খুঁজুন
রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জঙ্গিদের প্রধান আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
জঙ্গিদের প্রধান আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জঙ্গিদের প্রধান আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অভিযানে যখন জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হচ্ছিল তখন বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া বলেছিলেন যে, কিছু মানুষকে ধরে আটক করে রেখে তাদের চুল-দাড়ি লম্বা হলে জঙ্গি আখ্যা দেয়া হয়, আসলে জঙ্গি নেই। সুতরাং এই দেশে জঙ্গি আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেতারা। সেই জঙ্গিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’

মন্ত্রী আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ফখরুল-তারেক গংদের দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আদালত থেকে আসামী ছিনতাই করা হয়েছে, চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, কাঁচপুর ব্রিজের নামফলক পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য শুরু করেছে। তাদের মদদে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীবাহিনী, মৌলবাদীরা আবার ডালপালা মেলেছে। সুতরাং এই জঙ্গিগোষ্ঠীর আস্ফালন আর বিএনপির নেতৃত্বে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা একসূত্রে গাঁথা।’

ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কিছুদিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ে তার পৈত্রিক বাড়িতে বসে বলেছেন পাকিস্তানই ভালো ছিলো। কারণ মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা পাকিস্তানপন্থী ছিলেন বিধায় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশ কিছু দিন আত্মগোপনেও ছিলেন। একইসাথে মির্জা ফখরুল সাহেবও কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন বলে আমি শুনেছি। তিনি আবার ঘোষণা করেছেন যে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি যুদ্ধ করে আবার দেশকে স্বাধীন করবেন। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ যে স্বাধীন হলো সেটি তাদের পছন্দ হয় নাই। সে জন্য আবার একটি যুদ্ধ করে দেশটাকে তারা পাকিস্তান বানাতে চায়। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আজকে যে মানববন্ধন আয়োজন করেছে আমি মনে করি এটি একটি যথার্থ আয়োজন।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় বর্গীদের কিচ্ছা শুনে যেমন পিলে চমকে উঠতো এখন তারেক জিয়াও সে রকম একটি নাম। তারেক জিয়ার নাম শুনলে মানুষের মনে পড়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, তার নেতৃত্বে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের কথা, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের কথা। এই দুর্নীতি, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য এবং অপশাসনের প্রতীক তারেক রহমান তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাকে নিয়ে না কি তারা যুদ্ধ করবেন। সুতরাং এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় এসে না কি ঢাকা দখল করবে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবসে পাকিস্তনিরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর ১০ ডিসেম্বর এই পাকিস্তানপন্থী বিএনপি নেতারা যখন ঢাকা শহরে আসবে তাদের মানুষ আত্মসমর্পণ করাবে। তারা সারা বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে এখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে সেটি বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ হতে দেবে না। যেভাবে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রভাগে ছিলো আজকেও তাদের আহ্বান জানাই এই অপশক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, চিত্রনায়িকা অরুনা বিশ্বাস, চিত্রনায়ক শাকিল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, তানভীন সুইটি, সঞ্জিতা চৌধুরী, সিআইপি ইঞ্জি. আবু নোমান হালদার, সাংবাদিক সুজন হালদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লায়ন মুহাম্মদ মীযানুর রহমান, আশরাফুজ্জামান মিতু মাতবর, সঙ্গীতশিল্পী লিসা কামাল, অভিনেতা রাজ সরকার, অভিনেত্রী পারুল আক্তার রুপা, সনিয়া পারভীন শাপলা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।