খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো অস্ট্রেলিয়া

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো অস্ট্রেলিয়া

অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের হাফ-সেঞ্চুরি ও বোলারদের নৈপুন্যে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৪২ রানে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে সেমিফাইনালের খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো অসিরা।

এই গ্রুপে টেবিলের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট এখন অস্ট্রেলিয়ারও। তবে কিউইদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আয়ারল্যান্ড। ৩ খেলায় ৩ পয়েন্ট আছে ইংল্যান্ডেরও। এই চার দলেরই সেমিতে খেলার ভালো সুযোগ থাকছে। ২ করে পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শেষ দুই দল- শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। অনেক ‘যদি’-‘কিন্তু’র উপর নির্ভর করছে শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল।

ব্রিজবেন টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। অফ-ফর্মে ভুগতে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার ৩ রান করে আউট হন।

শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে পাওয়া-প্লেতে সাবধানী ছিলেন আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও তিন নম্বরে নামা মিচেল মার্শ। এতে ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৮ রান পায় অস্ট্রেলিয়া।

পাওয়ার-প্লে শেষ হবার পর মারমুখী হয়ে উঠেন মার্শ। সপ্তম ওভারে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। নবম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন মার্শ। ২টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ২৮ রান করেন মার্শ। দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চের সাথে ৩৬ বলে ৫২ রান যোগ করেন।

মার্শের বিদায়ে উইকেটে এসে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার বিদায়ের পর ১৭ বল কোন চার-ছক্কা পায়নি অস্ট্রেলিয়া।

মার্ক অ্যাডারের করা ১৫তম ওভারে ৫টি ওয়াইড, ১টি ছক্কা ও ৩টি চারে ২৬ রান পায় অস্ট্রেলিয়া। ঐ ওভারের শেষ বলে ছক্কায় ৩৮তম ডেলিভারিতে টি-টোয়েন্টিতে ১৯তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ফিঞ্চ। ১৭তম ওভারে ফিঞ্চকে থামান পেসার ব্যারি ম্যাককার্থি। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৩ রান করেন ফিঞ্চ।

অধিনায়ক ফেরার পর পরের দুই ওভারে মার্কাস স্টয়নিসকে হারিয়ে মাত্র ৭ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে টিম ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েড ৩টি চারে ১৭ রান তোলেন । শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া।

স্টয়নিস ২৫ বলে ৩৫, ডেভিড ১০ বলে ১৫ ও ওয়েড ৩ বলে ৭ রান করেন। আয়ারল্যান্ডের ম্যাককার্থি ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন।

১৮০ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে খাদের কিনারায় চলে যায় আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ৯ বলেই ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন দুই ওপেনার অধিনায়ক এন্ডি বলবির্নি ও পল স্টার্লিং। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন পেসার প্যাট কামিন্স। ৬ রান করে আউট হন বলবির্নি।
এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ২টি করে মোট ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ম্যাক্সওয়েলের করা তৃতীয় ওভারে স্টার্লিং ১১ ও হ্যারি টেক্টর ৬ রান করে বিদায় নেন। চতুর্থ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফার-জর্জ ডকরেলকে রানের খাতা খোলার আাগেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভার শেষে ২৫ রানে ৫ উইকেট নেই আইরিশদের। তাতেই ম্যাচ হারের পথে ছিটকে পড়ে আয়ারল্যান্ড।

ষষ্ঠ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লরকান টাকার ও গ্রেথ ডেলেনি। ৩৩ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ডেলেনি ১৪ রানে শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্টয়নিস।

ডেলেনির ফেরার পর লোয়ার-অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান টাকার। সপ্তম থেকে নবম উইকেট পর্যন্ত ৪৮ বলে ৬৮ রান যোগ করেন টাকার।

১৬তম ওভারে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি করেন টাকার। এজন্য ৪০ বল খেলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত অন্যপ্রান্ত দিয়ে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটাররা ভাল করতে না পারলে ১১ বল বাকী থাকতে ১৩৭ রান গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন টাকার। ৪৮ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো টাকারের ইনিংসটি বৃথা যায়। অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স-ম্যাক্সওয়েল-স্টার্ক-জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ফিঞ্চ।

আগামী ৪ নভেম্বর সুপার টুয়েলভে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। একই দিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ড।

২৪ঘণ্টা/এনআর

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।