খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর: চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ৯:০৮ অপরাহ্ণ
২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ২০২৩ সাল হবে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নের বছর। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে ২ হাজার ৫শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন সেই বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে নগরীর উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে হবে। আগামী ডিসেম্বরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল চালু হলে নগরীর সড়ক সমুহের উপর চাপ পড়বে সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সঠিকভাবে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত: ১২শ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করে শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে কাজগুলোর গুনগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং প্রধান প্রকৌশলীকে নিদের্শনা প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে নগরীর উপকূলীয় এলাকা ও বাংলাদেশের বৃহত্তম ভোগ্য পণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাইয়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা অবর্ণনীয়। সিটি মেয়র বলেন, ৩৭নং ওয়ার্ডে সøুইস গেইটের কারণে জলোচ্ছাসে কৃষি জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ববরাবরে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলি জমির ক্ষতিপুরণ প্রদান করে সর্বাতœক সহযোগিতার আহ্বান জনান।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী আয় বর্ধক প্রকল্পের মাধ্যমে চসিককে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে সে সমস্ত আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। নগরীর কোথায়-কোথায় সিটি কর্পোরেশনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার একটি প্রতিবেদন তৈরী করে জানানোর জন্য বলা হলেও অদ্যাবধি সেই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এছাড়া চসিকের যে সকল মার্কেট রয়েছে সেগুলোর গুলোর কি অবস্থা আয়ের পরিমান সহ প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায়নি। এমনকি চসিকের যে ভূ-সম্পত্তি গুলোর নামজারি পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। তিনি এষ্ট্রেট শাখাকে তিনভাবে বিভক্ত করে ভূ-সম্পত্তি শাখাকে গতিশীল করা পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন। সেই সাথে সভায় ভূ-সম্পত্তি শাখার জন্য আলাদা একটি স্থায়ী কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চসিকের পুরাতন নগর ভনের কে.বি আবদুস সত্তার মিলনায়তনে ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২১তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চসিক সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ।

মেয়র আরো বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম নগরীর সকল ওয়ার্ডে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলমান আছে তা অব্যাহত এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করার জন্য মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখা এবং প্রচার প্রচারনা আরো জোরদার করতে হবে। তিনি ঢাকায় প্রতিটি সিটি কর্পোশেনের মশক নিধনের জন্য ২ কোটি টাকার যে বরাদ্দ দেয়া হয় অনুরুপ চসিকের আয়তন বিবেচনায় সে পরিমান বরাদ্দ প্রদানের জন্য আবেদন করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা কর আদায়ে কঠোরতা অবলম্বন না করলে রাজস্ব আয় হ্রাস পাবে। ফলশ্রুতি চসিক বিশাল জনবলের বেতন ভাতা ও নগরীর চলমান উন্নয়ন কাজ থমকে যাবে। তিনি রাজস্ব বিভাগকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। এছাড়া নালার উপর অনুমোদনহীন যে স্ল্যাব স্থাপিত হয়েছে যেসব স্ল্যাবগুলো সুনিদিষ্ট পরিমান নির্ণয় করে যথাযথ ফি আদায়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ছাড়া ও রাজস্ব আদায়ে ক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এমনকী চাকুরীচ্যূত করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্দেশ্য মেয়র বলেন, চসিক এলাকায় কোন সড়ক বাতি না জ্বললে সেই এলাকার সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, শহরে আলোকায়নে বাল্ব, টিউব লাইটসহ প্রয়োজনীয় সকল মালামাল অন্তত ৬ মাসের জন্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরো বলন, চসিকে বর্তমানে যে দুটি টেন্সিং গ্রাউন্ড আছে তাতে আগামী কয়েক মাসের পর আবর্জনা রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে বিধায় হাটহাজারী এলাকায় নতুন টেন্সিং গ্রাউন্ড স্থাপনের জন্য ভূমি জোগাড়ের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাদার বাড়িস্থ চসিকের জায়গাটি সংস্কার করে সেখানে যান্ত্রিক বিভাগের যানবাহন গুলো রক্ষনাবেক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক অনুমতিবিহীন সড়ক কর্তন করা থেকে বিরত থাকারসহ যে সড়ক কর্তন ফি জমা প্রদান করবে তার বাহিরে সড়ক কর্তন করলে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও চসিকে দায়িত্বরত প্রকৌশলীকে জবাব দিহিতার আওতায় আনার ঘোষনা দেন। তিনি ওয়াসার কর্তৃক সড়ক কর্তৃনের ব্যাপারে কোন কোন সড়ক কর্তন করার পরিকল্পনা আছে তা চসিককে ৬ মাস পূর্বে অবহিত করার আহ্বান জানান। সভায় মোহরা ছাফা মোতালেব কলেজের প্রতিষ্ঠাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিকে চসিকের অধিভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব সবসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।

সভার শুরুতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়নকৃত এলিভেটর এক্সপ্রেস ওয়ের উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে কাউন্সিলরগণ কোন কোন স্থানে কী সমস্যা আছে তা প্রকল্প পরিচালককে অবগত করেন। প্রকল্প পরিচালক এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে অবগত করবেন এবং উভয় সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

সভার আরম্ভে কোরআন তেলাওয়াত ও নগরীর বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণসহ তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।