রিয়ালের জয়রথ থামালো লাইপজিগ

সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিল রিয়াল মাদ্রিদের নামের সঙ্গে। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল আরবি লাইপজিগ। নিজেদের মাঠেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। হেরেও এক ম্যাচ হাতে রেখে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছে রিয়াল।
লাইপজিগের বিপক্ষে বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেন কার্লো আনচেলত্তি। তাতে করে তরুণ লাইপজিগ দল তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলে। স্বাগতিকরা ১৩ মিনিটে লিড নেয় জোস্কো জিভারদিওলের গোলে। আন্দ্রে সিলভার হেড থিবো কোর্তোয়া ফিরিয়ে দিলে জাল কাঁপান তিনি।
খানিক পরেই অবশ্য দ্বিতীয় গোল হজম করে তারা। সতীর্থের শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বক্সে পেয়ে যান এনকুনকু। জায়গা বানিয়ে নেন বুলেট গতির শট, বল ক্রসবারের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
এরপর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল। চাপ ধরে রেখে তারা সাফল্য পায় বিরতির ঠিক আগে। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি ক্রস বাড়ান আসেনসিও। ফাঁকায় বল পেয়ে নিখুঁত হেডে ব্যবধান কমান ভিনিসিয়াস।
কিন্তু টিমো বার্নারের শটে ৮১ মিনিটে রিয়াল ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে। ফাউলের শিকার হয়ে রদ্রিগো পেনাল্টি থেকে যোগ করা সময়ে রিয়ালের দ্বিতীয় গোল করেন। কিন্তু এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রথম হার ঠেকাতে যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেন, ‘দুটি সেট পিচ থেকে আমরা দুটি গোল খেয়েছি এবং পরে ম্যাচটা হয়ে গেলো তারা যেমন চেয়েছিল। কাউন্টার অ্যাটাকে খেললো, যেটায় তারা খুব ভালো’
লাইপজিগের দুর্দান্ত এই জয়ে গ্রুপের লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। অন্য ম্যাচের ওপর নির্ভর না করে গ্রুপ সেরা হতে শেষ ম্যাচে সেল্টিকের বিপক্ষে জিততে হবে রিয়ালকে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে জার্মান দল দ্বিতীয় স্থানে, রিয়ালের চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনে ও শাখতারের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে। আগামী সপ্তাহে শেষ গ্রুপ ম্যাচে ইউক্রেনিয়ান ক্লাবের মুখোমুখি হবে লাইপজিগ। নকআউট নিশ্চিত করতে একটি ড্র যথেষ্ট।
আপনার মতামত লিখুন