খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা কর্মসূচীতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ১৯ পালিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:০৪ অপরাহ্ণ
নানা কর্মসূচীতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ১৯ পালিত

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।ডেস্ক : “আমরা একসাথে” এই স্লোগান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো বুধবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন-বিষয়ক সংস্থা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ছিল ‘সামাজিক সহাবস্থান’ এবং বাংলাদেশে দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দক্ষতা’ যা কক্সবাজারের মত অভিবাসী-প্রবণ এলাকার জন্য জরুরী। কক্সবাজার ২০১৭ সাল থেকে ৮৪০,০০০ এর বেশি রোহিঙ্গা মানুষদের আশ্রয় দিচ্ছে।

আইওএম কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কে দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজনে সহায়তা করে। একটি বড় শোভাযাত্রার মাধ্যমে বুধবার দিনটি শুরু হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন।আন্তর্জাতিক আইএমও

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, বিএমইটি, বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, আইওএম এবং অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন অফিসের সামনে শেষ হয়।

বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বক্তারা বাংলাদেশী অভিবাসীদের গুরুত্ব এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা।

১১,৭০০,০০০ বাংলাদেশী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী হিসেবে আছেন জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেনঃ “নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন এবং দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়াতে সর্বক্ষেত্রে দেশের মানুষকে সচেতন করতে হবে।

এ বছর, ৬১৪,০০০ মানুষ বিদেশে গিয়েছে এবং তারা রেমিটেন্স-এর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। আমাদের উচিত অভিবাসন মাইগ্রেশন সুবিধাগুলো কাজে লাগানো এবং দেশের মানুষকে সঠিক ও বৈধ উপায়ে অনুপ্রাণিত করা।“

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে উদযাপনে সহযোগীতা করায় কক্সবাজারবাসীকে ধনবাদ জানিয়ে আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেনঃ “আজ আমাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যে অভিবাসন এমন এক উপকার যা সকলের পক্ষে কাজ করে।

আজ আমরা অভিবাসীদের সাফল্য সহ অভিবাসনের ইতিবাচক দিকগুলি উদযাপন করছি। আমি সন্তুষ্ট যে আমরা যুবসমাজ সম্পর্কে, রেমিট্যান্স এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সঠিক এবং নিরাপদ অভিবাসন পথ সম্পর্কে কথা বলছি এবং চিন্তা করছি।“

সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি এডিসি আশরাফুল দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

দিবসটি উপলক্ষে গত ১৭ ডিসেম্বর, কক্সবাজার সরকারী কলেজ এবং কক্সবাজার ডিসি কলেজে একটি রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশী অভিবাসী ইস্যু এবং রেমিটেন্সের গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে।

নিরাপদে অভিবাসনে কক্সবাজারের লোকদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে, আইওএম গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (জিএমএফএফ) অংশ হিসাবে ১৮ টি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, চিত্র-প্রদর্শনী, তিন দিনব্যাপী আর্ট কর্মশালার আয়োজন করেছিল।

দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক সংহতির বাড়ানোর জন্য স্থানীয় ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পারস্পরিক অংশগ্রহণে টেকনাফে একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে।

২০১৮ সালে, ১৫.৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স গ্রহণ করে বাংলাদেশ শীর্ষ দশটি রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশের তালিকায় স্থান নেয়। ২০০০ সালে ৪ ডিসেম্বর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, বিশ্বজুড়ে অভিবাসীদের বিশালতা এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কথা বিবেচনা করে ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।