খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনোয়ারায় অগ্নিকান্ডে ব্যাংকসহ ১০ দোকান ভষ্মীভূত, ২ কোটি টাকার ক্ষতি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
আনোয়ারায় অগ্নিকান্ডে ব্যাংকসহ ১০ দোকান ভষ্মীভূত, ২ কোটি টাকার ক্ষতি

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৃহত্তম চাতরী চৌমুহনী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গত ৬ নভেম্বর (রোববার) রাত ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। আগুনে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা, রেস্টুরেন্ট সহ ১০টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সরেজমিন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রাত ১২টার দিকে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের নিচে একটি চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকান ও তিনতলা ভবনে।

এ ভবনে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে ও বেসরকারি এবি ব্যাংক লিমিটেডের একটি শাখাও রয়েছে। এ ছাড়া নিচে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ ২০টি দোকান রয়েছে। আগুনে ১০টি দোকান সম্পূর্ণ ও ১০টি দোকান আংশিক ক্ষতি হয়।

এদিকে আগুন লাগার পর নিয়ন্ত্রণে প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে ফায়ার সার্ভিসের আনোয়ারা, সিইউএফএল, পটিয়া ও বাঁশখালীর পাঁচটি ইউনিট কাজ করে।

এ সময় এবি ব্যাংকের নৈশপ্রহরীকে অনেক চেষ্টার পর জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুনে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে ও এবি ব্যাংক ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন মো. মোজাম্মেল, নাছির উদ্দিন, আবদুল জলিল মো. দিদার, ফারুক সাওদাগর, মো. কায়সার, মো. শাহেদ ও মো. মনির।

আগুনে এবি ব্যাংকের শাখা পুড়ে গেছে। তবে ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্ট শতভাগ সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। গ্রাহকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জরুরি সব ডকুমেন্টস ভল্টে থাকায় তাও রক্ষা পেয়েছে।

তাছাড়া এবি ব্যাংক শতভাগ অনলাইন ব্যাংকিং হওয়াতে ডাটাগুলো সেন্ট্রাল সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। যে কারণে দ্রুততার সাথে সব ডাটা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ব্যাংকে আগুনে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আগুন দেখতে পেয়ে আমরা প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু যে দোকানে আগুন লাগে, ওই দোকানের তালা ভাঙার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কোনোরকম আমরা দোকান কর্মচারীরা বেরিয়ে পড়ি। আগুনে আনুমানিক ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বেলাল হোসেন বলেন, আগুনের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি টিম তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে তদন্ত চলছে।

রাতে ঘটনাস্থলে আসেন চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল। তিনি বলেন, আগুনে এবি ব্যাংকের শাখাসহ ২০টি দোকান পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ১৪ জন দোকানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি।

আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুর হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদ।

২৪ঘণ্টা/জেআর

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।