খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিজমি রক্ষার্থে অবিলম্বে কৃষি শুমারি করার আহ্বান সুজনের

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:০১ অপরাহ্ণ
কৃষিজমি রক্ষার্থে অবিলম্বে কৃষি শুমারি করার আহ্বান সুজনের

কৃষিজমিতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং অকৃষি খাতে জমির ব্যবহার রোধ করে কৃষিজমি রক্ষার্থে অবিলম্বে নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষি শুমারি করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের নিকট আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি আজ সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এর উপ-পরিচালকের দফতরে এক মতবিনিময় সভায় উক্ত আহ্বান জানান।

এ সময় সুজন বলেন প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমিতে স্থাপনা নির্মাণ, অকৃষি খাতে জমির ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বর্তমানে কৃষিজমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে কৃষিই হচ্ছে আমাদের প্রাণ। জলবায়ু পরিবর্তন, বিরূপ আবহাওয়া, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক সব বাঁধা পেরিয়ে কৃষিই বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। তাই যে কোন মূল্যে কৃষিজমিকে বাচিঁয়ে রাখতে হবে। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কৃষি জমিকে কোন অবস্থাতেই আবাসিক কিংবা বানিজ্যিক খাতে রূপান্তরিত করা যাবে না। তাই কৃষিজমিকে রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেই গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন বর্তমানে নগরীর প্রাকৃতিক শস্য ভান্ডার খ্যাত পতেঙ্গা থেকে কাট্টলী এবং বাকলিয়ার বিশাল কৃষি জমি ক্রমান্বয়ে নগরায়নের নামে গ্রাস করে ফেলা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নগরীতে আর কোন কৃষিজমিই অবশিষ্ট থাকবে না। কিন্তু এসব এলাকার উৎপাদিত রাসায়নিক সারবিহীন শাক সবজী নগরীর চাহিদা মিটিয়ে নগরীর বাহিরে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহও করা হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন ব্যাক্তি, সরকারী কিংবা বেসরকারী স্থাপনার নামে এসব কৃষি জমি ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষার্থে কৃষিজমিতে স্থাপনা করার পূর্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে যেন অনাপত্তি সংগ্রহ করা হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আহবান জানান তিনি। এছাড়া কৃষি জমিতে স্থাপনা করার পূর্বে অনাপত্তি ছাড়া কেউ যেন শিল্প স্থাপন করতে না পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতি তিনি বিনীত আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন বর্তমানে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্দি করেছে তাই পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে এ রকম দুর্যোগ হতেই থাকবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন চট্টগ্রামের অধিকাংশ কৃষক পেঁয়াজ চাষ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। সেজন্য প্রয়োজন উন্নতমানের বীজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যদি উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করতে পারে আগামী মৌসুমে পেঁয়াজ চট্টগ্রামের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করতে পারবে। বিশেষ করে রাঙ্গুনীয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে যদি কৃষিজমিতে গবেষণা করে বিভিন্ন মৌসুমী ফলমূল উৎপাদন করা যায় তাহলে আর সংকটের কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। এছাড়া হালিশহরসহ যেসব জায়গায় রাসায়নিক বিষমুক্ত সবজী, ফলমূল উৎপাদন হয় সেসব কৃষকদেরও সহযোগীতা এবং প্রনোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান সুজন।

এসব রাসায়নিক বিষমুক্ত সবজী যাতে নগরীতে বিপণন করতে পারে সেজন্য তিনি একটি স্থান নির্ধারন করার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিভিন্ন মৌসুমী ফলও যদি কৃষি সম্প্রসারণের উদ্যোগে নগরীতে বিপণন করা যায় তাহলে নগরবাসী রাসায়নিক বিষমুক্ত ফল গ্রহণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বর্তমানে ছাদ বাগানও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাই ছাদ বাগানে কি কি সবজী বা ফলমূল রোপন করা যায় বছরব্যাপী তার প্রচারণা চালানোর জন্য উপ-পরিচালকের প্রতি আহবান জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শ্রবণ করেন। তিনি নাগরিক উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন কৃষি এবং কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করার জন্য অত্র দফতরে আসা আমার জন্য এক প্রকার নতুন অভিজ্ঞতা। তিনি সংবাদপত্র এবং স্যোশাল মিডিয়া মারফত প্রাপ্ত নাগরিক উদ্যোগের প্রতিটি কর্মকান্ড জনহিতকর উল্লেখ করে বলেন নাগরিক সমাজ যদি এভাবে সচেতনতার সাথে এগিয়ে আসে তাহলে সমাজের অনেক অসঙ্গতি দূর হয়ে যাবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কৃষিজমিতে কোন প্রকার আবাসিক কিংবা বানিজ্যিক স্থাপনা করা যাবে না। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও ব্যাক্তি বিশেষ, সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থা অনেকটা জোর করে কৃষিজমিতে আবাসিক এবং বানিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে আর এক সময় জনগন বস্তা ভরে টাকা নিয়ে গিয়ে থলে ভরেও বাজার করতে পারবে না বলে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, কৃষককে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি রাসায়নিক সার, জ্বালানী, হাইব্রিড বীজ এবং আমদানি যোগ্য কীটনাশক সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভুর্তকি দিয়ে আমদানি করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের বাস্তবমুখী কৃষিনীতি এবং সে অনুযায়ী বাজেট সহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ দেশকে কৃষি উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। কৃষিতে ভর্তুকি, সকল সার, বীজ ও সেচ ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে কৃষি পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন প্রভৃতি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নকে ত্বরানিত করেছে। তিনি নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, পংকজ চৌধুরী কংকন, শাহেদ বশর, সিরাজদৌল্ল্যা নিপু, হাসান মোঃ মুরাদ, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ইদ্রিস, কামরুল হাসান রানা, হাসান মুরাদ, সালাউদ্দিন জিকু প্রমূখ।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।