মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা খুন

মিরসরাই প্রতিনিধিঃ মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবলীগ নেতার নাম শহিদুল ইসলাম আকাশ (৩৫)। সে হিঙ্গুলি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব হিঙ্গুলির নুর ইসলামের ছেলে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় চিনকির হাটে অতর্কিত হামলা করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
স্থানিয় সূত্রে জানাগেছে, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব হিঙ্গুলির মিজি বাড়ির নুর ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম আকাশ চিনকীর হাটে গাছের ব্যাবসায় ও নতুন ব্রীজ এলাকায় বালির ব্যাবসায় করেন। অপর দিকে একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইসলামপুর এলাকার ডাইরেক চেয়ারম্যান বাড়ির ডাইরেক চেয়ারম্যান এর ছেলে মামুনের সাথে দীর্ঘদিন শত্রুতা চলে আসছে। তার প্রেক্ষিতেই সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিনকীরহাট আকাশের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে মামুন ও তার বাহিনীর লোকজন। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করলে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় আকাশ। মৃত্যু হয়েছে ভেবে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে আকাশের মৃত্যু হয়।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আকাশের শরীরের হাতে ও মুখে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়া মুখের ক্ষতছিল মারাত্মক। তার শ্বাসনালী কাটা পড়ায় শ্বাসকষ্ট ছিল।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান যুবলীগের রাজনীতি করলেও ছিলনা তাদের পদপদবি। দলের নাম ভাঙিয়ে চালায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম। দুজনের নামে রয়েছে ডজন খানেক মামলা। সে সব নিয়েই উভয়ের ছিল ধন্দ। এর আগেও একবার আকাশকে কুপিয়েছে মামুন। সেবার জানে বেঁচে গিয়েছিল আকাশ। বহু মামলার আসামি মামুন সাম্প্রতিক জেল থেকে জামিনে এসেছে। ৪ দিন আগে জেল থেকে জামিনে এসে এবার হামলা চালিয়ে আকাশকে হত্যা করেছে।
মিরসরাই যুবলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম রানা জানান, তারা যুবলীগের পদপদবিধারী কোন নেতা নয়।
জোরারগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুর হোসেন মামুন জানান, ডাকাতি মামলায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছিলাম। ৪দিন হলো ২২মাস জেল খাটার পর জামিনে এসেছে। আকাশের নামেও রয়েছে বহু মামলা। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ধন্ধ ছিল। পুলিশ অভিযানে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
২৪ঘণ্টা/এনআর
আপনার মতামত লিখুন