দিক। কিন্তু এখানে তো কোনো উন্নত যন্ত্রপাতিও নেই।

৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে।

এছাড়াও কমিটিতে আরও আছেন, মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দীন খান ও ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ।

১৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল নয়টার ভেতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জে-আর

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর