খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিইউজে’র সমাবেশে চিহ্নিত আইনজীবীদের সনদ বাতিল ও গ্রেফতার দাবি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
সিইউজে’র সমাবেশে চিহ্নিত আইনজীবীদের সনদ বাতিল ও গ্রেফতার দাবি

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে দুই সাংবাদিক ও নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় সাংবাদিক প্রীতম দাশের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। ১৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে সাংবাদিক নির্যাতনকারী আইনজীবীদের গ্রেফতার ও বার কাউন্সিল সনদ বাতিলের জন্য ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রামের যে কোনও প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে আইনজীবীদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন সাংবাদিকরা। দীর্ঘদিনের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী পরিচয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিশ্বাস করি, দেশবিরোধী কোনও স্বার্থের ইন্ধনে আইনজীবী পরিচয়ে সাংবাদিকদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ, জঙ্গী হামলার রায়ের ঘটনার সংবাদ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনজীবী সমিতিকে তাদের সদস্যপদ বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনদিনের মধ্যে হামলাকারীদের আইনজীবী সনদ বাতিল না করলে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলন শুরু করবে।

সমাবেশে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, সারাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর অব্যাহত হামলা দুঃখজনক। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বারবার সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। দোষীরা যাতে পার না পায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, দুই সাংবাদিকের ওপর ঠুনকো অজুহাতে দুই দফায় হামলা হয়েছে। আইনজীবী পরিচয়ে কিভাবে আদালত পাড়ায় এ বেআইনি ন্যাক্কারজনক হামলা হলো তা রহস্যজনক। কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত দশ হাজার আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। আইনজীবী সমিতিকেই দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় সাংবাদিক প্রীতম দাশের ওপর হামলার ঘটনার সপ্তাহ না যেতেই আদালত প্রাঙ্গণে আরও দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, ছবিসহ সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তা হবে দুঃখজনক। সাংবাদিক সমাজ দেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে এ দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াবে।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সিইউজে’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবশীষ, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, প্রণব বড়ুয়া অর্ণব, সিইউজের টিভি ইউনিট প্রধান মাসুদুল হক, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, যমুনা টিভির ব্যুরো প্রধান জামশেদ রেহমান চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, সাবেক নির্বাহী সদস্য শামসুল হুদা মিন্টু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, মনজুর কাদের মনজু, সদস্য দেবদুলাল ভৌমিক, শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুব, প্রতিনিধি ইউনিটের ডেপুটি চিফ সরওয়ার আলম সোহেল, সিইউজে সদস্য মো. জাবেদুর রহমান, সাংবাদিক মো. বাবু চৌধুরী, ইতিহাস ৭১ টিভির সম্পাদক প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া জয়িতা, সাংবাদিক রতন বড়ুয়া সহ প্রমুখ।

এছাড়াও সমাবেশে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

জে-আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।