খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে: সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৮ অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে: সুজন

আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উৎসব মুখর করতে আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় পলোগ্রাউন্ড মাঠে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসবের প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীতে ঢাকায় অবস্থান করায় ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে উপরোক্ত মত প্রকাশ করেন সুজন।

ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন প্রথমেই বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দরদ এবং আবেগমাখা বক্তব্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান।

সুজন বলেন, চট্টগ্রামে এতোসব বিশাল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরেও চট্টগ্রামের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বাস দেখে আমরা এ কথা অনুমান করতে পারি আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের নতুন সূর্য উদিত হবে।

তিনি আরো বলেন, ঘুড়ি উৎসব চট্টগ্রামের একটি প্রাচীন খেলা যা নগরায়নের কারণে যা হারিয়ে যেতে বসেছিল। আজ সে ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রামের জনগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং দেশকে যেকোন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করতে চট্টগ্রামের জনগন সর্বদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছেন। দেশের যেকোন আন্দোলন সংগ্রাম চট্টগ্রাম থেকেই সূচিত হয়েছে ঠিক তেমনি সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অবস্থান সে অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে চট্টগ্রামবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে থেকে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে সেটা জানান দিতেই আজকের ঘুড়ি উৎসব।

সুজন আরো বলেন, একসময় ফ্লাইওভার দেখার আক্ষেপ থাকলেও সে আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। না চাইতেই চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন হওয়ার পথে। পানির নীচে সুড়ঙ্গ পথে গাড়ি চলাচলের যে স্বপ্ন ছিল তা টানেল নির্মাণের মাধ্যমে বাস্তবে রূপদান করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশাল গৌরবের।

নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখান না, উনি বাস্তবে রূপ দান করেন। চট্টগ্রামের এতো এতো উন্নয়ন সবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবতার ফসল।

আজ আমরা অবাক তাকিয়ে রয় যে বাংলাদেশকে একসময় ক্ষুধা ও দারিদ্রের দেশ বলে সবাই উপহাস করতো আজ সে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এক অপার বিস্ময় এবং তা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণেই।

অনুষ্ঠানের অন্যতম বিশেষ অতিথি মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ক্রীড়া সংগঠক মসিউর রহমান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড তার সুফল ভোগ করবে সমগ্র চট্টগ্রামবাসী। আগামী দিনের চট্টগ্রামকে বিশ্বের বুকে একটি সমৃদ্ধশালী নগরীতে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সেজন্য সমগ্র চট্টগ্রামবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা চট্টগ্রামবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নিতে চাই।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বাদক দলের মনোমুগ্ধকর দেশাত্নবোধক গানের পরিবেশনার সাথে সাথে পলোগ্রাউন্ডের বুকে শতাধিকেরও বেশি ঘুড়ি উড়িয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে পূণরায় নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেন ঘুড়ি প্রেমিকগণ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, যুবনেতা মাহবুবুল হক সুমন, শওকত হোসাইন, ফরহান আহমদ, খলিলুর রহমান নাহিদ, রেজাউল করিম কায়সার, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আজম খাঁন, মো. ইলিয়াছ, নুরুল কবির, শফিউল আজম বাহার, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, রেজাউল করিম ইরান, মোরশেদ আলম, শাহিন সরওয়ার, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, শেখ আহমদ জাহেদ, সাহেদ বশর, হাফেজ ওকার উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, আবুল হাসান সৈকত, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, জানে আলম, মো. সেলিম, মো. মনির উদ্দিন, এহসানুল হক চৌধুরী, খন্দকার আসাদুজ্জামান, শেখ মামুনুর রশীদ, মো. বাবলু, সিরাজদৌল্লা নিপু, মোঃ. শাহজাহান, জমির উদ্দিন মাসুদ, অনির্বাণ দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, শহীদুল আলম লিটন, মো. সাইফুল্লাহ আনছারী, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, শাহনেওয়াজ রাজীব, সরওয়ার্দী এলিন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, আফগানী বাবু, পাভেল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম. ইমরান আহমেদ ইমু, নাঈম রনি, নোমান চৌধুরী, সুজন বর্মন, মো. ওয়াসিম, লোকমান হোসেন, সফি আলম বাদশা, মো. ফারুক, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ার মিঠু চৌধুরী, আরাফাত রুবেল, শাহনেওয়াজ আশরাফী, মনিরুল হক মুন্নাসহ বিভিন্ন কলেজ, থানা ও ওয়ার্ড যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।